মাটি খুঁড়ে সোনা তুলে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। দূরে বসে রয়েছেন সাধুবাবা। তাঁর স্বপ্নে ভেসে আসছেন রাজা! এমন সব দৃশ্য শিলিগুড়িতে বসেই দেখতে চান? তা হলে একবার যেতেই হবে শিলিগুড়ির সুভাষপল্লির মিলন মন্দির রোডের নিউ রয়্যাল স্পোর্টিং ক্লাবের কালীপুজোয়। দু’সপ্তাহ আগের টাটকা ঘটনার কথা মাথায় রেখেই উদ্যোক্তারা ‘উন্নাও’-এর দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ক্লাবের পুজো কমিটির সম্পাদক কাঞ্চন দে-এর কথায়, “প্রতি বছর আমরা অভিনব কিছু করার চেষ্টা করি। এবার উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে মাটি খুঁড়ে সোনা তোলার চেষ্টার ঘটনা আমাদের নাড়া দেয়। সে জন্য ‘উন্নাও-লাইভ’ থিমে মন্ডপ করার চেষ্টা হয়েছে। আশা করি দর্শকদের কাছে সমাদৃত হবে।”
মাটি খুঁড়ে সোনা খুঁজে পাওয়ার যে চেষ্টা চলছে তা অবশ্য সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে গোটা দুনিয়ারই জানা। গত ১৮ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের উন্নাও এলাকার ডৌড়িয়া খেড়া গ্রামে দূর্গে শুরু হয় খনন।
জাঠ সাধু শোভন সরকারের কথা অনুযায়ী, ওই দূর্গের নিচে মাটির তলায় প্রচুর সোনা রয়েছে। গুরুর নির্দেশ পাওয়ার পরে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে দরবার করেন শিষ্যরা। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকেও আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। কদিন রাজা রামরাও বক্স সিংহের দূর্গ চত্বরে খোঁড়াখুঁড়ি চললেও সোনা অবশ্য মেলেনি।
১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত রয়্যাল স্পোর্টিং ক্লাব কিন্তু তাদের কালীপুজোর থিম মন্ডপে সোনা মিলেছে বলে দেখানোর চেষ্টা করবে। আলো-ধ্বনির সাহায্যে ফোটানোর চেষ্টা হচ্ছে সবই। মণ্ডপ চত্বরে প্রমাণ আকারের শ্রমিককে শাবল দিয়ে মাটি খুঁড়তে দেখা যাবে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে তা ক্যামেরাবন্দি করতেও দেখা যাবে। থাকবেন চলন্ত রাজা, সাধুবাবাও। থিমের পরিকল্পনা ও তা রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন ইসলামপুরের সূর্যাপুরী চলচ্চিত্রের পরিচালক কিরণ কুণ্ডু। তিনি বললেন, “আমাদের থিমে সোনা পাওয়া যাবে। তবে সোনা মিললেই কি দেশের দারিদ্র সত্যি দূর হবে, সেই প্রশ্নও তোলা হবে।” |