|
|
|
|
নেহরুই পটেলকে সাম্প্রদায়িক বলেন, দাবি আডবাণীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সর্দার বল্লভভাই পটেলের দখল নিয়ে বিতর্কে আজ নতুন মোড় এনে দিলেন বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী।
ক’দিন আগেই আমদাবাদে সর্দার পটেল জাতীয় সংগ্রহশালা উদ্বোধনে দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বাগ্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। মোদী বলেন, নেহরুর বদলে পটেল দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের নকশাটাই বদলে যেত। মনমোহনও মোদীকে খোঁচা দিয়ে বলেন, সারাটা জীবন ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাব নিয়ে অখণ্ড ভারতের জন্য লড়াই করে গিয়েছেন পটেল। আজ তাঁর সেই আদর্শের ঘাটতিই দেখা যায় বেশ কিছু রাজনীতিকের মধ্যে। এই বিতণ্ডায় আজ নতুন মাত্রা দিলেন আডবাণী।
নিজের ব্লগে তিনি এক প্রাক্তন আইএএস অফিসার এম কে কে নায়ারের একটি বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। মনমোহনের পরে কংগ্রেসের অন্য নেতারাও পটেলকে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। দাবি করছেন পটেল কোনও কালেই হিন্দুত্ববাদী শক্তিকে সমর্থন করেননি। সেই বই উদ্ধৃত করে আজ আডবাণী বলেছেন খোদ নেহরুই এক সময়ে পটেলকে ‘সর্ম্পূণ সাম্প্রদায়িক’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। গুজরাতে বিশ্বের সব থেকে উঁচু পটেল-মূর্তি বসিয়ে মোদী ইতিমধ্যেই নেহরুর তথাকথিত প্রতিদ্বন্দ্বী পটেলকে বিকল্প জাতীয়তাবাদের মুখ হিসাবে তুলে ধরার কৌশল নিয়েছেন। কংগ্রেসের ভিতর থেকেই নেহরুর প্রতিদ্বন্দ্বীকে তুলে ধরে নেহরু-গাঁধী পরিবারকে খাটো করে দেখানো তাঁর লক্ষ্য। সেই বিতর্ককেই আজ আরও উস্কে দিলেন আডবাণী।
নায়ারের বই উদ্ধৃত করে ব্লগে আডবাণী লিখেছেন, স্বাধীনতার পর হায়দরাবাদের দখল নেওয়ার জন্য পটেল সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিলে নেহরু এই মন্তব্য করেন। পটেলের সুপারিশও তিনি প্রত্যাখ্যান করে দেন। পরে অবশ্য গভর্নর জেনারেল চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারির কৌশলী হস্তক্ষেপে পটেলের সুপারিশ মানতে বাধ্য হয়েছিলেন নেহরু।
ঘটনাচক্রে আজ সেই হায়দরাবাদেই ছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি সর্দার বল্লভভাই পটেল পুলিশ অ্যাকাডেমিতেও যান। আইপিএস প্রোবেশনারদের বলেন, দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে সর্দার পটেলই অল ইন্ডিয়া সার্ভিসগুলি তৈরি করেছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর যুবক অফিসারদের উদ্দেশে পটেল বলেছিলেন, ‘প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত রাখার জন্য আমি আপনাদের পরামর্শ দেব। এক জন প্রশাসক হিসাবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত নয়। আমলারা যেন সাম্প্রদায়িক বিতর্কে জড়িয়ে না পড়েন।’ রাষ্ট্রপতি বরাবরই রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন। আজ হায়দরাবাদে তাঁর অনুষ্ঠানটিও অনেক আগে নির্ধারিত ছিল। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের মধ্যেও সূক্ষ্ম খোঁচা রয়েছে। পটেলের ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যেমন তিনি স্মরণ করিয়েছেন, তেমনই পুলিশের সাম্প্রদায়িক বিষয়ে জড়িয়ে না পড়ার উদ্ধৃতির মধ্য দিয়ে কৌশলে গুজরাতের কথাও মনে পড়িয়েছেন। গুজরাতে দাঙ্গার সময়ে মোদী প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল।
|
পুরনো খবর: সর্দারকে নিয়ে নতুন যুদ্ধে মোদী ও কংগ্রেস |
|
|
|
|
|