টুকরো খবর |
বাজি থেকে ভয়াল আগুন, গুদাম ছাই
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
আগুনের গ্রাসে। —নিজস্ব চিত্র। |
কালীপ্রতিমা বিসর্জনের রাতে চেতলায় বাজির আগুনে প্লাস্টিক সামগ্রীর একটি বড় গুদাম ছাই হয়ে গিয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশ ও দমকলের খবর, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ রাখালদাস আঢ্যি রোডে ওই দোতলা গুদামে আগুন লাগে। গুদামটিতে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ছিল। সেই সব দাহ্য পদার্থের ইন্ধনে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন যায়। আগুন যাতে আশপাশের প্লাইউড এবং অন্যান্য জিনিসের গুদাম ও কারখানায় ছড়িয়ে পড়তে না-পারে, সেই জন্য শুধু প্লাস্টিকের গুদামটিকে ঘিরে ফেলে লড়াই চালাতে থাকেন দমকলকর্মীরা। ওই গুদামের পিছনেই একটি বড় বস্তি আছে। সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হয়। রাত সওয়া ১টা নাগাদ আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশি সূত্রের খবর, হাজারো প্রচার উপেক্ষা করে এ দিনও দেদার বাজি ফাটানো হচ্ছিল। তেমনই একটি বাজি গিয়ে পড়ে ওই গুদামে। তা থেকেই আগুন লাগে। দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং পুলিশকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। কাদের বাজি থেকে এই দুর্ঘটনা এবং গুদামটির লাইসেন্স আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, এ দিন শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগে কলকাতা ও শহরতলিতে ২৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয়েছে ২২৬ কিলোগ্রাম শব্দবাজি।
|
টর্চে সোনা পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার |
টর্চের ভিতরে ব্যাটারি, তার মধ্যে সোনা। তবুও পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলেন আজমল রহমান মানিকান্ডি নামে কেরলের এক যুবক। জেরায় ওই যুবক জানান, তিনি বেঙ্গালুরুর একটি কলেজে পড়েন। বাড়ি কোঝিকোডে। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে আজমল ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতায় আসেন। তিনি শুল্ক এলাকা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর হাঁটাচলা দেখে সন্দেহ হয় অফিসারদের। কিন্তু অনেক জেরাতেও তাঁর কাছ থেকে কোনও তথ্য বার করা যায়নি। তাঁর ব্যাগে একটি টর্চ ছিল। এক অফিসার সেটি জ্বালাতে গিয়ে দেখেন জ্বলছে না, অথচ ভিতরে তিনটি ব্যাটারি। সেই ব্যাটারি ভাঙতেই বেরোয় ৭টি সোনার টুকরো। এক একটির ওজন ১৫২ গ্রামের মতো। সব মিলিয়ে এক কেজির কিছু বেশি। শুল্ক দফতর জানিয়েছে, ওই সোনার মূল্য প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা। পুলিশের দাবি, আজমল জানান, তাঁর বাবা দুবাইয়ে থাকেন, মা কেরলে। বাবার সঙ্গে শুল্ক দফতর যোগাযোগ করেছে। আজমলের কাছে স্নাতক স্তরের একটি শংসাপত্র মিলেছে। তবে আজমল দাবি করেন, তিনি জানতেন না ব্যাটারির ভিতরে সোনা ছিল। ব্যাঙ্ককে এক অচেনা ব্যক্তি আজমলকে এই টর্চটি দেন। ঠিক ছিল, বেঙ্গালুরু ফিরে টর্চ ওই ব্যক্তির হাতে তুলে দিলে নগদ ৫০ হাজার টাকা মিলবে। রবিবার বারাসত আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান আজমল।
|
পাইলট অসুস্থ, চার ঘণ্টা দেরি বিমানের |
পাইলট অসুস্থ হয়ে পড়ায় যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হল টানা চার ঘণ্টা। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে এই ঘটনায় ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন বেশ কয়েক জন যাত্রী। এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে তাঁরা চেন্নাই যাচ্ছিলেন। বিমানটি ছাড়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৬টা পাঁচ মিনিটে। ৮৮ জন যাত্রী চারটে নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছন। বোর্ডিং কার্ড নিয়ে তাঁরা নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে বিমানে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। পৌনে ছ’টায় বিমানসংস্থার অফিসার এসে জানান, বিমান ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। যে পাইলটের চেন্নাই যাওয়ার কথা ছিল, তিনি অসুস্থ। দীপাবলির ছুটির জন্য পরিবর্ত পাইলটও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই যে পাইলট বিমান নিয়ে সন্ধ্যায় ঢাকা গিয়েছেন, তিনিই রাতে ঢাকা থেকে ফিরে চেন্নাই যাবেন। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বিমানটি চেন্নাই রওনা হয়। ভারতের সংশোধনাগারে বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সহায়তার কাজ করেন তামিল যুবক জেসু রাজা। এই বিমানে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল নিজের শহরে। তিনি বলেন, “সরকারি কাজ করি বলে চেষ্টা করি সরকারি বিমানসংস্থায় যাতায়াত করতে। পরিষেবা এমন হলে সিদ্ধান্ত বদলাতে হবে।” আর এক যাত্রী, ওএনজিসি-র অফিসার জে এন বরুয়া বলেন, “বেসরকারি সংস্থার বিমানেই যাতায়াত করি। ১০ বছর বাদে এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিট কেটে বেশ শিক্ষা হল।” এক জন পাইলট অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবর্ত তো পাইলট থাকা উচিত? বিমানসংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “৩৬৫ দিন তাই থাকে। কিন্তু, এ দিন সম্ভবত উৎসবের জন্যই পরিবর্ত পাইলটও পাওয়া যায়নি।”
