|
|
|
|
মেঘালয়ে জঙ্গি হানায় হত পাঁচ পুলিশকর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গোয়ালপাড়ায় গণহত্যার পরপরই ফের আঘাত হানল গারো জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ। এ বার পুলিশের গাড়ি আক্রমণ করে ৫ পুলিশকর্মীকে হত্যা করল তারা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ গারো পাহাড়ের মেঘালয়-বাংলাদেশ সীমান্তে।
সম্প্রতি, জিএনএলএ সেনাপ্রধান সোহন ডি সিরার বাড়িতে হানা দিয়েছিল যৌথবাহিনী। উদ্ধার হয় প্রচুর টাকা, বিস্ফোরক। সোহনের শ্যালককে গ্রেফতার করা হয়। তারপরই, জিএনএলএ প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছিল। গারো পাহাড়ের সব থানাকে সতর্ক করা হলেও, জঙ্গিহানা আটকানো গেল না।
পুলিশ জানায়, বাগমারি থেকে পুলিশের ওই গাড়িটি তুরা কারাগারের দিকে রওনা দিয়েছিল। গাড়িতে ছিলেন একজন হাবিলদার ও চার কনস্টেবল। তুরা কারাগার থেকে এক বিচারাধীন জঙ্গিকে নিয়ে তাঁদের ফেরার কথা ছিল। আজ সকাল ১১টা নাগাদ কাপাসিপাড়ার বাংজাকোনা গ্রামের কাছে ২৫-৩০ জন জঙ্গি গাড়িটির সামনে গ্রেনেড ছোঁড়ে। বিস্ফোরণের জেরে গাড়িটি থামতেই রাস্তার পাশের জঙ্গল থেকে গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। লুটিয়ে পড়েন পাঁচ পুলিশকর্মী। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। নিহতদের নাম রাক্কি সি সাংমা, গাড়ির চালক লেকিচাইন রিংক্লেম, বিপুল রাভা, মানসান্তার নোংধার ও হাবিলদার দণ্ডিরাম মারাক। জঙ্গিরা তিনটি একে ৪৭ রাইফেল ও একটি কার্বাইন লুঠ করে পালায়। পুলিশের সন্দেহ, জিএনএলএ কম্যান্ডার রাক্কামের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার পরে এলাকায় সেনা অভিযান শুরু হয়। রাজ্য পুলিশের ডিজি পিটার জেম্স পাইরংপে হানামান ঘটনাস্থলে যান। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোশন ওয়ারজিরি বলেন, “জঙ্গিরা কাপুরুষের মতো কাজ করেছে। অপরাধীদের ধরার চেষ্টা চলছে। তাদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।” গারো পাহাড়ের পাঁচটি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ওয়ারজিরি আরও জানান, জিএনএলএ-র দৌরাত্ম্য মোকাবিলায় যৌথভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আগামীকাল অসমের ডিজি জয়ন্তনারায়ণ চৌধুরির সঙ্গে দেখা করবেন মেঘালয়ের ডিজি হানামান। অসম-মেঘালয় সীমানার দু’দিকে যৌথ টহলও চলবে। গোয়ালপাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার এবং দু’রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।
অসমের মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, রাজীবলোচন পেগু, নীলমণি সেন ডেকা ও রকিবুল হুসেন গেন্দেরাবাড়ি পরিদর্শনের পর জিএনএলএ জঙ্গিদের আক্রমণে নিহত ৭ জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। হাসপাতালে ভর্তি জখমদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। নিহতদের পরিবারকে ১ লক্ষ করে এবং জখমদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। জেলাশাসক, এসপি-র সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন মন্ত্রীরা।
|
|
|
|
|
|