টুকরো খবর |
বিক্ষুব্ধদের সতর্ক করলেন সুব্রত
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
তৃণমূলের কর্মিসভায় সুব্রত বক্সী। |
মঙ্গলবার মেদিনীপুরে কর্মিসভা করল তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সী। সভা থেকে একক ভাবে পুরসভা দখল করার ডাক দেন সুব্রতবাবু। পাশাপাশি ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দেন তিনি। সুব্রতবাবু এ দিন বলেন, “মান-অভিমান-ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতে পারে। কিন্তু, দলের সিদ্ধান্ত সকলকে মেনে চলতে হবে। কর্মী হিসেবে আমাদের সকলের কিছু দায়দায়িত্ব আছে। কে কার পছন্দ, পছন্দ নয়, দেখার দরকার নেই। মনে রাখবেন, প্রার্থী তালিকা অনুমোদন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি দলের সিদ্ধান্ত খারাপ লাগে, বিশ্রাম নিন। বিব্রত করবেন না। অন্যদের বিচলিত করার চেষ্টা করবেন না।” বস্তুত, প্রার্থী নিয়ে ঝাড়াই-বাছাইয়ের কাজ শুরু হতে এ বার মেদিনীপুরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসে। ওয়ার্ডগুলোয় কে দলের মনোনীত প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি চলে। পরিস্থিতির প্রভাব পৌঁছয় জেলার শীর্ষস্তরে। কয়েকটি ওয়ার্ডে দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ কর্মীরা প্রার্থীও হয়েছেন। দলের প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়ে সুব্রতবাবু বলেন, “নির্বাচন ছোট হোক কিংবা বড়। নির্বাচন মানে দলকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আপনারা মানুষের কাছে পৌঁছন।”
|
জন্মশতবর্ষে স্মরণ সুকুমার সেনগুপ্তকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
সুকুমার সেনগুপ্তের ১০১ তম জন্মদিবস পালন করল সিপিএম। মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই উপলক্ষে কর্মসূচি হয়। মেদিনীপুরের মিরবাজারে ‘সুকুমার সেনগুপ্ত মার্কসবাদী শিক্ষাকেন্দ্র’র সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। প্রয়াত নেতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। ১৯১৩ সালের ৫ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন সুকুমার সেনগুপ্ত। ১৯৯৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁর জীবনাবসান হয়। প্রয়াত নেতার স্মৃতিতে পরের বছর অর্থাৎ, ১৯৯৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এই ‘মার্কসবাদী শিক্ষাকেন্দ্র’ চালু হয়। অনুষ্ঠানে দীপকবাবু বলেন, “সুকুমারদার মৃত্যুর পর স্মরণসভার দিনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তাঁর স্মৃতিতে মার্কসবাদী শিক্ষাকেন্দ্র চালু করব। সেই মতো এক বছরের মাথায় এই শিক্ষাকেন্দ্র চালু হয়। গৃহিত সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে। কর্মসূচিগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। এখন এটাই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “আক্রমণ ও চক্রান্ত চলছে। এ সব চলবে। এই আক্রমন মোকাবিলায় চাই সাহস- ধৈর্য্য- তৎপরতা। সুকুমারদাই আমাদের এটা শিখিয়েছেন। প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করেই আমাদের এগোতে হবে।” অনান্য নেতৃত্বের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তরুণ রায়, হরেকৃষ্ণ সামন্ত প্রমুখ। এদিন দলের জেলা কার্যালয়ের সামনেও সুকুমার সেনগুপ্তের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, প্রয়াত নেতার স্মরণে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হলে এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন করতে এই সভার আয়োজন। সুকুমার সেনগুপ্ত অবিভক্ত মেদিনীপুরে সিপিএমের জেলা সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি জেলার স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণসংগ্রাম এবং কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম অগ্রপথিক তিনি।
|
স্ত্রীকে মারধর, গ্রেফতার স্বামী
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্বামী। মঙ্গলবার সকালে ডেবরার দয়ালপুরের বাসিন্দা কিঙ্কর দে-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রী সুমিতা দে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। স্বামী ছাড়াও ভাসুর ও জায়ের নাম করেছেন ওই বধূ। বাকি দু’জন পলাতক। বছর তিনেক আগে ডেবরার গোপালপুরের তরুণী সুমিতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কিঙ্করের। তাঁদের দেড় বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। পেশায় সুদের কারবারি কিঙ্কর স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই বিরূপ আচরণ করতেন বলে অভিযোগ। সুমিতাদেবী আরও জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে জা সাবিত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের পরে সে কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ জানান সুমিতা। এর পর থেকেই ভাসুর শঙ্কর ও জা সাবিত্রীর মদতে স্বামী কিঙ্কর তাঁকে মারধর করতেন।
|
দুঃস্থদের সাহায্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
কালীপুজো উপলক্ষে তিন দুঃস্থ পড়ুয়ার পড়াশুনোর ভার নিল এক কালীপুজো কমিটি। এই উপলক্ষে সোমবার রাতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে খড়্গপুরের বড়বাতি মহাকালী মন্দির পুজো কমিটি। সেখানেই এলাকার দুঃস্থ মেধাবী পড়ুয়া শ্রাবণী সামন্ত, রনি রাউত ও ধনঞ্জয় রাউতের পড়াশুনোর ভার নেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়। এই মর্মে তাদের প্রতিশ্রুতিপত্রও দেওয়া হয়। রনি ও ধনঞ্জয় দুই ভাই। তাদের বাবা সুভাষ রাউত চলতি বছরেই মারা গিয়েছেন। তিনি ওই পুজো কমিটির সদস্য ছিলেন। অনুষ্ঠানে সুভাষবাবুর স্ত্রী সান্ত্বনা রাউতের হাতেও অর্থসাহায্য তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও এলাকার ১৫০ জন দুঃস্থকে কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও সন্তোষকুমার মণ্ডল, আইসি অরুণাভ দাস প্রমুখ। পুজো কমিটির সম্পাদক খোকন সরকার জানান, আগামী দিনেও তাঁরা দুঃস্থ পড়ুয়াদের পড়াশুনোর খরচ বহনের দায়িত্ব নেবেন। |
|