|
এক্সপ্রেস ট্রেনে ধোঁয়া, উত্তেজনা পাতিপুকুরে |
দূরপাল্লার ট্রেনে একটি কামরার শৌচাগার থেকে ধোঁয়া বেরোতে থাকায় রবিবার বিকেলে পাতিপুকুর স্টেশনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে ওই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। পুলিশ ও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্জাবের নাঙ্গলদম থেকে কলকাতায় আসছিল নাঙ্গলদম এক্সপ্রেস। তার ইঞ্জিনের ঠিক পিছনের কামরার শৌচাগারে ধোঁয়া দেখতে পান যাত্রীরা। কামরাটির অর্ধেকটায় মালপত্র বহন করা হয় আর বাকিটা মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ধোঁয়া দেখে যাত্রীরা হইচই শুরু করায় ট্রেনটি পাতিপুকুর স্টেশনে থেমে যায়। আতঙ্কিত যাত্রীরা নেমে পড়তে থাকেন। এলাকার লোকজনই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। দমকলের একটি ইঞ্জিনও আসে। তবে তার আগেই আগুন নিভে যায়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছিল। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাটিকে আলাদা করে চিৎপুর কারশেডে পাঠানো হয়। পরে অন্য কামরাগুলোকে আনা হয় কলকাতা স্টেশনে।
|
রেললাইনে পড়ে জখম কনস্টেবল |
দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করে ধরতে গিয়ে রেল লাইনে পড়ে জখম হলেন মানিকতলা থানার এক কনস্টেবল। তাঁর নাম গোপীনাথপ্রসাদ সাউ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত আটটা নাগাদ মানিকতলা থানায় খবর আসে, বাগমারি রেললাইনের কাছে শব্দবাজি পোড়ানোর সঙ্গে গুণ্ডামি চালাচ্ছে এক দল দুষ্কৃতী। খবর পেয়েই বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে পুলিশ যায়। পুলিশকে ঘটনাস্থলে দেখে দুষ্কৃতীরা পালানোর চেষ্টা করে। তারা রেললাইন টপকে দৌড় লাগালে গোপীনাথবাবু পিছু ধাওয়া করেন। সেই সময়ই কোনওভাবে রেললাইনের ট্র্যাকে পা আটকে তিনি পড়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, গোপীনাথবাবুর হাত এবং পা ভেঙে গিয়েছে। আপাতত তিনি মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
|
ডিভাইডারে ধাক্কা বাইকের, মৃত ২ |
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারায় মৃত্যু হল মোটরবাইক-চালক সহ আরোহীর। রবিবার ভোরে, যশোহর রোড অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কাছে। মৃতদের নাম কৌশিক বল (১৯) ও শৌভিক দত্ত (১৬)। তাঁদের বাড়ি সুভাষনগরে। পুলিশ জানায়, কৌশিকদের মোটরবাইক খুব দ্রুত গতিতে যশোহর রোড ধরে নাগেরবাজার থেকে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কাছে বাঁকের মুখে মোটরবাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন কৌশিক ও শৌভিক। হাসপাতালে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
|
বাসের ধাক্কায় মৃত্যু |
বাস থেকে নামার সময়ে পিছন থেকে আসা অন্য একটি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে রবীন্দ্র সদনের কাছে এক্সাইড মোড়ে। মৃতের নাম পরাগকোমল সাউ (৪৫)। তিনি হাওড়ার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, মিন্টোপার্কগামী একটি বাসে পরাগবাবু অফিস যাচ্ছিলেন। এক্সাইড মোড়ে বাস থেকে নামতেই পিছন থেকে একটি বাস এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা পরাগবাবুকে মৃত ঘোষণা করে। ঘাতক বাসের চালক পলাতক।
|
আগুন, আতঙ্ক |
আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়াল চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের একটি বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে বাড়িটির উপরতলা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। খবর পেয়ে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লাগে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
|
অনাথদের জন্য |
প্রতি বছরই মৌলালিতে ছাত্রছাত্রীদের ভাইফোঁটার আসরে হাজির থাকেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। অনাথ, খেটে-খাওয়া শিশুদের জন্য এ বছর আগাম ভাইফোঁটার আয়োজন করল বামপন্থী কর্মীদের পরিচালিত সামাজিক সংস্থা ‘মাস’। দেওয়ালির সন্ধ্যায় মধ্যমগ্রামে অনাথ শিশুদের দিয়েই ৬০ জনকে ভাইফোঁটা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করে তারা। |
|