লোকটার পরনে ছিল পাজামা আর ফুল শার্ট, হাতাটা গোটানো। মুখে দাড়ি, চুলে অনেক দিন চিরুনি পড়েনি বোঝাই যায়। কাঁচাপাকা চুল। মাঝবয়সি ওই ভদ্রলোক আমার কুঠুরিতে এলেন, আমি তখন রেডিয়োতে। বললেন, আমার থিসিসটা একটু দেখে নেবেন? ব্রেন নিয়ে গবেষণা করেছি।
ব্রেন কেস আগেও পেয়েছি। কেউ এসে বলেন, ষড়যন্ত্র করে ওঁকে নোবেল দেওয়া হচ্ছে না, প্রতিকার চাই। কেউ বলেন স্বপ্ন দেখার তরল সুধা আবিষ্কার করেছেন, শোওয়ার আগে দু’চামচ খেলেই সারা রাত ইচ্ছেমত সুখস্বপ্ন। কেউ বলেন, তিনি দু’হাজার গান লিখেছেন। মান্না কিংবা সন্ধ্যাকে দিয়ে গাইয়ে দিতে হবে। ইনিও ও রকম কেউ হবেন আর কী!
জিজ্ঞাসা করি, মাথা আঁচড়ান না কেন? বললেন, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র কি মাথা আঁচড়াতেন? ঠিক কথা। কিন্তু উনি তো ধুতি পরতেন। বললেন, ধুতি মেনটেন করতে পারি না, ম্যানেজ করতেও পারি না।

ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য।
কিন্তু আপনার থিসিস দেখার যোগ্যতা আমার তো নেই, আমি বলি। আমার তো একটা মিনিমাম পিএইচ ডি-ও নেই।
উনি বললেন, তাই জন্য তো আপনার কাছে এসেছি। পিএইচ ডি-ওলাদের বড্ড ফাঁট, ওরা ফুটিয়ে দেয়। উনি টাইপ করা থিসিসের কপিটা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, পড়বেন। ম্যাথমেটিকাল ডিডাকশন করেছি। ম্যাথমেটিক্স ছাড়া কোনও গবেষণা সম্পূর্ণ হতে পারে স্যর? আমি হায়ার সেকেন্ডারি অবধি পড়েছি। ওইটুকুই ম্যাথমেটিক্সের নলেজ। ওতেই যতটা হয় অ্যানালিসিস করেছি। উনি চলে গেলেন। থিসিসটা রেখে গেলেন। বাংলায় লেখা। ‘ব্রেনের ঠিকানা’। মানব কুন্ডু। ৮০ পাতার থিসিস।
ভূমিকাতে বলা আছে, ‘আমি ব্রেনি ব্যক্তিদের দেখিয়া আমার নিজের সহিত তুলনা করিতে থাকি। আমি কম ব্রেনি। যখন নবম শ্রেণিতে পড়ি, তখন আমার ক্লাসের ভাল ছাত্রদের দিকে লক্ষ যায়। দেখি উহাদের চোখে বোতলের তলা ভাঙা-র ন্যায় মোটা কাচের চশমা বিরাজমান। তখনই প্রথম সূত্রটি আবিষ্কার করি।
ব্রেন চশমার কাচ অর্থাৎ, ব্রেনের পাওয়ার চশমার পাওয়ারের সমানুপাতিক। চশমার পাওয়ার যার যত বেশি, সে তত ব্রেনি। ইহার পর আমি এই সম্পর্কে গবেষণা করিয়া ৪৫টি সূত্র আবিষ্কার করিয়াছি। তাহাই এই গবেষণাগ্রন্থে লিপিবদ্ধ করিলাম।’
এই স্বল্প পরিসরে ওঁর সমস্ত সূত্র আপনাদের অবগত করানো যাচ্ছে না। কয়েকটি মাত্র জানাচ্ছি।
সূত্র ৫: ব্রেন ১/ কফ, থুথু, লালা, সর্দি
কফ, থুথু, লালা, সর্দি ব্রেনের সহিত ব্যস্তানুপাতিক।
ব্যাখ্যা: আমি পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছি, ব্রেনের সহিত কফ, থুথু, লালা, সর্দির উল্টা সম্পর্ক। যাহারা ব্রেনি, উহাদের নাক দিয়া কফ পড়ে না। ছোটবেলায় যে সব বাচ্চার নাক দিয়া পোঁটা পড়ে, উহারা কম ব্রেনি হয়। মানবসমাজে দেখিবেন, শিশু অবস্থায় মুখ দিয়া লালা পড়ে, সর্দি পড়ে। শিশু যত বড় হয়, লালা নিঃসরণ কমিয়া যায়। শিশুদের ব্রেনে কম বুদ্ধি থাকে, বড়দের ব্রেনে বেশি বুদ্ধি থাকে। কিন্তু যদি দেখা যায় বড় হইবার পরও লালা পড়িতেছে, বুঝিতে হইবে কম ব্রেনি। পাগলদেরও লালা পড়ে, ও নাক হইতে সহজেই সর্দি পড়ে।
সূত্র ৬: ব্রেন গলার সুর
অর্থাৎ, গলার সুর ব্রেনের সহিত সমানুপাতিক। সূত্রের বর্ণনা: আমি অনুভব ও পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছি, যাহাদের ব্রেন ভাল হয়, তাহাদের গলার সুরও অনুরূপ অনুপাতে ভাল হয়। যাহাদের ব্রেন খারাপ হয়, তাহাদের গলার সুরও অনুরূপ অনুপাতে খারাপ হয়। ইহা প্রমাণ করিতে গেলে আগের সূত্রটির সাহায্য লইতে হইবে। যাহাদের ব্রেন কম, তাহাদের লালা সর্দি ইত্যাদির কারণে কথা অস্পষ্ট হয়, এবং সুরেও ব্যাঘাত ঘটে। এবং এই প্রসঙ্গে আর একটি উপসূত্র আবিষ্কৃত হইল।
সূত্র ৬ (ক): ব্রেন ১/ জিহ্বার পুরুত্ব
অর্থাৎ, যাহারা কম ব্রেনি, তাহাদের জিহ্বা বেশি মোটা হয়। উহারা প্রায়শই ‘দ’-কে ‘ড’ বলে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ উহারা ভাল করিয়া আবৃত্তি করিতে পারিবে না। উহাদের গানেও সুর কম খেলিবে।
সূত্র ৯: ব্রেন ১/ হাসি ও কান্না
অর্থাৎ, আনন্দের রেজাল্ট হাসি, বা দুঃখের রেজাল্ট কান্না, ব্রেনের সহিত ব্যস্তানুপাতিক।
সূত্রের ব্যাখ্যা: আমি পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছি, দুঃখের একই রকম ঘটনা ঘটিলে, কম ব্রেনিরা বেশি কাঁদে, বেশি ব্রেনিরা কম কাঁদে। অনুরূপ ভাবে, একই রকম আনন্দ ঘটিলে, কম ব্রেনিরা হ্যা-হ্যা করিয়া হাসে, বেশি ব্রেনিরা হাসে না। উদাহরণ: মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বা মাননীয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্র মহাশয়। তাঁহারা খুব ব্রেনি, তাই হাসেন না। এই সূত্র হইতে উপসিদ্ধান্তে আসা যায়।
ব্রেন ১/ চিৎকার, চেঁচামেচি, লাফালাফি
অর্থাৎ, যাহারা যত কম ব্রেনি, তাহারা তত বেশি চিৎকার, চেঁচামেচি, হাত নাড়ানাড়ি করিয়া থাকে। উদাহরণ...
মানববাবু থিসিসটা দিয়েই চলে গেলেন। ফিরে আসেননি আর। ঠিকানাও ছিল না। আমি আজও যত্নে রেখেছি ওটা।


