পরবাসী ভাইয়ের কপালে নেটে ফোঁটা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ভাই-বোনের চিরন্তন মধুর সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েই মহাড়ম্বরে পালিত হল ভাইফোঁটা। যে সব বোনেরা দাদা-ভাইদের কাছে পেলেন, তাঁরা কপালে তিলক পরিয়ে মঙ্গলকামনা করলেন। যাঁরা দূরে থাকেন, তাঁদের অনেকে আবার ফোঁটা দিলেন নেটে। ফেসবুক, ট্যুইটারেও ভাইফোঁটার শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া-নেওয়া চলল। মফস্সল শহর মেদিনীপুরেও দেখা গেল এই ছবি। |
|
ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে সামিল শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। |
একটা সময় দূরে থাকা দাদা-ভাইদের কল্যাণে দরজার চৌকাঠ বা বেলপাতায় ফোঁটা দিতেন বোন-দিদিরা। এখন ইন্টারনেটের জালে গোটা দুনিয়া বাঁধা পড়েছে। স্কাইপিতে প্রবাসী পরিজনদের সঙ্গে কথা বলা এখন মধ্যবিত্ত পরিবারেও রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেদিনীপুরেও সেই আধুনিক প্রযুক্তিতে ভাইফোঁটা দেওয়া হল বেশ কিছু পরিবারে। যেখানে ভাই-বোনের দেখা হল, সেখানে পরতে পরতে মানা হল রীতি। কারুকাজ করা আসনে বসে, শাঁখ বাজিয়ে ফোঁটা দিলেন বোনেরা। তারপর মিষ্টিমুখ ও পাত পেড়ে ভুরিভোজ।
মেদিনীপুর শহরের পাল বাড়ি, স্টেশন রোড-সহ বিভিন্ন এলাকায় গণভাইফোঁটার আয়োজনও করা হয়। পালবাড়ির গণভাইফোঁটার উদ্যোক্তা এলাকার কংগ্রেস নেতা সৌমেন খান ও স্টেশন রোডে তৃণমূল নেত্রী মৌ রায়। অনুষ্ঠানে এলাকার সকলের আমন্ত্রণ ছিল। সকলকে মিষ্টিমুখ করানোর আয়োজনও ছিল। |
|
স্টেশন রোডের এক অনুষ্ঠানে বিধায়ক মৃগেন মাইতির কপালে ফোঁটা দিচ্ছেন স্থানীয় এক মহিলা। |
পিংলার করকাই গ্রামের মানুষও এমনই এক গণভাইফোঁটার আয়োজন করেছিলেন। মৌ রায়ের কথায়, “এখন তো সকলে একটিই সন্তান চান। তাই ভাই-বোনের ব্যাপারটা সব পরিবারেই থাকে এমন নয়। তবে আমরা সকলকেই একই আসনে বসিয়ে ফোঁটা দিতে চাই। তাই প্রতি বছরই এই ধরনের অনুষ্ঠান করি।” আর এক উদ্যোক্তা সৌমেন খান বলেন, “এমন অনুষ্ঠানের আলাদা আনন্দ রয়েছে। ভাইবোনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও মধুর করাই আমাদের লক্ষ্য।”
|
—নিজস্ব চিত্র। |
|