বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেলেন বিমানযাত্রীরা। বিমান কলকাতার রানওয়ে ছোঁয়ার পরে শেয়াল উঠে এল রানওয়েতে। বিমানের সঙ্গে সেই শেয়ালের ধাক্কা লাগলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন বিমানবন্দরের অফিসারেরা। কলকাতা বিমানবন্দরে এই ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে।
বিমান নামার সময়ে তার ইঞ্জিন থেকে প্রচণ্ড গতিতে যে হাওয়া বেরোয় তার গতি থাকে মারাত্মক। তার ধাক্কায় কোনও প্রাণীর মৃত্যু অস্বাভাবিক নয়। শনিবার রাতে ওই বিমানের ইঞ্জিন থেকে নির্গত হাওয়ার ধাক্কায় উড়ে গিয়ে দূরে পড়ে ওই শেয়ালটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এত দিন রানওয়েতে উঠে আসা শেয়ালের গতিবিধি উপর থেকেই দেখতে পেতেতেন পাইলটেরা। দুর্ঘটনা এড়াতে বিমানের মুখ ঘুরিয়ে উড়ে যেতেন তাঁরা। গত শুক্রবার বিকেলেই কলকাতায় এমন দু’টি ঘটনা ঘটেছে মাত্র ১৮ মিনিটের ব্যবধানে। দু’টি ক্ষেত্রেই দু’টি করে শেয়াল রানওয়ের উপরে উঠে এসেছিল। শনিবার রাত সাড়ে ন’টায় দিল্লি থেকে ইন্ডিগোর বিমান কলকাতার মাটি ছোঁয়। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অন্ধকারে তিনি শেয়াল দেখতে পাননি। কিন্তু, এ দিন মাটি ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি একটি ধাক্কা অনুভব করেন। তবে ভাগ্যক্রমে বিমানের সঙ্গে শেয়ালের ধাক্কা লাগেনি। লাগলে বিমানটি উল্টে যেতে পারত, আগুনও ধরে যেতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অফিসারেরা। রানওয়ের মাটি ছুঁয়েই এটিসি- কে পাইলট বলেন, “মনে হচ্ছে আমার বিমানের জেটের ধাক্কায় একটি প্রাণী মারা গিয়েছে।” সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় রানওয়ে। কর্তৃপক্ষের অফিসারেরা রানওয়ে গিয়ে দেখেন সেখানে একটি শেয়ালের মৃতদেহ পড়ে। এক অফিসারের কথায়, “মৃতদেহটি টাটকা ছিল। বোঝাই গিয়েছিল সবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। হতে পারে শুক্রবার যে দু’টি শেয়াল ঘুরছিল এটি তাদেরই একটা।” ইন্ডিগোর ওই বিমানের পিছনেই কলকাতায় নামার জন্য মুম্বই থেকে চলে এসেছিল স্পাইসজেটের বিমান। সেটি ছিল কলকাতা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। তাকে নামতে বারণ করে নির্দেশ দেয় এটিসি। রানওয়ে পরিষ্কার করার পরে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পরে স্পাইসজেটের বিমানটি নেমে আসে। |