প্রতীকী ব্যাপার বলে দল অনুব্রতের পাশেই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে নির্দল ও বিরোধীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার, পুলিশকে বোমা মারার হুমকি দিয়েছিলেন। এ বার কংগ্রেস কর্মীদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পরেও তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই দাঁড়াল দল। অনুব্রতকে শাস্তি বা সংযত হওয়ার বার্তা দেওয়ার বদলে বৃহস্পতিবার তাঁকে পাশে বসিয়েই তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। পরপর বিরোধীদের এমন হুমকি দেওয়ার পরেও অনুব্রতর বিরুদ্ধে দল কোনও ব্যবস্থা নেবে কি না, প্রশ্নের জবাবে মুকুলবাবু বলেন, “কোনও জায়গায় প্রতীকী ব্যাপার নিয়ে হয়তো এমন মন্তব্য করেছে অনুব্রত।” তাঁর বক্তব্যে নেতৃত্বের এই ‘ক্লিনচিট’ শুনে মুকুলবাবুর পাশে বসে তখন মুচকি হাসছেন অনুব্রত। বীরভূম জেলা সভাপতির পাশে ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়ও। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে অনুব্রতর পাশেই রয়েছে, তা বুঝিয়ে দিয়েই এ দিন মুকুলবাবু বলেন, “আমরা তো কাউকে মারতে যাচ্ছি না! কাটতেও যাচ্ছি না! বদলা নয় বদল চাই, দলনেত্রীর এই স্লোগানের আদর্শই দলের সব কর্মী মেনে চলছেন।” এর আগেও অনুব্রত ‘মুখ ফস্কে’ বলে ফেলেছেন বলে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই অনুব্রতদের বেপরোয়া আচরণের বিহিত চেয়েছে। কাটোয়ায় অনুব্রতের হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া এ দিন বলেছেন, “কী বিপজ্জনক কথা! এর পরেও পুলিশ-প্রশাসন নীরব হয়ে বসে আছে! নেতারা যদি বলেন কব্জি কেটে দেব, কর্মীরা তো গলা কেটে দিয়ে আসবেন!” বহরমপুরে কংগ্রেস নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধীর চৌধুরী ‘মাথা গুঁড়িয়ে’ দেওয়া সংক্রান্ত মন্তব্য করার পরে নির্বাচন কমিশনে নির্দেশে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। অথচ কমিশনের একই নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অনুব্রতের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি কেন, প্রশ্ন তুলেছেন মানসবাবু। তাঁর কথায়, “তৃণমূল নেত্রী মূল্যবোধের রাজনীতির কথা বলেন। তিনি এর জবাব দেবেন কি?”
পুরনো খবর: কংগ্রেসিদের হাত কাটার হুমকি অনুব্রতর
|
সমস্যা শুনতে গ্রামে পাড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
সাধারণ মানুষের সমস্যা শোনার জন্য জেলা পরিষদের আধিকারিকেরা এবং সদস্যেরা গ্রামে গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, সদরের অনেকটা পরিকাঠামো তুলে নিয়ে যাওয়া হবে গ্রামের গাছতলা, ঠাকুরমণ্ডপ, বারোয়ারিতলা-সহ যে কোনও জায়গায়। জেলা পরিষদের আধিকারিক ও সদস্যেরা পানীয় জল, রাস্তা-সহ নানা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন ঘটনাস্থলেই। জেলা পরিষদের উদ্যোগে ১৮ নভেম্বর প্রথম আসরটি বসবে কালনা ২ ব্লকের বড়ধামাস পঞ্চায়েতের বালিন্দর গ্রামে। থাকবেন জেলাসভাধিপতি দেবু টুডু, জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, কালনা ২ ব্লকের বিডিও গৌরাঙ্গ ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আলমগীর সাত্তার-সহ জেলা অনেকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দেবুবাবু বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন গ্রামের মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা জানতে। বর্ধমানে এসে তিনি আধিকারিকদের গ্রামে গ্রামে পৌঁছনোর পরামর্শ দিয়েছেন। কালনা ২ ব্লক দিয়ে যে কর্মসূচী শুরু হচ্ছে তা ধারাবাহিক ভাবে চালানো হবে।”
|
১৩ টাকায় খারাপ আলু
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
চাহিদা মেটাতে নানা জেলায় আলু সরবরাহ করতে শুরু করেছে বর্ধমান। জেলা কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বাজারে আলুর দাম পড়তে শুরু করেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা সরকারকে আলু বিক্রি করতে আগ্রহী। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতায় ২০ ট্রাক আলু পাঠানো হয়েছে। কুলটিতে আটক ১৬ ট্রাক আলু আসানসোলের বাজারে বিক্রি করে দিতে বলা হয়ছে। এছাড়া পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আটক করা হয়েছে ৯ ট্রাক আলু। এসপি পুরুলিয়ার সঙ্গে কথা বলে সেগুলিকে আসানসোলে নিয়ে আসা হচ্ছে। আলু নিয়ে যেতে মুর্শিদাবাদের এসপি হুমায়ুন কবীর বর্ধমানে সাতটি ট্রাক পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে চারটি ট্রাক আলু বোঝাই করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিন বর্ধমানের নানা বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, আলু বিক্রেতারা ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য কিছু নিম্নমানের আলু আলাদা করে রেখে দিয়েছেন। তবে ক্রেতাদের ওই আলু কিনতে তাঁরা কার্যত বারণ করছেন। বলা হচ্ছে, ওই আলু কিনে পড়তা হবে না। ক্রেতারা যেন বেশি দাম দিয়ে ভাল আলু কেনেন।
|
বোমা ফেটে জখম দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • মঙ্গলকোট |
বোমা ফেটে জখম হলেন দুই ব্যক্তি। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোটের পিণ্ডিরা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছেন, তাঁদের নাম নিবারণ দাস ও হাসিবুল শেখ। তাঁরা পিণ্ডিরা গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি বোমা বাঁধতে গিয়ে গুরুতর জখম হন। আহতদের প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও পুলিশের দাবি, ওই দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়নি। তাঁরা কোথায় গিয়েছেন, সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফে। কয়েক দিন আগে গ্রামের দখল নিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
বাসের ধাক্কায় মৃত্যু ভাগরায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মন্তেশ্বর |
একটি বেসরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার সকালে মন্তেশ্বরের ভাগরা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ আসরফ আলি (৫৫)। পেশায় খেতমজুর ছিলেন তিনি। এদিন সকালে বাড়ি থেকে সাইকেলে চেপে কুসুমগ্রাম বাজারে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। পথে কুসুমগ্রাম থেকে মেমারিমুখী একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ঘটনার পরই মালডাঙা-মেমারি রুটে ক্ষতিপূরণের দাবিতে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধে বসেন স্থানীয় মানুষ। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। |