টুকরো খবর
দম্পতির নয়া ঠাঁই নব বসন্ত
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার এক বৃদ্ধাবাসে হেনস্থার শিকার হয়ে অসুস্থ দম্পতি সমরেশ নাগ ও মমতা দেবী উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রবিবার তাঁদের থেকে ছুটি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এ দিন থেকে তাঁদের ঠিকানা হল ইস্টার্ন বাইপাস লাগোয়া একটি বৃদ্ধাবাস ‘নব বসন্ত’। প্রশাসন এবং দার্জিলিং জেলা লিগ্যাল এড ফোরামের উদ্যোগে সেখানে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হয়। বৃদ্ধাবাসের তরফে সব সহযোগিতা করা হয়েছে। এত দিন মাটিগাড়ার যে বৃদ্ধাবাসে তাঁরা ছিলেন সেখানকার কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ওই দম্পতি। নিজেদের মোবাইল ফোন থেকে এক কর্তাকে তা জানিয়েও ছিলেন। অভিযোগ, এর প্রতিবাদে অপর এক কর্তা লোকজন নিয়ে বৃদ্ধাবাসে তাঁদের ঘরে ঢুকে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। এই পরিস্থিতিতে অসুস্থ হলে ১৪ অক্টোবর সমরেশবাবুর এক বন্ধু এবং লিগাল এড ফোরামের কর্তারা ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ওই বৃদ্ধাবাসে আর না থাকার সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি। নব বসন্তের অন্যতম কর্মকর্তা অজয় ভট্টাচার্য বলেন, “ওই বৃদ্ধ দম্পতি থাকার জায়গা নিয়ে সমস্যায় পড়ে ছিলেন। লিগাল এড ফোরাম আমাদের সে কথা জানালে আমাদের বৃদ্ধাবাসেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

বন্ধ বাগান পরিদর্শন প্রশাসনের
বন্ধ রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানের শ্রমিক মৃত্যু ঠেকাতে এ বার নড়েচড়ে বসল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। জেলা শাসকের নির্দেশে মালবাজার মহকুমা শাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি রবিবার ওই চা বাগান পরিদর্শনে যান। বাগানের পানীয় জলের যে কটি গভীরে নলকূপ বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে, সেগুলি সারাই-সহ আজ, সোমবার থেকে চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ১০০ দিন কাজ শুরু করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। স্কুলে মিড ডে মিল যাতে বন্ধ না হয় এবং বাগানে নিয়মিত শিবির করে স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন মহকুমা শাসক। তিনি বলেন, “এ দিনই সরকারি অনুদানের চাল বিলি করা হয়েছে। পানীয় জল, চিকিৎসা ও ১০০ দিনের কাজ চালু রাখার জন্য ব্লক প্রশাসনকে বলা হয়েছে।” গত অক্টোবর মাসে রেড ব্যাঙ্ক ও একই মালিকানাধীন সুরেন্দ্রনগরে মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শ্রমিকরা দাবি করেন। তাঁরা জানান, মালিকপক্ষ এক মাসের বেতন বকেয়া রেখে গত ১৯ অক্টোবর বাগান ছেড়ে চলে যান। এতে শ্রমিক পরিবারগুলি বিপাকে পড়ে যায়। কাজের সন্ধানে ভিনরাজ্যে এবং নদীতে পাথর ভেঙে অনেকে কোনওমতে সংসার চালাচ্ছেন। ঘরে ঘরে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর নানান মহলে আলোড়ন পড়ে যায়। এদিনই ওদলাবাড়ির এক ব্যবসায়ী বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ২৫ কুইন্ট্যাল চাল বিলি করেন।

জংশনে জমে উঠেছে পুজো
কালী পুজো জমে উঠেছে আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায়। কোথাও বাঁশের তৈরি কাল্পনিক মন্দির তো কোথাও রাজস্থনের মরুভুমি থিমের পুজো। পাশাপাশি আলোর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সেজেছে রেল শহর। স্থানীয় চেচাখাতা ডিএস কলোনির সবুজ সঙ্ঘের পুজো উদ্যোক্তা তপেন কর জানান, মালদহের শিল্পীরা বাঁশের কাল্পনিক মন্দির তৈরি করেছে। এবছর পুজো ৩৪ বছরে পড়ল। পাশাপাশি, মন্ডপে দশ হাত এবং দশ মাথার মহাকালী পুজো হয়। স্থানীয় ইনস্টিটিউট মাঠে সারাদা সঙ্ঘের পুজো ৫৩ বছরে পড়ল। উদ্যোক্তাদের তরফে শুভেন্দু চৌধুরী জানান, মরুভুমিকে এবারের পুজোয় থিম করা হয়েছে। রবীন্দ্র সঙ্ঘের অসীম বসু জানান, এবার ক্লাবের পুজো ৫৭ বছরে পড়ল। ভারতীয় রেলের টিকিট চেকিং স্টাফ অর্গানাইজেশনের পুজোয় থিম করা হয়েছে প্রকৃতিকে। পুজোর এবার ৫২ বছর। বাঁশের উপর নানা রঙ করে তৈরি করা হয়েছে পাখির বাসা। চেচাখাতা কুয়োরপাড় শান্তিদূত ইউনিটের পুজো প্লাউডের উপর নারকেলের দড়ি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি। উদীয় স্পোর্টিং ক্লাব, হাটখোলা এলাকার আশুতোষ ক্লাবের পুজোও দর্শর্নাথীদের নজর কেড়েছে। আশুতোষ ক্লাবের তরফে সিন্টু দত্ত জানান, এবারে রাজগিরের স্বর্ণভান্ডার নামে পাহাড়ের গুপ্তধনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে মন্ডপে।

