সেল গ্রোথ ডিভিশন ও কুলটি কারখানায় এক অফিসারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আসানসোল আদালত। কৃষ্ণকান্ত তিওয়ারি নামে ডিজিএম পদমর্যাদার ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানায়, তাঁর খোঁজ শুরু হয়েছে। ওই অফিসারকে গ্রেফতারের দাবিতে কুলটিতে কয়েকশো নাগরিকের স্বাক্ষর করা একটি দাবপত্র থানায় জমা পড়েছে।
পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, কুলটির প্রিয়দর্শিনী পাবলিক স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষিকা অমলা ঘোষ ১৯৯৫ সালে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন। তখন কৃষ্ণকান্তবাবু ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক ছিলেন। তাঁর সঙ্গে পরিচালন সমিতির আরও দুই সদস্য ও স্কুলের প্রাক্তন প্রধান করণিক রমা কুট্টির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ করা হয়। বাকি তিন জন সেই সময়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। কিন্তু কৃষ্ণকান্তবাবু তা করেননি। প্রায় ১৮ বছর পরে সেই অভিযোগেই ফের তাঁর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গ্রেফতারি পরোয়ানার চিঠি আমরা পেয়েছি। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এখনও তাঁকে ধরা যায়নি।” তাঁর সংস্থার আবাসনে গিয়েও কৃষ্ণকান্তবাবুর দেখা মেলেনি। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কুলটির কিছু বাসিন্দা। অভিযুক্তকে খুঁজে না পাওয়ার ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য মানতে নারাজ তাঁরা। পুলিশের এক কর্তা জানান, যে কোনও সময়ে এলাকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করাটা জরুরি। সেল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আধিকারিক সংস্থার গ্রোথ ডিভিশনের কলকাতা অফিস ও কুলটি কারখানা, দু’জায়গাতেই কাজ করেন। সেলের এক আধিকারিকের দাবি, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির খবর জেনে সংস্থায় তাঁর ক্ষমতা অনেকটা কমানো হয়েছে। ডিজিএম পদমর্যাদার এক অফিসারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রসঙ্গে ইস্পাত বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তথা আসানসোলের সাংসদ বংশোগপাল চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি বিচারাধীন। তাই মন্তব্য করা ঠিক নয়। আদালত যখন এই নির্দেশ জারি করেছে, নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে।” |