|
|
|
|
কী ভয়ানক এক অজানা শব্দ!
হৃদয় ভেদ করা— কর্কশ-এর সাথে কর্কশ,
ভয়ঙ্কর শব্দশ্রাবণ, কানের ভেতরটা দুমড়িয়ে উঠল।
বিছানায় শুয়েছিলেন অসুস্থ পিতা—
হৃদ্যন্ত্রটা তাঁর একেবারে নিঃশব্দ হয়ে গেল।
চোখের পাতাটা আর পড়ছে না,
হয়ে গেল সব শেষ।
নীরবে নিঃশব্দে রয়ে গেল শব্দাতঙ্ক,
সাক্ষী হয়ে থাকল সংসারের বড় আপনজন।
তাকিয়ে থাকল অপলকে শূন্য পালঙ্ক।
সহ্য হল না প্রতিবাদীর,
পথে বেরোল শব্দবাহিনীদের খোঁজে।
পেয়েও গেল হাতের সামনে।
ফল যা হবার তা-ই হল।
রক্তগরমের গরম রক্তে ‘তর্ক-বিতর্ক’।
এ কথা-ও কথার নিঠুর মরমি প্রলয়!
যাদের জন্য চলে গেল জীবন্ত-জীবন,
আফশোস তো সূর্যাস্ত,
করণীয় কর্মের সূর্যোদয় তাদের ভাষায়।
উত্তেজনা বাড়ল, বাড়ল তাপমাত্রা।
মনুষ্যত্বহীন কয়েক জনের মহাকালরাত্রির জালে
লুটিয়ে পড়ল দ্বিতীয় প্রাণ।
এক জন বলি শব্দ হুঙ্কারের,
আর এক জন বলি, প্রতিবাদী।
রয়ে গেল কয়েকটা অমানুষ!
হুঁশও নেই, হাঁশও নেই।
তারা তো ভোগ করছে রঙিন রাত্রি।
রঙিন জলে রঙিন রাবণ?
লঙ্কা নেই, আছে দানব দীনতা। |
|
|