|
|
|
|
শহরে সরকারি কাউন্টারে আলু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সরকার নির্ধারিত দামে সরকারি ভাবেই আলু বিক্রি শুরু হল মেদিনীপুর শহরে। মঙ্গলবার, ভাইফোঁটার দিন শহরে দু’টি সরকারি কাউন্টার খোলা হয়। একটি খোলা হয়েছে জেলা পরিষদে, অন্যটি জেলা কালেক্টরেটে। এখান থেকে আপাতত কয়েকদিন সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৩ টাকা কেজি দরে সাধারণ ক্রেতারা আলু পাবেন। এ দিন কাউন্টার দু’টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ ও কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ। ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন আধিকারিক ব্রজেন সরকারও। এ দিন প্রত্যেক ক্রেতাকে সর্বোচ্চ ৩ কেজি করে আলু দেওয়া হয়েছে। কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “সাধারণ মানুষ যাতে সরকার নির্ধারিত দামেই আলু পান সে ব্যাপারে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ করছি। প্রয়োজনে আরও কাউন্টার খোলা হবে।” |
|
জেলা পরিষদের সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রয় কেন্দ্রে লম্বা লাইন। ছবি: কিংশুক আইচ। |
সোমবার মেদিনীপুর শহর-সহ জেলার বিভিন্ন বাজার ও গুদামে হানা দিয়েছিল কৃষি বিপণন দফতর। কয়েক বস্তা আলু আটকের পাশাপাশি ২৫ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। তারপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ীরা। বেশিরভাগ বাজারেই আলু ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের আলু বিক্রি করতেও অস্বীকার করেন। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের পাইকারি দামে কেজি প্রতি ১৩-১৪ টাকায় আলু কিনতে হয়েছে। তার উপর রয়েছে পরিবহণ খরচ, বাজারে বসে বিক্রির শ্রম। তাহলে ১৩ টাকা করে কেজি দরে কী ভাবে তাঁরা আলু বিক্রি করবেন? এর ফলে ক্রেতারা সমস্যায় পড়েন। শহরবাসী চন্দ্রনাথ মাইতির কথায়, “ভাবা যায়, বাজারে যর বিক্রেতারা সাফ জানিয়ে দিচ্ছে আলু দেবেন না। প্রথমটাই তো ভ্যাবাচাকা খেয়ে যায়। পরে আলু না কিনেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে।”
মঙ্গলবার আলু বিক্রির সরকারি কাউন্টার চালু হওয়ায় খুশি শহরের মানুষ। গোপাল দাসের কথায়, “১৭-১৮ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে হচ্ছিল। ধরপাকড়ের দাপটে তো বিক্রেতারা আলু বিক্রিই বন্ধ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে কাউন্টার না করলে বিপাকে পড়তে হত। ভেবেছিলাম ৫-৭ কেজি আলু কিনে বাড়ি ফিরব। তবে ৩ কেজির বেশি দিল না।”
প্রশাসন জানিয়েছে, একজনকেই বেশি আলু দিয়ে দিলে বেশিরভাগ ক্রেতাকে আলু দেওয়া যেত না। তাছাড়া কাউন্টার যখন টানা চলবে, তখন এক সঙ্গে বেশি আলুর প্রয়োজনই বা কোথায়। তিন কেজিতেই তো কয়েকদিন চলে যাবে। প্রথম দিনে দু’টি কাউন্টার থেকে প্রায় ৪০০ কুইন্টাল আলু বিক্রি হয়েছে বলে কৃষি বিপণন দফতর জানিয়েছে। প্রশাসনের আশা, সরকারি
কাউন্টার খোলায় খোলা বাজারেও আলুর দাম কমে যাবে। এ বার বাজারেও সাধারণ ক্রেতারা ১৩ টাকা কেজি দরেই আলু পাবেন। যতদিন না সেই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, ততদিন সরকারি ভাবে আলু বিক্রি চলবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। |
|
|
|
|
|