|
|
|
|
প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূল নেতৃত্ব, তুলনায় ঝিমিয়ে বাম শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক শিবিরে প্রচার ঘিরে উত্তাপ চড়ছে। কবে কোন নেতা কোথায় সভা করবেন, তা চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত নেতৃত্ব। অন্য শিবির তুলনায় নিরুত্তাপ। সে ভাবে সভাই হবে না। ফলে, ব্যস্ততা নেই। আসন্ন পুরভোটে তৃণমূল-সিপিএম, দুই শিবিরের ছবিটা এমনই।
মেদিনীপুরে আগামী ২২ নভেম্বর পুরসভা নির্বাচন। হাতে সময় নামমাত্র। দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের প্রচারে একঝাঁক মন্ত্রী আসতে পারেন। সঙ্গে আসছেন মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীর মতো দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্যদিকে, পুরভোটকে সামনে রেখে বড় কোনও সভা করার ভাবনাই নেই সিপিএমের। বদলে কয়েকটি কর্মিসভা হতে পারে। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিছু কৌশল নিতে হচ্ছে। বড় সভা হবে না। কয়েকটি এলাকায় কর্মিসভা হবে।”
গত পাঁচ বছর পুরসভা ছিল কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের দখলে। তবে, ২০০৮ সালে পুরভোটের আগে দু’দলের জোট হয়নি। জোট হয়েছিল ভোটের পর। এ বারও জোট হয়নি। তৃণমূল ও কংগ্রেস দু’দলই ২৫টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে। রাজ্যে পালাবদলের পর বিভিন্ন পুরভোটে সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। মেদিনীপুরেও সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে মরিয়া শাসকদল। ইতিমধ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সভা শুরু হয়েছে। প্রচার কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন দলের জেলা চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি, জেলা সভাপতি দীনেন রায়, শহর সভাপতি সুকুমার পড়্যা প্রমুখ। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মৃগেন মাইতির বক্তব্য, “প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচার চলছে। আগামী দিনে সভাও হবে। আমরা উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোটে যাচ্ছি। তাই সব ওয়ার্ডে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী। খুব কম হলেও ১৯-২০টা ওয়ার্ডে জিতবই।”
বসে নেই সিপিএমও। ইতিমধ্যে কর্মিসভা করেছেন দলের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। প্রচার কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন জোনাল সম্পাদক কীর্তি দে বক্সী সহ জেলা কমিটির কয়েকজন নেতা। কীর্তিবাবু আবার নিজেও পুরভোটের প্রার্থী। পুরভোটের ফল কী হবে? দীপকবাবুর জবাব, “ফল কী হবে, তা জনগণ বলবে। গত পাঁচ বছরে পুরসভা কেমন চলেছে, তা শহরবাসী দেখেছেন। রাজ্য সরকারের নানা পদক্ষেপের জন্যও মানুষের মধ্যে ক্ষোভ-যন্ত্রণা রয়েছে। গণতন্ত্রে জনগণই শেষ কথা বলেন।”
দলীয় সূত্রে খবর, বড় সভার বদলে বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দিচ্ছেন সিপিএম নেতৃত্ব। দলের জেলা কমিটির এক নেতার কথায়, “পরিস্থিতি এখনও প্রতিকূল। চোরাগোপ্তা হামলা চলছেই। বড় সভা হলে প্রচুর কর্মী-সমর্থক আসবেন। কিন্তু, পরে সভায় আসা কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা হতে পারে।
ওই নেতা আরও বলেন, “আমরা আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগতে রাজি নই। সভায় বেশি জমায়েত হলে কর্মী-সমর্থকদের একাংশ আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগতে পারেন। এ বার তাই বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দিয়েছি।” কাল, বৃহস্পতিবার শহরে মিছিল করবে সিপিএম। তাতে প্রতিটি ওয়ার্ডের কর্মীরা সামিল হবেন। দলীয় সূত্রে খবর, সময়ে ভোট না-হওয়ার বিষয়টিকে প্রচারে আনছে সিপিএম। ২০০৮ সালের ২৯ জুন রাজ্যের অন্য ১২টি পুরসভার সঙ্গে মেদিনীপুরে পুর-নির্বাচন হয়েছিল। ১৮ জুলাই পুরবোর্ড গঠন হয়। সাধারণত, পুরনো বোর্ডের মেয়াদ ফুরনোর আগেই পুর-নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এ বার তা হয়নি। সিপিএমের জোনাল কমিটির এক নেতার কথায়, “নির্বাচন তো হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। সময়ে নির্বাচন হলে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হত না।” প্রচারে শহরবাসীর কাছে সবই তুলে ধরছে সিপিএম। |
|
|
|
|
|