সচিন যে দেশকে জিততে শিখিয়েছে
কেবলে সম্পাদকেরা কাঁদতে পারে না?
জানেন, আমাদের দেশে একটা অদ্ভুত, অদৃশ্য নিয়ম আছে। নিয়মটা হল আপনি যদি কোনও চ্যানেল বা সংবাদপত্রের সম্পাদক হন, তা হলেই আপনাকে আবেগহীন, বাস্তববাদী আর কিছুটা নাক-সিঁটকোনো হতে হবে।
দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা করার পর আমার মধ্যেও একটা উদাসীনতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই লোকটা নিউজরুমের পীঠস্থানেও আমাকে কাঁদিয়ে ছেড়েছিল!
সেটা ছিল ২০০৮-এর ডিসেম্বর। ২৬/১১, মানে মুম্বইয়ে জঙ্গিহানা তখন সবে এক মাস পুরনো। তা ছাড়া ব্যক্তিগত কয়েকটা কারণেও তখন আমি কিছুটা মনমরা ছিলাম। ঠিক ওই সময়েই দেখলাম ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৮০ তাড়া করতে নেমে তার করা আশির কাছাকাছি ইনিংসটা সচিন দেশকে উৎসর্গ করল।
টিভিতে দেখা ওই একটা মুহূর্ত আমাকে কাঁদিয়েছিল। আর সে দিন যে কেঁদেছিলাম, সেটা নিয়ে আমার গর্ব হয়। কারণ এ রকম অনুভূতি খুব বিরল।
ছবি: উৎপল সরকার

চেয়ারে ক্রিকেট বল আছড়ে পড়ার শব্দটা এখনও কানে বাজে
সচিনকে আমার প্রথম দেখা সেই ১৯৮৪ সালে। তখন ওর বয়স মাত্র ১১। মুম্বইয়ের ক্রস ময়দানে এসেছিল দাদা অজিতের সঙ্গে। ওখানে ‘জলি ক্রিকেটার্স’ বলে একটা ক্লাব ছিল। মনে আছে সচিন তাঁবুতে যে ব্যাটটা নিয়ে এসেছিল, সেটা প্রায় ওর নিজের সাইজেরই ছিল। আমরা যখন ম্যাচ খেলছিলাম, তখন ছেলেটা চুপচাপ বসেছিল। তার পর চা-বিরতিতে আমার কোনও এক টিমমেট ওর দিকে একটা বল ছুড়ে মারল আর উফ্ফ... ওর ব্যাটের একটা শট একটা চেয়ারে এমন জোর গিয়ে লাগল! ক্রিকেট বল এত জোরে মারতে আমি কোনও দিন কাউকে দেখিনি। চেয়ারে আছড়ে পড়া ওই বলের শব্দটা এখনও কানে বাজে।
আমরা সবাই ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। গালদুটো পুরো গোলাপি, সেই কোঁকড়া চুল। আমরা সবাই নিজেদের মধ্যে সে দিন বলাবলি করেছিলাম, ‘এই ছেলেটা স্পেশ্যাল।’
বহু বছর পরেও এই ঘটনাটা তুলে আমরা অজিত তেন্ডুলকরের সঙ্গে ইয়ার্কি মারতাম। মজা করে বলতাম, অজিত এমন এক জন ক্রিকেটার যে স্কোয়ারে বল পাঠাতে রীতিমতো হাঁসফাঁস করে। তিরিশ রান করতে যে চার ঘণ্টা লাগিয়ে দেয়, তার ছোট্ট ভাই সেই রান মাত্র দু’ওভারেই তুলে দিতে পারে।

