বছর ভর সরকারি হোমের চার দেওয়ালে বন্দি থাকা ওরা সকলেই অনাথ। জন্ম থেকেই ওদের কথা বলার ও কানে শোনার ক্ষমতা নেই। এমন ৮৮ জন মূক এবং বধির আবাসিক কিশোর কিশোরীকে ভাইফোঁটার আনন্দে সামিল করালেন রায়গঞ্জের ‘সূর্যোদয়’ মূক ও বধির আবাসিক হোম কর্তৃপক্ষ। হোম কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মঙ্গলবার দিনভর মূক ও বধিররা চার দেওয়াল থেকে মুক্তি পেয়ে রায়গঞ্জ শহরের কর্ণজোড়ায় হোম চত্বরে ভাইফোঁটার আনন্দে মেতে ওঠে। হোমের তরফে মূক ও বধিরদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন পোশাক ও আতসবাজি। এ ছাড়াও তাদের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি খেলাধূলার আয়োজন করেন হোম কর্তৃপক্ষ। যা জানতে পেরে এ দিন দুপুরেই হোম কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া। তিনি বলেন, “শারীরিক ও মানসিক বিকাশের স্বার্থে আমরা চাই, মূক ও বধির আবাসিকরা সব সময় হাসিখুশি ও আনন্দে থাকুক। তাদের নিয়ে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য হোম কর্তৃপক্ষকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছি।”
হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে কোনও কারণে হারিয়ে পুলিশ উদ্ধার করার পরে আদালতের নির্দেশে ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা এখানে থাকে। হোমের অধ্যক্ষ পার্থসারথি দাস বলেন, “মূক বধির আবাসিকরা সারা বছর হোমের চার দেওয়ালে বন্দি। ওরা প্রতিবন্ধী হলেও এই সমাজের থেকে আলাদা নয়। তাই ওদের একঘেয়েমি কাটিয়ে আনন্দ দিতেই হোমের নিজস্ব তহবিলের টাকায় এ দিন ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।” |