• শখ ছিল, আপনার রিটায়ারমেন্টের দিন ডুকরে কান্নাকাটি, কাঁপা গলায় ফাটাফাটি বক্তৃতা হবে।
টিভি পাবেন। কিন্তু ওই দিনই সচিন রিটায়ার করলেন, কেউ আপনাকে মিনিমাম পুঁছল না।
• এমন বোম বানালেন, ক’লক্ষ ডেসিবেল শব্দ হবে।
পরিবেশ-পুলিশকে আপনার থোড়াই কেয়ার,
শাস্তির ভয়ও নেই। কিন্তু বোমটা ফাটতেই
প্যান্ডেলের কালী ভয়ে জিভ ঢুকিয়ে ফেললেন।
ভক্তরা আপনাকে সাংঘাতিক পেটাল।
• ভাইফোঁটায় সস্তায় বাজিমাত করতে ও বোনকে
চমকে দিতে, লটারির টিকিট দিলেন। সেই কুড়ি
টাকার টিকিটে লটারি জিতে বোন দশ কোটি
টাকা পেল এবং বড়লোকি ফাঁটে আপনাকে
ঘাড় ধরে বাড়ি থেকে বের করে দিল।

মহারাষ্ট্রের একটি স্কুলে কর্তৃপক্ষ ইংরেজির শিক্ষক সঞ্জয় সালভে-র বেতনবৃদ্ধি বন্ধ রেখেছিলেন ছ’বছর। মাস্টারমশাইয়ের অপরাধ, ক্লাস শুরুর আগে প্রার্থনা চলার সময় তিনি দু’হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে চাননি। কর্তৃপক্ষ রেগে কাঁই, এ তো শৃঙ্খলার চরম অবমাননা, শিক্ষকই এ রকম আচরণ করলে ছাত্ররা কী শিখবে? সঞ্জয় জবাব দিয়েছিলেন, তিনি নাস্তিক, তাই কোনও ঈশ্বরস্তুতির সামনেই জোড়হাত করতে পারবেন না। তা ছাড়া, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে ‘প্রার্থনা মাস্ট’ ফতোয়াটাও ঘোর অসাংবিধানিক। নাখোশ কর্তৃপক্ষ হাতে না মারতে পেরে ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করায় সঞ্জয় মামলা করেন, তারই সদ্য-ঘোষিত রায়ে বম্বে হাই কোর্ট জানালেন, সঞ্জয়ই ঠিক, সরকারি স্কুলের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তিকে প্রার্থনাকালীন হাত জোড় করতে বাধ্য করাটা সংবিধানের ২৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী, বৈষম্যমূলক। আদালত স্কুলকে নির্দেশ দিয়েছেন তিন মাসের মধ্যে শিক্ষকের সব প্রাপ্য মেটাতে, সঞ্জয়কেও বলেছেন হাত জোড় করে নয়, কিন্তু প্রার্থনার সময় সসম্ভ্রমে উপস্থিত থাকতে। একা, প্রত্যয়ী মানুষটি দেখিয়ে দিলেন, না জেনে-বুঝে, ‘সবাই এ রকমটাই করে’ বলে প্রশ্নহীন আনুগত্যে যে কোনও রীতিকে যন্ত্রবৎ তামিল করে যাওয়াটা শৃঙ্খলা নয়। মেজরিটির মূর্খ ঔদ্ধত্যের সামনে মাথা না ঝুঁকিয়ে, নিজের যুক্তি-বুদ্ধিকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়াটাই শিক্ষা।

