অর্পিতা মজুমদার • দুর্গাপুর |
প্রায় ন’টি পঞ্চায়েতে ফাঁকা পড়ে রয়েছে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের সহায়িকা পদটি। ফলে সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের কাজকর্ম ব্যহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে গলসি ১ ব্লকে। অবিলম্বে পদগুলি পূরণের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।
গলসি ১ ব্লকে পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৯টি। এগুলি হল বুদবুদ, চাকতেঁতুল, পারাজ, লোয়াপুর-কৃষ্ণরামপুর, লোয়া-রামগোপালপুর, মানকর, পারাজ, পোতনা পুরষা, শিরারই ও উচ্চগ্রাম। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এই সবক’টি পঞ্চায়েত এলাকাতেই ফাঁকা পড়ে রয়েছে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের সহায়িকার পদটি। ফলে কেন্দ্রের সমস্ত কাজকর্ম একা হাতে সামাল দিতে গিয়ে মুশকিলে পড়ছেন অঙ্গনওয়ারি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, বর্তমানে কেন্দ্রের কাজকর্মের পরিধি অনেক বাড়ানো হয়েছে। মিড-ডে মিলের রান্নাও করতে হচ্ছে। সহায়িকা না থাকলে সব দিক সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে।
সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প সূত্রেও জানা গিয়েছে, একজন অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের সহায়িকার কেন্দ্র পরিচালনায় যথেষ্ট ভুমিকা রয়েছে। মা ও শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে খাবার তৈরি, খাবার বিলি, প্রতিদিন অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা থেকে শুরু করে প্রত্যেক শিশুর পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখা এমনকী কেন্দ্রের বাইরে থাকা গ্রামের অন্য বাচ্চাদের কেন্দ্রে টেনে আনার কাজও করতে হয় একজন সহায়িকাকে।
এ ছাড়াও বাচ্চাদের সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি ও শৌচাগার ব্যবহারের অভ্যেস গড়ে তোলা, প্রসূতি ও শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টীকাকরণের ক্ষেত্রে অঙ্গনওয়ারি কর্মীদের সাহায্য করা ইত্যাদিও একজন সহায়িকার কাজের মধ্যে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অঙ্গনওয়ারি কর্মী বলেন, “সহায়িকা না থাকলে এই সমস্ত কাজ যে পুরোপুরি হবে তেমন নিশ্চয়তা দেওয়া মুশকিল। তবু যথাসম্ভব চেষ্টা করি আমরা।” লোয়া রামগোপালপুরে বাসিন্দা জনার্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বা পোতনা পুরষার কাঞ্চন রায়’রা বলেন, “একেবারে ছোট শিশুদের নিয়ে কাজ করতে হয় অঙ্গওয়ারি কেন্দ্রগুলিতে। কাজেই সহায়িকা না থাকলে সব কাজ ঠিক সময়ে এবং সঠিক গুরুত্ব অনুযায়ী হওয়া সম্ভব নয়।” ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই সমস্ত পদে লোক নিয়োগ জরুরি।
তা না হলে মা ও শিশুদের জন্য গৃহীত সরকারি প্রকল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত হবেন এলাকার দুঃস্থ বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে জেলা সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের দফতরে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ করা হয়েছে। গলসি ১ ব্লকে ফাঁকা সহায়িকা পদগুলিতে নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “মোট ৯০ জন সহায়িকা নিয়োগ করা হচ্ছে। গলসি ১ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁদের সেই কেন্দ্রগুলিতে নিয়োগ করা হবে।”
|