|
|
|
|
অভিযুক্ত কাউন্সিলরের স্বামী-সহ ৪ |
মণ্ডপের সামনে বধূর শ্লীলতাহানি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
মণ্ডপে ঠাকুর দেখার সময় এক বধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী-সহ চার জনের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক শহরের পার্বতীপুর এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, কালীপূজাকে কেন্দ্র করে দু’টি ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে গোলমালের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। তমলুক পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়া দাস নায়েকের স্বামী অভিযুক্ত আনন্দ নায়েকের বক্তব্য, “দুই ক্লাবের বহিরাগতদের মধ্যে গণ্ডগোল বেধেছিল। শ্লীলতাহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক শহরের বর্গভীমা মন্দিরের কাছে মাত্র কয়েক মিটার দূরত্বের ব্যবধানে কালীপুজোর আয়োজন করেছে বর্গভীমা স্পোর্টিং ক্লাব ও সবুজপাতা ক্লাব। পাশাপশি দু’টো পুজোকমিটির মধ্যে গণ্ডগোল চলছিল গত কয়েকদিন ধরে। রবিবার রাতে সবুজ পাতা ক্লাবের সামনে দুই ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে গোলামাল বাধে। সোমবার রাতে বর্গভীমা স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে দু’পক্ষের সদস্যদের মধ্যে ফের ধস্তাধস্তি হয়।
অভিযোগকারী বধূর ভাই সবুজপাতা ক্লাবের এক কর্মকর্তা। বধূর অভিযোগ, “সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ পরিবারের কয়েকজনের সঙ্গে আমি ও আমার ভাই ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম। বর্গভীমা স্পোর্টিং ক্লাবের মণ্ডপের সামনে সম্পাদক আনন্দ নায়েক ও তাঁর তিন সঙ্গী আমার উদ্দেশে কটূক্তি করেন। আমি প্রতিবাদ জানালে অভিযুক্তরা আমাকে ঠেলে ফেলে দেয়, মারধর করে। ভাই বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করে ওরা।”
বর্গভীমা স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্যদের অবশ্য দাবি, গোলমালের সময় ভাইকে থামাতে গিয়েছিলেন ওই বধূ। তখনই টানা-হ্যাঁচড়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। |
|
|
|
|
|