মুম্বই যেন কখনও না হারে
সচিন নিয়ে আমার গল্প যেন কোনও দিন ফুরনোর নয়!
শিবাজি পার্ক বা ওভাল ময়দানে যে তরুণ ক্রিকেটাররা খেলত, তাদের আমার প্রয়াত বাবা দিলীপ সরদেশাই একটা কথা খুব বলতেন। উনি বলতেন, “মাঠে তোমার যা ইচ্ছে কোরো। শুধু একটা জিনিস মনে রেখো মুম্বই যেন কখনও না হারে।” দুপুরে সচিনকে যে এসএমএস-টা করলাম, তাতে লিখেছি যে তোমার এই ইনিংস উপর থেকে দেখে দিলীপ সরদেশাই নামক একজন ক্রিকেটার নিশ্চয়ই খুব হাসছেন। আজ যখন সচিন ওর শেষ রঞ্জি ম্যাচ খেলে উঠছে, তখন মনে পড়ে যাচ্ছিল আমার দেখা ওর প্রথম ম্যাচের কথা। সেটা ছিল ১৯৮৮-র ডিসেম্বর। গুজরাতের বিরুদ্ধে খেলছিল মুম্বই। আর আমরা খবর পেলাম যে সচিন দারুণ ব্যাট করছে। তখন আমি টাইমস অব ইন্ডিয়া-তে কাজ করতাম। ওয়াংখেড়েতে হুড়মুড় করে ছুটে গিয়েছিলাম। ওই দিন লাঞ্চ আর টি-র মধ্যে সেঞ্চুরি করেছিল সচিন। সে দিন থেকে এই আজ সচিনের ব্যাটিং দেখা নিয়ে আমার উত্তেজনা এতটুকু কমেনি।

ছেলেটা জিনিয়াস
সচিন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কত কথা মনে পড়ে যাচ্ছে! জানেন, আমার বাবা কম কথার মানুষ ছিলেন। অকারণে কারও মুক্তকচ্ছ প্রশংসা করতে ওঁকে কোনও দিন দেখিনি। তবে একটা ম্যাচের কথা বলি। ২০০৭ সালে বাংলার বিরুদ্ধে খেলছিল মুম্বই। মুম্বইয়ের আর ৪০ রান দরকার ছিল, যার মধ্যে বোধহয় ৩৮ সচিনই করে দিয়েছিল। আমি তখন দিল্লিতে ছিলাম আর বাবা আমাকে ফোন করেছিলেন। এখনও শুনতে পাই উনি বলছেন, “ম্যাচটা দেখেছিস? এই ছেলেটা খাঁটি জিনিয়াস।” বাবা আসলে সব সময়ই মনে করতেন যে, সচিন সব চেয়ে কমপ্লিট ব্যাটসম্যান। আর একটু খোঁচালে হয়তো উনি বলতেন যে সুনীল গাওস্কর ফাস্ট বোলিংটা বেশি ভাল খেলতে পারতেন। কিন্তু কমপ্লিট ব্যাটসম্যান? সচিন ছাড়া আর কে?


