কয়েক দিন আগেই বেকহ্যাম, রোনাল্ডোদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুরো ফুটবলবিশ্বে ফাঁস করে দেন স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন। এ বার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ম্যানেজারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড কোচ স্বেন গোরান এরিকসন। যাঁর নতুন আত্মজীবনী অনুযায়ী ২০০৬ বিশ্বকাপে রুনিকে খেলতে দিতে চাননি ফার্গুসন।
ঘটনাটা কী? ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগেই চেলসির সঙ্গে ম্যাচে পা ভেঙে গুরুতর চোট পান রুনি। যার পরেই রুনির বিশ্বকাপ দলে থাকা নিয়ে শুরু হয় ক্লাব বনাম দেশের দ্বন্দ্ব। আত্মজীবনীতে এরিকসন লিখেছেন, “ফার্গুসন প্রতিদিন আমায় ফোন করে বলতেন যে, তুমি রুনিকে নেবে না বিশ্বকাপ দলে। ওর চোট পুরোপুরি সারেনি। এমনকী ইংল্যান্ড দলের ডাক্তার লেইফ সোয়ার্ডকে ম্যান ইউর ড্রেসিং রুমে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ফার্গুসন।” পাশাপাশি আবার রুনির এজেন্ট পল স্ট্রেটফোর্ড এরিকসনকে বলেন, “তোমার কাছে আমার আবেদন, রুনি যাতে বিশ্বকাপে খেলে।”
৭ জুন ২০০৬ রুনির পায়ে স্ক্যান হয়। যে রিপোর্ট পেয়ে দলের তারকা স্ট্রাইকারকে বিশ্বকাপে ‘না-পাঠানোর’ সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন ফার্গুসন। তারকা স্ট্রাইকারের বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ম্যান ইউ-র ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ফার্গুসনের সঙ্গে দেখা করেন এরিকসন। ফার্গুসনের দলের ডাক্তার রুনির এক্স রে রিপোর্ট দেখিয়ে এরিকসনকে সাফ জানিয়ে দেন, তারকা স্ট্রাইকার ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারবেন না। আত্মজীবনীতে সেই কথাই জানিয়ে এরিকসন লিখেছেন, “প্রথমেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ডাক্তার বলে যে রুনির চোট সারবে না। এই নিয়ে লেইফের সঙ্গে ওর প্রায় ঝামেলাও বেধে যায়। লেইফ তো বলে দেয় যে কেন তুমি মিথ্যা বলছ। রুনির চোট সারবে বিশ্বকাপের আগেই। ফার্গুসনকে তখন আমি বললাম যে তোমার খারাপ লাগলে কিছু করার নেই, রুনিকে আমি বিশ্বকাপ দলে রাখব।” |
শুধু মাত্র রুনি প্রসঙ্গ নয়। এরিকসনের আত্মজীবনী অনুযায়ী মোয়েস নন, ফার্গুসনের উত্তরসূরি হতেন তিনি। “২০০২ সালে যখন ফার্গুসন অবসর নেওয়ার কথা বলে তখন আমার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের নতুন ম্যানেজার হওয়ার কথা ছিল। ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা সেরে চুক্তিতেও সই করে ফেলি আমি। জানতাম যে ইংল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি আছে। তবুও ম্যান ইউয়ের হটসিটে বসতে চেয়েছিলাম।” এরিকসনের এই মন্তব্যের পরে ম্যাঞ্চেস্টারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ম্যান ইউ-র অন্যতম শীর্ষকর্তা ফিল টাউনসেন্ড বলেন, “আমি ওর বই পড়িনি। তাই এই নিয়ে কিছু বলতে পারব না।” |