মালবাজারের মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরলেন ‘ওরা’
প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, অনাথদের কালী পুজোর মণ্ডপ ঘুরিয়ে দেখাল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কোচবিহারের জামালদহ এলাকার পঞ্চপান্ডব সংস্থার উদ্যোগে রবিবার ৪৫ জনকে ডুয়ার্সের ময়নাগুড়ি, লাটাগুড়ি এবং মালবাজারে ঘোরানো হয়। এদিন সকালে জামালদহ থেকে রওনা হয়ে তাঁদের প্রথমে ময়নাগুড়ির পুজো মন্ডপ ঘুরিয়ে দেখানো হয়। তার পরে তাঁরা লাটাগুড়িতে আসেন। লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দলটিকে স্বাগত জানানো হয়। এই দিন মালবাজারের মহকুমাশাসক জোর্তিময় তাঁতিও লাটাগুড়িতে এসে দলটিকে অভ্যর্থনা জানান। এছাড়া পঞ্চপান্ডবের দলটির সঙ্গেই ছিলেন মেখলিগঞ্জের বিডিও অনির্বাণ দত্ত। দলটির সঙ্গে ছিলেন দুই দৃষ্টিহীন সদস্য জল্পেশের জনতা রায় এবং জামালদহের ভিক্ষুক রমেশ বর্মন। দুজনেই লাটাগুড়ির জঙ্গলের পরিবেশে আসতে পেরে খুব খুশি। তাঁদের কথায়, “আমাদের এমনভাবে ঘুরিয়ে পুজো দেখানো হবে ভাবতেও পারিনি।” বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাল ডাল সংগ্রহ করেন দিন চালান জামালদহের বৃদ্ধা শান্তিবালা বর্মন। তাঁর কথায় “আমাদের সম্মান জানাতে এত আয়োজন হবে কখনও কল্পনাও করিনি।” পঞ্চ পান্ডবের পক্ষে মৃন্ময় ঘোষ বলেন, “প্রতি বছরই আমরা এটা করে থাকি। অবহেলিত পীড়িতদের সঙ্গে সারাটা দিন কাটাতে পেরে আমাদেরও ভালও লাগে।”

মেলার সূচনা করলেন মন্ত্রী
রবিবার বারবিশা বিবেকানন্দ ক্লাব-র কালী পুজোর ৪৪-তম বছরে মেলার উদ্বোধন হল। উদ্বোধন করেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। ছিলেন কুমারগ্রাম বিধায়ক দশরথ তিরকে, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি নুরজাহান বেগম। ক্লাব সভাপতি অশ্বিনীকুমার রায় ও সম্পাদক শঙ্কর কুমার ঘোষ জানান, প্রতিবছরের মত এবারও ১১ দিন ধরে মেলা চলবে। থাকছে নাগর দোলা, মৃত্যু কূপ-সহ বিভিন্ন খেলা ও রকমারি দোকান। এছাড়াও সাংস্কৃতিক মঞ্চে প্রতিদিন বাউল, কবিগান, বিহু, যাত্রাগান, জারি, ভাদু-টুসি সহ নানান লোক সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অসম বাংলার সংস্কৃতির মেল ঘটতেই ১৯৬৯-এ মেলা শুরু।

পুলিশ-জনতার সুসম্পর্কে ক্যুইজ হল ফাঁসিদেওয়ায়
পুলিশ-জনতার মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করল ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। রবিবার ফাঁসিদেওয়া থানা চত্বরে আয়োজিত ফাঁসিদেওয়া সর্বজনীন কালী পুজো কমিটির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ক্যুইজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এ দিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র, নকশালবাড়ির সার্কেল ইন্সপেক্টর অনুপম মজুমদার, ফাঁসিদেওয়া থানার ওসি সূরজ থাপা প্রমুখ। জনসংযোগ বাড়াতে এক সপ্তাহ ধরে এই কর্মসূচি চালানো হচ্ছে বলে এ দিন জানিয়েছেন অনুপমবাবু। আগামীতে পুলিশের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি চালানো হবে।

দৃষ্টিহীনদের জন্য বিশেষ প্রদর্শনী
শিলিগুড়ি বিধান স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো প্রাঙ্গনে দৃষ্টিহীনদের জন্য বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার প্রদর্শনীতে বিমনামূল্যে ব্রেইল বইও বিতরণ করা হয়েছে। ব্লাইন্ড পার্সনস অ্যসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম মেলা মাঠে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। দৃষ্টিহীনদের পঠন পাঠন পদ্ধতি, খেলাধূলার পদ্ধতি প্রদর্শনীতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে জানান সংগঠনের সম্পাদক নন্দ কুমার ধর।

প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ধাক্কা, মৃত্যু যুবকের
নিউ জলপাইগুড়িগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ধাক্কায় মারা গিয়েছেন এক যুবক। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরের মহামায়াপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম নির্মল দাস (২৮)। তাঁর বাড়ি মহামায়া পাড়ায়। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। গত দশ বছর ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তিনি ঠিক কীভাবে মারা গেলেন তা রেল পুলিশ খতিয়ে দেখছে।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.