দেশের সব চেয়ে বড় অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ট্যাবলেট
আসলে সচিন ক্রিকেটারের চেয়ে অনেক বেশি কিছু। আমি সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি যে, সচিন হল জীবনে ভাল সব কিছুর প্রতীক।
এই ক’দিন আগে একজন সাংবাদিক আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল সচিনকে ব্যাখ্যা করতে। ও জিজ্ঞেস করেছিল, সচিন কি দেশের সব চেয়ে কার্যকরী অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ট্যাবলেট? আমার মনে হয় লোকটা একদম ঠিক। দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে সচিনই দেশের সব চেয়ে বড় অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট।
অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, সচিনের মধ্যে এমন কী আছে যে মাঠ হোক বা মাঠের বাইরে, ওর কাজকর্মে ভারতবর্ষ এ রকম প্রভাবিত হয়ে পড়ে?
ব্যাপারটা নিয়ে আমি একটা ত্রিফলা থিওরি তৈরি করেছি।
প্রথমত, সচিন সব সময়ই প্রতীক ছিল একটা নিষ্পাপ ছোট বাচ্চার, যাকে জায়ান্টদের বিরুদ্ধে লড়তে রিং-এর ভেতর ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। সচিন মানেই সব সময় ডেভিড বনাম গোলিয়াথের গল্প। আর মানুষ মাত্রেই আমরা গোলিয়াথের চেয়ে ডেভিডকে বেশি ভালবেসে এসেছি। সচিনের জন্য ভারতবর্ষের ভালবাসা এ ভাবেই শুরু হয়েছিল। সচিন ছিল মহাশক্তিশালী প্রতিপক্ষের টক্কর নিতে নামা পাশের বাড়ির সেই প্রচণ্ড প্রতিভাবান ছেলেটা, যাকে আমরা সবাই আগলে রাখতে চাই। এই অনুভূতি থেকেই সচিনের সঙ্গে আমাদের প্রেমপর্বের শুরু।
দ্বিতীয়ত, একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পরেও দেশ আবিষ্কার করল যে, সচিন এখনও অসাধারণ বিনয়ী। ভারতবর্ষ আবিষ্কার করল, আমাদের পাশের বাড়ির ছেলেটা উদ্ধত হয়ে যায়নি। আজকালের অনেক তরুণ ক্রিকেটারের মতো সে নিজেকে জাহির করে না। আর এখান থেকেই সচিন নিয়ে আমাদের ভালবাসায় যোগ হল গভীর একটা সম্মানবোধ।
আর তৃতীয়ত, ভারত তখন সুপার-পাওয়ার হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করা শুরু করেছিল। দেশ হিসেবে আমরা আরও সাহসী হয়ে উঠছিলাম, আর সচিন আমাদের সেই আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছিল। তুমি নিজের কাজে সেরা হলে গোটা বিশ্ব তোমার পায়ে লুটিয়ে পড়বে এটা তো সচিনই আমাদের শিখিয়েছে। দেশের দরকার ছিল এ রকমই একটা মানুষ। সচিনের মধ্যে ঠিক সেই মানুষটাকেই পেয়ে গিয়েছিল ভারতবর্ষ। ২০০৩ বিশ্বকাপে শোয়েব আখতারকে মারা ওই ছক্কাটা আজও মনে আছে। সঙ্গে মনে আছে এই অনুভূতিটা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার যে হীনমন্যতা দেড় দশক ধরে একটু একটু করে জমেছিল, ওই একটা শটে সেটা চুরমার হয়ে গেল। চেতন শর্মাকে মারা জাভেদ মিয়াঁদাদের ওই ছক্কা আমাদের মন থেকে চিরকালের জন্য মুছে দিয়েছিল ও।
হ্যাঁ, এটাই সচিন।
সচিন এমন একজন মানুষ যার মূল্যবোধ প্রখর। ও সব সময় নিজের বন্ধুদের পাশে দাঁড়াবে। সব সময় ও পরিবারের লোকজন নিয়ে খোঁজখবর নেবে। খুব সহজে, ওর পা দুটো খুব শক্ত ভাবে মাটির উপর দাঁড়িয়ে।
একটা ব্যক্তিগত ঘটনা মনে পড়ে গেল। তখন আমরা সিএনএন আইবিএন শুরু করছিলাম। চ্যানেল লঞ্চের আগে সচিনের একটা বাইট দরকার ছিল, তাই ওর এজেন্টকে ফোন করেছিলাম।
ওর এজেন্ট বলল, সচিন নিশ্চয়ই বাইট দেবে। কিন্তু যেহেতু সেটা নিয়ে প্রচার আর বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে, তাই সচিনের সঙ্গে কয়েকটা শর্ত নিয়ে আলোচনা করা দরকার। তা শর্তগুলো শুনে সচিনকে একটা এসএমএস করে বলেছিলাম, তুমি এটা করতে পারলে আমরা কৃতজ্ঞ হয়ে থাকব। মাত্র পাঁচ মিনিটে ওর পাল্টা এসএমএস এল, তোমার ক্যামেরাম্যান আর রিপোর্টার পাঠিয়ে দাও। এক্ষুনি করে দিচ্ছি।
সত্যিই ও কাজটা করে দিয়েছিল। আর তার জন্য টাকাও নেয়নি। এটা থেকেই বোঝা যায় সচিন কী রকম মানুষ। পুরনো বন্ধুদের মূল্য ওর কাছে কতটা।
মনে আছে ১৯৮৬ না ১৯৮৭-তে আমরা সবাই ওর জন্য সই সংগ্রহ অভিযানে নেমেছিলাম। আমাদের দাবি ছিল সিসিআই-এ যেন জুনিয়র সদস্য হিসেবে ওকে নেওয়া হয়। কিন্তু ওদের তখন নিয়ম ছিল যে, আঠারো বছরের কমবয়সিদের আবেদন গ্রাহ্য করা হবে না। তাই আমরা সবাই ওই অভিযানে নেমেছিলাম। পরে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম দেখে যে ঘটনাগুলো ও মনে রেখেছে।
সচিনের নিষ্পাপ দিকটাও আমার মনে আছে, যখন ওর সঙ্গে হংকংয়ে সুপার সিক্স না সুপার সেভেন একটা টুর্নামেন্টে গিয়েছিলাম। এখনও মনে আছে, ওই গোটা সফরে সচিনের একমাত্র ফোকাস ছিল হংকংয়ের প্রত্যেকটা রেস্তোরাঁয় গিয়ে স্পেয়ার রিব চেখে দেখা! তখন ও একদম ছোট্ট একটা বাচ্চা হয়ে গিয়েছিল, যাকে দূর থেকে আমরা শ্রদ্ধা করতাম।

