ময়নাগুড়ি শহরকে যানজট মুক্ত করতে উদ্যোগী হল পুলিশ। বুধবার রাতে ওই বিষয়ে বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠনের কর্তা এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়ে স্থানীয় থানায় পুলিশ কর্তারা বৈঠক করেন, সেখানে ঠিক হয়েছে, শহরের ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন এলাকায় গজিয়ে ওঠা বাস, অটো, ম্যাক্সি-ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থাকবে না। ট্রাফিক বিধি মেনে টার্মিনাস থেকে বাস ছেড়ে সময় মেনে নির্দিষ্ট রাস্তায় চলাচল করবে। শনিবার থেকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি অভিজিৎ সরকার বলেন, “শহরের কোন রাস্তায় মর্জি মতো বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে দেওয়া হবে না। নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠনের কর্তারা ওই বিষয়ে একমত হয়েছেন। যানজট বেড়ে চলায় পথচারীদের পক্ষে চলাচল করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ময়নাগুড়ি শহরে পরিস্থিতি দেখে বিভিন্ন মহলে পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এর পরেই বুধবার রাতে বৈঠক করে শহরকে যানজট মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ কর্তারা তাঁরা জানান, শহরকে যানজট মুক্ত কড়া একা পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয় ওই কারণে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তা, নানা পরিবহণ সংগঠনকে নিয়ে আলোচনা করে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। |
ময়নাগুড়ি-মাল রাস্তায় যানজট। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক। |
পরিবহণ মালিক সংগঠনের কর্তারা জানান, ময়নাগুড়ি-শিলিগুড়ি রুটে ২০ টি এবং ময়নাগুড়ি-মাথাভাঙা রুটে ৩২ টি মিনিবাস চলাচল করে রয়েছে। বিভিন্ন রুটে ৫০ টি ম্যাক্সি ট্যাক্সি ও ৭০ টি অটো রয়েছে। অভিযোগ, ওই সমস্ত পরিবহণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠা নামানো করায় তীব্র যানজটে গোটা শহর বিপর্যস্ত হয়ে যায়। নর্থ বেঙ্গল মোটর ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জুয়েল মিত্র ওই অভিযোগ অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “আমাদের অনেকে নিয়ম মেনে না চলার ফলে ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাই আমরাও চাই পুলিশ কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুক।”
খেতাব। মিস্টার দিনহাটা খেতাব জিতলেন বিপ্লব পাল। বুধবার রাতে দিনহাটা মহামায়াপাট ব্যায়াম বিদ্যালয় চত্বরে দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় এ বারের মিস্টার দিনহাটা খেতাব জেতেন তিনি। এবার মোট ৭৫ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। তাদের মধ্যে মূল পর্বে ১৮ জনের মধ্যে সেরা হন বিপ্লব পাল। |