এক বধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ভাতার থানার ভূমসোর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম হায়াতুন্নেসা বেগম (২১)। হায়াতুন্নেসার স্বামী, দেওর, দুই ননদ ও শ্বশুর, শাশুড়ির বিরুদ্ধে ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর দাদা সাদেক আলি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বধূ।
মঙ্গলকোট থানার পূর্বনোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাদেক আলির অভিযোগ, প্রায়ই পণের টাকা আনার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হত হায়াতুন্নেসার উপর। অত্যাচার সইতে না পেরে বেশ কয়েকবাবু বাপের বাড়িও চলে আসে সে। তবে বোঝানোর পরে আবার ফেরত চলে যায়। সাদেক আলি আরও জানান, তাঁর বোনের স্বামী শেখ কামরুজ্জামান কর্মসূত্রে কেরলে থাকেন। বাড়ি আসেন মাঝেমধ্যে। দাদা না থাকার সুযোগ নিয়ে দেওর সাহাজামান তাঁর বোনকে কুপ্রস্তাব দিত বলেও তাঁর অভিযোগ। কিন্তু হায়াতুন্নেসা সে কথা পড়শিদের জানিয়ে দেয়। সেই রাগেই সাহাজামান বোনকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে তাঁর দাবি। তাঁর অভিযোগ, এই কাজে যুক্ত শ্বশুরবাড়ির বাকি লোকেরাও। মঙ্গলবার ওই বধূর দেহ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত করানো হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে হায়াতুন্নেসার মা আজমিয়া অভিযোগ করেন, “সোমবার রাতে গ্রামের লোকেরা আমাদের টেলিফোনে খবর দেয়, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ভূমসোরে গিয়ে জানতে পারি, মেয়ের দেহ ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে পড়ে রয়েছে। সেখানে গিয়ে মেয়ের দেহ দেখি। কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ির কাউকে সেখানে দেখিনি।” একই অভিযোগ হায়াতুন্নেসার মামা হাসমত শেখেরও। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বধূকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে দেওর ও শ্বশুরবাড়ির অন্য অভিযুক্তেরা পলাতক। পুলিশ তাঁদের খুঁজছে। |