ও কি আমাকে কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছে
এখন সচিনের অবসরের দিন এগিয়ে আসছে আর আমার শুধু মনে হচ্ছে, যে দিন ঘুম থেকে উঠে ভারত আবিষ্কার করবে যে সচিন তেন্ডুলকর আর খেলবে না, সে দিন কী হবে!
আমার মনে হয় তখন বিরাট একটা শূন্যতা তৈরি হবে। কিন্তু আজ তো ক্রিকেট কার্নিভাল চলছেই, তাই ওর অবসরের পরেও আমরা সবাই ক্রিকেট দেখব। আমরা সবাই বিরাট কোহলির ব্যাটিং উপভোগ করব। কিন্তু ক্রিকেট রোম্যান্টিকদের নিশ্চয়ই মনে হবে, ওর অবসরের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের একটা অংশও যেন চিরতরে হারিয়ে গেল।
আর এটা আমি বলছি গাওস্কর-প্রজন্মের একজন হওয়া সত্ত্বেও। আজ আমার ছেলের বয়স আঠারো। ও সচিন-প্রজন্মের ছেলে। সচিন কিন্তু আমাকে আর আমার ছেলের মতো দু’টো প্রজন্মকে প্রভাবিত করতে পেরেছে। এটা এমন একটা ঘটনা, যেটা হয়তো আর কোনও দিন ঘটবে না।
কেউ কেউ আমাকে সচিনের উত্তরাধিকার নিয়ে জিজ্ঞেস করেন। আমার মনে হয় আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পরে ভারতীয় ক্রিকেটকে দু’টো অধ্যায়ে মনে রাখা হবে সচিন-পূর্ব যুগ আর সচিন-পরবর্তী যুগ। আজ যেমন আমরা বলি যে, ভিক্টর ট্রাম্পার ছিলেন ব্র্যাডম্যান-পূর্ব যুগের ব্যাটসম্যান আর পন্টিং ও চ্যাপেল ভাইরা ব্র্যাডম্যান-পরবর্তী যুগের। মনে হয় আমাদের দেশেও এই একই জিনিস হবে। আর হ্যাঁ, এটা বলছি সুনীল গাওস্করকে মাথায় রেখেই। আরও বলি, পঞ্চাশ বছর পরে সানিকে মনে রাখা হবে এমন একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে যে সচিন-পূর্ব যুগে খেলত। ভাবতে পারছেন সচিন নিজের জন্য কী বিরাট উত্তরাধিকার তৈরি করে ফেলেছে?
সব শেষে বলি সে দিন কিছুটা মজা করেই কাকে যেন বলছিলাম, আমি ১৯৮৮-র ডিসেম্বরে সাংবাদিকতা শুরু করেছি আর সচিন ওর প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলা শুরু করেছিল ১৯৮৮-রই নভেম্বরে। এই নভেম্বরে সচিন নিজের বুটজোড়া তুলে রাখছে।
সচিন কি আমাকে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এ বার আমার সাংবাদিকতা ছেড়ে দেওয়া উচিত?

দেশ কেন ভালবাসে ‘সচ’কে
• সচিন মানেই এক নিষ্পাপ ছোট বাচ্চা, যাকে জায়ান্টদের বিরুদ্ধে লড়তে রিং-এর ভেতর ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। সচিন ভারতবাসীর কাছে ডেভিড বনাম গোলিয়াথের গল্প
• সচিন হল মহাশক্তিশালী প্রতিপক্ষের টক্কর নিতে নামা পাশের বাড়ির সেই প্রচণ্ড প্রতিভাবান ছেলে, যাকে সবাই আগলে রাখতে চায়
• সচিন এখনও অসাধারণ বিনয়ী। আজকালের অনেক তরুণ ক্রিকেটারের মতো সে নিজেকে জাহির করে না
• সচিনই দেশবাসীকে শিখিয়েছে যে, নিজের কাজে সেরা হলে গোটা বিশ্ব তোমার পায়ে লুটিয়ে পড়বে
• সচিন এমন একজন মানুষ যার মূল্যবোধ প্রখর। ও সব সময় নিজের বন্ধুদের পাশে দাঁড়াবে

লেখক-এডিটর-ইন-চিফ, আইবিএন১৮ নেটওয়ার্ক



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.