পূর্ব আফ্রিকার সমুদ্রে ভেসে থাকা জাহাজ আর তার নাবিকদের সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে বাঁচাতে ব্রিটিশ নৌ-সেনার মুশকিল-আসান: ব্রিটনি স্পিয়ার্স। না, মার্কিন পপস্টার শান্তির অলিভশাখা বিলোচ্ছেন না, জাহাজের লাউডস্পিকারে তাঁর গান চালালেই নাকি পাইরেটরা ভাগলবা। ব্রিটিশ গোয়েন্দা-মত, সোমালীয় জলদস্যুরা ওয়েস্টার্ন সুরের জগঝম্প মোটে পছন্দ করে না। নৌ-সেনা কর্তৃপক্ষ তাই অনেক ভেবেচিন্তে বেছেছেন ব্রিটনি-গীত ‘উপ্স! আই ডিড ইট এগেন’ আর ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’, দুটি গানই এখনও পর্যন্ত জলদস্যুদের নিদারুণ ও জাহাজিদের দারুণ ‘সার্ভিস’ দিচ্ছে। দু’মাস পর বাজারে আসছে ব্রিটনির নতুন অ্যালবাম, রইরই বিক্রি অবশ্যম্ভাবী, ফ্যানরা লাখে কিনলে নেভি অর্ডার দেবে কোটিতে। দস্যু তাড়ানোয় গানের ব্যবহারে ব্রিটনির অপমান হল কি না তর্ক উঠতে পারে, কিন্তু শিল্পীর কীর্তিকে যে নান্দনিক দু’মলাটের বাইরেও দুর্দান্ত কাজে লাগানো যায়, এ কাণ্ড বিলক্ষণ প্রমাণ। এ শহরের মাথারাও ভেবে দেখতে পারেন। ট্রাফিক-আলোয় গাঁ-গাঁ গান লালবাজারের gunধারীদের কাছে ঘাগু ক্রিমিনাল ঢিট করতে হিট হতেই পারে!
৩৭১
প্রতি দিন দেশে যত জন
মানুষ আত্মহত্যা করেন।
এঁদের মধ্যে ২৪২ জনই পুরুষ
২৬০০
চিন-এ অন্তত যতগুলো
ওয়েবসাইট সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ
১০০০০
সচিন তেন্ডুলকরের বিদায়ী টেস্ট
ম্যাচে ১৫০০ বিশেষ আসনের জন্য
যত টাকা মূল্যের বিশেষ টিকিটের
ব্যবস্থা করল মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা
৩৬৯
প্রতি ১০০ টাকা রোজগারে এই মুহূর্তে
যত টাকা খরচ করতে হচ্ছে কলকাতার
মেট্রো রেল-কে। গত বছর মোট লোকসানের
পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি টাকা

৮৩২

এ বছর ম্যান বুকার পুরস্কারজয়ী ইলিনর কাটন-এর লেখা বই ‘দ্য লুমিনারিজ’-এর মোট পৃষ্ঠাসংখ্যা
৬৩৮৭
তীর্থে বেরিয়ে যত কিলোমিটার
পথ পায়ে হেঁটে করাচি থেকে মক্কা
পৌঁছলেন পাকিস্তানের খারলজাদা
কাসরাত রাই
৩৮৭৩৬০০০
গত তিন বছরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়
হাতিদের করা ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ
দিতে বন দফতরের যত টাকা খরচ হয়েছে
১৯.৮৮
জেনিভা-য় ক্রিস্টিজ-এর নিলামে প্রায় ২০ কোটি টাকায় বিক্রি হওয়া ভারতের নীলকান্তমণি
‘দ্য স্টার অফ কাশ্মীর’-এর ওজন যত ক্যারাট

২০২০ সালের মধ্যে ভারতে প্রতিটি
পরিবারে যত জন ক্যানসার রোগী
থাকবেন বলে জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা


সী


চৌ
ধু
রী

সারদা’রা বার বার ফেরে একই বৃত্তে
মানুষ সে সব স্মৃতি পুষছে না চিত্তে
তদন্ত জারি থাকে... কার্নিসে ঝুল খায়
পুরনো দাদের মতো মাঝে মাঝে চুলকায়

চোখের আড়ালে সুড়ঙ্গ কেটে ওরা করে আনাগোনা
কোটি মূষিকের সৈন্যবাহিনী... অগণিত ছানাপোনা
বিদ্রোহীদের সে সাম্রাজ্য
কোনও রাজরোষ করে না গ্রাহ্য
লন্ডন নয়, হ্যামলিনই তবে?... শোনা যায় আলোচনা







First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.