|
|
|
|
ক্ষোভে সিপিএম কার্যালয়ে ভাঙচুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য দিবাকর জানা দলীয় অফিসের সামনে আক্রান্ত হওয়ার প র রাতেই নোনাকুড়ি বাজার ও মেচেদায় সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সিপিএম জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, নোনাকুড়ি বাজারে চোলাই মদের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় নিয়ে বিরোধের জেরে তৃণমূল নেতা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের সম্পর্ক না থাকলেও তৃণমূল নেতৃত্বের প্ররোচনায় তাদের দলীয় কার্যালয়গুলিতে ভাঙচুর হয়। সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক কানু সাহুর অভিযোগ, “সোমবার রাত ৯টা নাগাদ
একদল তৃণমূল সমর্থক নোনাকুড়ি বাজারে আমাদের জোনাল কমিটি ও মেচেদা বাজারে লোকাল কমিটির অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। আমরা এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক সভাপতি বিভাস কর বলেন, “দিবাকরবাবুর নেতৃত্বে কয়েকদিন আগে নোনাকুড়ি বাজারের চোলাই মদের ঠেকে আমাদের সমর্থকরা ভাঙচুর চালান। এরপর ওই সব চোলাই মদের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সিপিএমের স্থানীয় নেতাদের গোপন আঁতাত হয়। সোমবার দুপুরে আমাদের দলীয় নেতা দিবাকর জানার উপর আক্রমণের ঘটনায় সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই জড়িত ছিল। সেই জনরোষে এধরনের বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।”
পুলিশ জানিয়েছে সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা। দিবাকরবাবুর উপরে হামলার ঘটনায় নোনাকুড়ি বাজারের এক ব্যবসায়ী বসন্ত দুয়ারী ওরফে নাণ্টুকে মঙ্গলবার দুপুরে তমলুক থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবারই এক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ সহিদুল ও তাঁর তিন ভাই পলাতক এখনও।
এ দিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নোনাকুড়ি বাজারে সিপিএম জোনাল কমিটির অফিসের সামনে হলদিয়া-মেচেদা সড়কের উপর সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য সমরেশ সামন্তকে তৃণমূল সমর্থকরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। তখন সমরেশবাবুর মোটর সাইকেলও ভাঙচুর করে দেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|