|
|
|
|
জনমত সমীক্ষা বন্ধে সমর্থন, বিপাকে কংগ্রেস
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
প্রাক্-নির্বাচনী জনমত সমীক্ষা বন্ধের সমর্থনে মত জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল কংগ্রেস। দলের যুক্তি, অনেক সময়ই এ ধরনের অবৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় স্বচ্ছতা থাকে না। কংগ্রেসের এই মতের পিছনে অবশ্য অন্য সমীকরণ দেখছে বিরোধী দলগুলি। তাদের ধারণা, আগামী বছর লোকসভা ভোট এবং তার আগে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের অশনি সঙ্কেত পাচ্ছে কংগ্রেস। জনগণকে সঠিক দিশা থেকে বিভ্রান্ত করতে তাই সমীক্ষা বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছে তারা।
জনমত সমীক্ষা বন্ধ করা হোক, এ দাবি অবশ্য সরকারের কাছে পেশ করেছিল নির্বাচন কমিশনই। কিন্তু সরকার তা খারিজ করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের নতুন করে মতামত নিতে বলে গত মাসে আইন মন্ত্রক চিঠি দিয়েছিল কমিশনকে। সেই অনুসারে, সব জাতীয় এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রধানদের কাছে তাদের মতামত জানতে চেয়ে চিঠি লিখেছিল নির্বাচন কমিশন। তার উত্তরেই কংগ্রেস জানিয়েছে, নির্বাচন চলাকালীন সব ধরনের জনমত সমীক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো নিয়ে কমিশনের যে মত, তা সমর্থন করছে তারা। কারণ, ‘ভুলে ভরা’ এ ধরনের সমীক্ষার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই রয়েছে প্রশ্ন। অনেক সময় ভোটের হাওয়া টানতে সমীক্ষার ফলাফলের উপর চলে নানা ধরনের রাজনৈতিক সমীকরণের কারিকুরি।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে যে কোনও জনমত সমীক্ষার ফলপ্রকাশ বা প্রচার করা যাবে না। আর নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বুথফেরত সমীক্ষার ফলপ্রকাশ। নতুন বিধি তৈরি করে জনমত সমীক্ষায় পুরোদস্তুর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। অ্যাটর্নি জেনারেল জি ই বাহনবতীও কমিশনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন।
কিন্তু বিরোধীদের গলায় অন্য সুর। বিজেপি নেতা রাজীব প্রতাপ রুডি প্রশ্ন তুলেছেন, অতীতে জনমত সমীক্ষার পক্ষে মত দিয়ে হঠাৎ কেন পিছু হঠছে কংগ্রেস? সিপিআই সাংসদ ডি রাজার ব্যাখ্যা, “আসলে জনমত সমীক্ষায় প্রতি মুহূর্তে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে কী ভাবে সমর্থন হারাচ্ছে কংগ্রেস। ফলে সমীক্ষা নিয়ে তাদের উদ্বেগ তো থাকবেই।” সময়ের ব্যবধানে দুই সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নিয়ে আপাতত তাই প্রশ্নের মুখে কংগ্রেস নেতৃত্ব। |
|
|
|
|
|