দীর্ঘদিন ধরে আবেদন-নিবেদনের পরে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে বদলির ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু সেই সুযোগ পেতে আবেদন জানানোর জন্য ফি হিসেবে দু’হাজার টাকা জমা দিতে হবে আবেদনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। বদলির সুযোগ না-পেলে তাঁরা ওই টাকা ফেরতও পাবেন না।
বদলি সংক্রান্ত নিয়মনীতি জানিয়ে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। তাতে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন স্কুলে ফাঁকা পদের কথা জানিয়ে কমিশন সাধারণ বদলির জন্য বছরে এক বার বিজ্ঞাপন দেবে। বিজ্ঞাপন প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে দু’হাজার টাকা দিয়ে আবেদন জানাতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
সরকারি স্কুলে বদলি বাধাত্যমূলক হলেও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে সেই নিয়ম এত দিন চালু ছিল না। তৃণমূল ক্ষমতায় এসে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাধারণ বদলি চালু করতে উদ্যোগী হয়। এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল সাধারণ বদলির খসড়া নিয়মবিধি তৈরি করেন। সম্প্রতি গেজেট-বিজ্ঞপ্তি হিসেবে সেই নিয়মবিধি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির আবেদনের ফি হিসেবে এত টাকা জমা দিতে হবে কেন?
এসএসসি-র চেয়ারম্যান প্রদীপ শূর বলেন, “সাধারণ বদলির প্রক্রিয়া বেশ লম্বা। কমিশনের সব আঞ্চলিক অফিস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞাপন দিয়ে, আবেদন খতিয়ে দেখে তবে বদলি। এতে খরচও আছে।” কোনও পদের জন্য একাধিক আবেদনকারী থাকলে অভিজ্ঞতা ও লিঙ্গের নিরিখে নম্বর দিয়ে প্রার্থী বেছে নেওয়া হবে। মহিলারা বাড়তি নম্বর পাবেন। চেয়ারম্যান জানান, ৫ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা না-থাকলে বদলির আবেদন জানানো যাবে না।
|
মমতার সাহায্য চাইলেন অধীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রাজ্যের রেল প্রকল্পের স্বার্থে সহযোগিতা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। কলকাতা ও শহরতলির মেট্রো প্রকল্পের কাজের স্বার্থে রেলের জমিতে অবৈধ ভাবে বসবাসকারীদের পুনর্বাসনে সহায়তা ও বহরমপুরে রেলের একটি ওভারব্রিজ নির্মাণে রাজ্যের ছাড়পত্র চেয়ে আজ মমতার কাছে আবেদন জানান অধীর। রাজ্যবাসীর স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী ওই সমস্যা মেটাতে এগিয়ে আসবেন বলেই তাঁর আশা। কিন্তু তৃণমূল-কংগ্রেস সম্পর্ক এতই তিক্ত যে, বরফ গলবে কি না প্রশ্ন উঠেছে। ইউপিএ সরকার থেকে তৃণমূলের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পরে উভয় পক্ষ সব ক্ষেত্রেই পারস্পরিক অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সরব। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে রেল। তিন সদস্যের ওই কমিটির মত হল, নোয়াপাড়া ও বরাহনগরের কাছে অল্প কয়েকটি পরিবারকে উচ্ছেদ করলেই কাজ শুরু করা সম্ভব। পুনর্বাসন দিতেও প্রস্তুত রেল। চিঠিতে বহরমপুরের কাছে চুঁয়াপুরের রেল ওভারব্রিজ নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতিও চেয়েছেন অধীর। |