ছেলের টেস্ট অভিষেক দেখতে শহরে সামির বাবা-মা
দিওয়ালির রাত হোটেলের ঘরে বন্দি থাকলেন ধোনি-রোহিতরা
দিওয়ালির উৎসবেও হোটেলে ঘরবন্দি ভারতীয় ক্রিকেটাররা! তাও কি না অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে এসে।
সিরিজ জয়ের উৎসবটা আসলে হয়ে গিয়েছে বেঙ্গালুরুতেই। ওটাই যেন আসল দিওয়ালি। নতুন করে তাই আলোর উৎসবে গা ভাসাতে দেখা গেল না বিরাট কোহলি, শিখর ধবনদের।
কারণ? ক্লান্তি। ওয়ান ডে টিমের ন’জন রয়েছেন টেস্ট টিমে। তাঁরা বেঙ্গালুরু থেকে সরাসরি দুপুরেই শহরে পৌঁছে যান। সবার আগে অবশ্য সকালেই টিম হোটেলে চলে আসেন স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা। সচিন তেন্ডুলকর-সহ বাকি পাঁচ ক্রিকেটার তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন সব শেষে। রাত পৌনে ন’টা নাগাদ শহরে ঢুকে পড়েন সচিন। সঙ্গে চেতশ্বর পূজারা, অজিঙ্ক রাহানেরাও।
শহরে এসে গেলেন সচিনমেলার কুশীলবরা। বিমানবন্দরে কোহলি, সামি, রোহিত।
শহরের নামী পাঁচতারা হোটেলে দিওয়ালির সাজ ও নিখুঁত আবহ দেখে অবশ্য মনে হওয়াই স্বাভাবিক যে, গোটা টিম হয়তো অপেক্ষা করছে মহানায়কের জন্য। সচিন আসার পরই হয়তো শুরু হবে উৎসব। তবে সচিনকে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে নিয়ে আসার পর ভারতীয় দলের টিম ম্যানেজার সতীশ বলে দিলেন, তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। বেঙ্গালুরুতেই উৎসব পুরোদমে হয়ে গিয়েছে। টিমের স্থানীয় ম্যানেজার সন্দীপ দাসও জানালেন, ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে দিওয়ালি নিয়ে কোনও বিশেষ আবদার করা হয়নি।
ধোনির দলের ক্রিকেটাররা সোশাল নেটওয়ার্ক মারফত দিওয়ালি পালনে বরং বেশি আগ্রহী। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পুজারা কলকাতায় এসেই টুইট করে সকলকে দিওয়ালির অভিনন্দন জানান। রোহিত শর্মা শহরে পা দিয়েই টুইটারে লেখেন, “এত মানুষের সমর্থন ও ভালবাসা পেয়ে আমি অভিভূত। উত্তেজনাপূর্ণ টেস্ট সিরিজ খেলতে এলাম কলকাতায়।” ইডেনে নামতে তিনি কতটা মরিয়া, তা আগের রাতে বেঙ্গালুরুতে বলা রোহিতের কথাগুলো থেকেই স্পষ্ট, “গত ছ’বছর ধরে টেস্ট খেলার অপেক্ষায় আছি। এই সিরিজে ভাল খেলতে পারলে আমার চেয়ে সুখী মানুষ আর কেউ হবে না।”

টিমবাসে ধোনি। রবিবার।
সোমবার সকাল দশটায় সচিনের শেষ টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতিতে নামছে টিম ইন্ডিয়া। দীর্ঘ ওয়ান ডে সিরিজের ক্লান্তি কাটিয়ে যাতে সেই প্রস্তুতি ঠিকঠাক শুরু করে দিতে পারেন, সে জন্যই দিওয়ালির আনন্দ সরিয়ে রেখে এ দিন বিশ্রামে ডুব দেন ধোনি, কোহলিরা। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ অবশ্য বিরাট কোহলি আর শিখর ধবনকে দেখা গেল টিম হোটেলের কফিশপে। বেঙ্গালুরুতে সিরিজ জয়ের উৎসবের পর রবিবার সকালে ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই বিমান ধরার তাড়ায় হয়তো ঠিকঠাক খাওয়ারই সুযোগ হয়নি। তাই কফিশপেই হালকা লাঞ্চ সেরে নেন দুই তারকা। এর মধ্যে আবার টিমে বাংলার এক মাত্র ক্রিকেটার মহম্মদ সামি ম্যানেজারের অনুমতি নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে ছুটলেন। ছেলের টেস্ট অভিষেক দেখার আশায় মোরাদাবাদ থেকে এসে পড়েছেন সামির বাবা-মা। হোটেল ছেড়ে বেরনোর আগে সামি যদিও বলে গেলেন, “আগে মাঠে নামার নির্দেশ তো পাই। তার পর অভিষেক নিয়ে ভাবব। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি প্রস্তুত।” রাতে অবশ্য ফিরেও এলেন হোটেলে। সোমবার নামবেন সেই চেনা ইডেনে প্র্যাকটিস করতে। তবে এ বার আর বাংলা নয়, ভারতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে।
দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার ক্লান্ত থাকলেও সন্ধ্যায় লবিতে দলের সাপোর্ট স্টাফের সঙ্গে খোশ মেজাজে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা মারতে দেখা গেল ধোনিদের কোচ ডানকান ফ্লেচারকে।
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। এ রকম ভালবাসা আর সমর্থন পেয়ে আমি অভিভূত। এ বার কলকাতায় চলে এসেছি একটা উত্তেজক টেস্ট সিরিজ খেলতে।
রোহিত শর্মা
দিওয়ালি সবার ভাল কাটুক, নিরাপদে কাটুক। সবাইকে ধন্যবাদ আমাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। গোটা দলের জন্য গর্বিত।
বিরাট কোহলি

ছবি: উৎপল সরকার।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.