|
|
|
|
পথচলতি ভাইদের ডেকে ফোঁটা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
বোনের বাড়ি পৌঁছনোর আগে রাস্তাতেই মাঙ্গলিক ফোঁটা পেলেন ‘ভাইয়েরা’।
ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় বোনেদের ফোঁটা দেওয়াটাই রীতি। কোথাও কোথাও হয় গণ-ভাইফোঁটাও। তাই বলে পথ চলতি ভাইয়েদের ডেকে বোনেদের ফোঁটা দেওয়ার ঘটনা সে ভাবে মেলে না। মঙ্গলবার ‘যম-যমুনার পুজো’ করে তেমনটাই করে দেখাল দাসপুরের জ্যোতবাণী শুভ ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উৎসব ও যম-যমুনা পুজো কমিটি। ‘যম-যমুনা’র পুজোর মধ্য দিয়ে এ দিন সকালে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পুজো শেষে ফোঁটা দেওয়ার পালা। প্রথমে কমিটির সদস্যদের মাঙ্গলিক ফোঁটা দেওয়ার পর শুরু হয় পথচলতি মানুষকে ফোঁটা দেওয়া। সংস্থার পক্ষে সন্ন্যাসী ভুক্তা, পুলকেশ সামন্তরা বলেন, “প্রায় সাতশো মানুষকে ফোঁটা দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই সংখ্যাটা একটু একটু করে বাড়ছে।” |
|
দাসপুরে যম-যমুনা পুজো কমিটির মণ্ডপে।—নিজস্ব চিত্র। |
গ্রামের পূজা ভুক্তা, শম্পা সামন্ত, সুমনা রায়, কৃষ্ণা বেরা-সহ অন্যরা বাড়িতে দাদা-ভাইকে ফোঁটা দিয়ে সাত সকালই চলে আসে যম-যমুনা পুজো কমিটির নির্ধারিত জায়গায়। তারপরই মাতে উৎসবে। আয়োজনে তেমন বাহুল্য না থাকলেও কম নেই তাঁদের আন্তরিকতায়। পুজো কমিটির পক্ষে প্রশান্ত প্রামাণিক বলেন, “আমাদের গ্রামে দুর্গা থেকে সরস্বতী সব পুজোই হয়। তবুও এই যমপুজোর আকর্ষণই আলাদা। সব ধর্মের মানুষকে ফোঁটা দিয়ে একাত্ম হতেই এই উদ্যোগ।” তাঁর সংযোজন, “গ্রামের সকলের মতামত নিয়ে বছর পাঁচেক আগে যমপুজো শুরু হয়। প্রথম দিকে সে রকম সাড়া না পেলেও এখন অনেকেই আমাদের উৎসাহ দিচ্ছেন। এ বারের বাজেট লক্ষাধিক টাকা।”
অন্য দিকে, বোনের বাড়ি পোঁছনোর আগেই রাস্তায় ফোঁটা নিয়ে আবেগে আপ্লুত বেলতলার অমর শাসমল, দাসপুর শহরের কৌশিক মণ্ডল, ধানখালের বৃদ্ধ হরিহর সামন্ত, কলমীজোড়ের গণেশ মাঝিরা। অমরবাবুর কথায়, “ফোঁটা নিতে জ্যোতবাণী গ্রামের রাস্তা দিয়ে বোনের বাড়ি যাচ্ছিলাম। গ্রামে ঢুকতেই আমাদের ফোঁটা দিয়ে মিষ্টি খাইয়ে ছাড়ল তবেই ছাড়ল ‘বোনেরা’। খুব ভাল লেগেছে। এমন অনুষ্ঠান এই প্রথম দেখলাম।” ভাইদের খুশিতে আপ্লুত বোনেরাও। |
|
|
|
|
|