গ্রামেরই এক বিধবার সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে আদিবাসী গ্রামে বসেছিল সালিশি সভা। অভিযোগ, ওই সভায় আদিবাসী মহিলাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। সেই টাকা দিতে না পারায় ওই মহিলার মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল গ্রামেরই নয় যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি থানা এলাকার একটি গ্রামে। নির্যাতিতা বর্তমানে সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
বীরভূমের পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “ওই ঘটনায় মঙ্গলবারই জগন্নাথ কিস্কু নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।” তবে তাঁর দাবি, ডাক্তারি পরীক্ষায় যুবতীকে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই গ্রামে রটেছিল নির্যাতিতা যুবতীর বিধবা মায়ের সঙ্গে অন্য এক পুরুষের সম্পর্ক আছে। সোমবার সকালে তা নিয়েই বাসিন্দাদের একাংশ গ্রামে সালিশি সভা বসান। অভিযোগ, সেখানেই নির্যাতিতার মাকে জরিমানা দিতে চাপ দেওয়া হয়।
এমনকী, ওই পরিবারকে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার ফতোয়াও দেওয়া হয় সালিশি সভায়। কিন্তু, দিন মজুরি করে সংসার চালানো ওই মহিলার পক্ষে জরিমানার টাকা দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “সোমবার রাতেই জগন্নাথ ও তার কিছু সঙ্গী আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়। আমাকে আর ছেলেমেয়েকে বেদম মারে। জোর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা পিছু নিলেও মারধরে জখম হওয়ায় বেশি দূর যেতে পারিনি।” সারা রাত খোঁজ করেও তাঁরা মেয়ের খোঁজ পাননি। পরের দিন ভোরে পাশের গ্রামে একটি ঝোপের কাছে অচৈতন্য ও বিবস্ত্র অবস্থায় মেয়েকে তাঁরা উদ্ধার করেন বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। মেয়ের মুখে সব শুনে ওই মহিলা মঙ্গলবার থানায় বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। |