চোট-আঘাত সমস্যা তো ছিলই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টানা অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার ক্লান্তি। পাশাপাশি লাজং ম্যাচে নামার বাহাত্তর ঘণ্টা আগে শিলংয়ের ঠান্ডাও চিন্তায় রাখছে মোহনবাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফাকে।
ডেম্পো ম্যাচের দিন নতুন করে চোট পেয়েছিলেন এরিক মোরান্ডা। এখনও ব্যথা রয়েছে। সে জন্য তাঁকে রেখেই শিলং গেল মোহনবাগান। করিমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে বললেন, “ওর চোট দু’দিনে ঠিক হওয়ার নয়। ভাল ব্যথা রয়েছে। এক ম্যাচ বিশ্রাম পেলে সুস্থ হয়ে উঠবে।” এরিকের জায়গায় শঙ্কর ওঁরাওকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চোটের জন্য আগেই ওডাফা টিমের বাইরে। লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে এরিককেও পাওয়া যাবে না। সব মিলিয়ে কিছুটা চাপে মরক্কান কোচ। বলেও দিলেন, “লাজং খুবই শক্তিশালী দল। ঘরের মাঠে তো আরও বিপজ্জনক। ওডাফা, এরিক নেই। আমাদের সমস্যা আছে।”
লাজং ম্যাচ ধরলে মোহনবাগানকে এগারো দিনের মধ্যে তিনটে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। ফুটবলাররা ম্যাচ খেলার ক্লান্তি কাটানোর আগেই অন্য জায়গায় উড়ে যেতে হচ্ছে পরের ম্যাচের জন্য। দীর্ঘ সফরের ধকলে নাকি অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন ফুটবলাররা। ক্লান্তিই যেন এখন মোহনবাগানের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করিম বলছিলেন, “কলকাতায় সালগাওকর ম্যাচ খেলে পুণেতে মুম্বই এফসি ম্যাচ খেলতে যেতে হয়েছিল। সেখান থেকে মুম্বই হয়ে গোয়ায় ডেম্পো ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম। গোয়া থেকে আবার মুম্বই হয়ে শনিবার কলকাতায় পৌঁছানোর পর রবিবার সকালেই শিলং চলে আসতে হয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই ফুটবলাররা ক্লান্ত।” সন্দীপ নন্দীও কোচের সঙ্গে একমত, “আমাদের খুব বেশি জার্নি করতে হচ্ছে। শুধু ফুটবল খেললে ক্লান্তি আসে না। কিন্তু আলাদা-আলাদা জায়গায় টানা ম্যাচ থাকলে সমস্যা হবেই।”
শিলংয়ের তাপমাত্রা এই মুহূর্তে ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। গরম থেকে হঠাৎ করে ঠান্ডায় গিয়ে মানিয়ে নেওয়াটাও ফুটবলারদের পক্ষে সমস্যার বলে দাবি মোহন কোচের। বললেন, “বার বার আবহাওয়ার তারতম্য ঘটতে থাকলে ফুটবলারদের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়।” পাহাড়ের আবহাওয়ার সঙ্গে ফুটবলাররা যাতে মানিয়ে নিতে পারেন সে জন্য রবিবার বিকেলে শিলংয়ে পৌঁছেই অনুশীলন করিয়েছেন করিম। হোটেলের লনেই হালকা স্ট্রেচিং আর জগিং করেছেন ইচে-সাবিথ-মণীশরা। |