ইজ্জত টিকিটের অপব্যবহার রুখতে রেলের জারি করা নতুন নিয়মে পরিচারিকরা বিপাকে পড়ছেন বলে অভিযোগ ‘সারা বাংলা পরিচারিকা সমিতি’র। বুধবার বহরমপুরে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরি কাছে সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি দেন জয়নগরের সাংসদ এসইউসি-র তরুণ মণ্ডল। ‘ইজ্জত’ টিকিট পেতে প্রকৃত পরিচারিকারা যাতে হয়রান না হন সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রেল প্রতিমন্ত্রী। তরুণবাবুর অভিযোগ, “সাংসদ ও বিধায়কদের দেওয়া আয়ের শংসাপত্র জমা দিয়ে এতদিন ইজ্জত টিকিট মিলত। ফলে কিছু ক্ষেত্রে হয়তো অপব্যবহারও হত। অপব্যবহার রুখতে রেলের দুর্নীতিদমন শাখা রয়েছে। তাকে সক্রিয় না করে সাংসদ ও বিধায়কদের দেওয়া আয়ের শংসাপত্র দিয়ে আর ইজ্জত টিকিট পাওয়া যাবে না বলে রেল বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এখন থেকে ইজ্জত টিকিট পেতে বিডিও এবং এসডিও-র কাছ থেকে আয়ের শংসাপত্র নিতে হবে বলে রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিডিও, এসডিও-দের কাছে গিয়ে পরিচারিকরা হয়রান হচ্ছেন।” অধীরবাবু বলেন, “জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে অনেক টাকা পয়সাওয়ালা ব্যক্তিরাও কম আয়ের শংসাপত্র জোগাড় করে ইজ্জত টিকিট কাটছিলেন। তার মাসুল গুনতে হচ্ছিল রেলকে। তাই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে পরিচারিকাদের অসুবিধা হচ্ছে বলে তরুণবাবু বক্তব্যের সারবত্তা রয়েছে। এই সমস্যা দূর করার পন্থা বার করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।”
|
টেট বা প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক বাছাইয়ের পরীক্ষার ফল এ মাসের মাঝামাঝি প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়েছে। তবে ঠিক কবে ফল বেরোবে, পরীক্ষার সাত মাস পরেও তা নিশ্চিত করে জানাতে পারছেন না পর্ষদকর্তারা। এক কর্তা এ দিন বলেন, “ফল প্রকাশের বেশির ভাগ কাজই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। যত দ্রুত সম্ভব ফল প্রকাশ করা হবে।” ৩১ মার্চ ওই পরীক্ষা হয়েছিল। সরকারের তরফে জানানো হয়, ৩৫ হাজার পদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন ৩৫ লক্ষ প্রার্থী। টেট-এ সফল প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ে ডাকা হবে। ইন্টারভিউয়ে সফল প্রার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন বলে পর্ষদকর্তারা জানান।
|
আসন্ন ছটপুজো ও মহরম উপলক্ষে রাজ্যের সর্বত্র শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নতুন প্রশাসনিক ভবন নবান্নে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। বৈঠক টেনেটুনে মিনিট পাঁচেক চলে। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী তার পরেই ছটপুজো ও মহরম নিয়ে সকলকে খুব সতর্ক থাকতে বলেন। নির্দেশ দেন, সব মন্ত্রী, বিধায়ক ও কাউন্সিলরকে ওই দুই অনুষ্ঠানের সময় নিজের নিজের এলাকায় থেকে শান্তি রক্ষা করতে হবে। কোনও রকম গোলমাল যাতে না-হয়, নজর রাখতে হবে সেই দিকে। |