আলো রণ

হানুকা
ইহুদিদের আলোর উৎসব। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে জেরুজালেমে ম্যাকাবিরা গ্রিকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। ম্যাকাবিরা জিতে মন্দিরে প্রার্থনা করতে গিয়ে দেখে শত্রুরা পবিত্র আলোর তেল শেষ করে ফেলেছে। কেবল এক দিন জ্বলার মতো তেল পড়ে! তা সত্ত্বেও টানা আট দিন ধরে ওই প্রদীপ জ্বলে ছিল বলেই ইহুদিদের বিশ্বাস। এখন হানুকায় ন’টি মোমবাতি সাজানো হয়। আট দিন ধরে পবিত্র প্রদীপটি জ্বলে থাকার প্রতীক হিসেবে আটটি মোমবাতি জ্বলে। বাকি মোমবাতিটি জ্বালানো হয় অন্যান্য কাজের জন্য, কারণ অন্য মোমবাতিগুলি ধ্যানের জন্য রাখার নিয়ম। আট দিন আট রাত ধরে হানুকা চলে। হিব্রু ক্যালেন্ডারের ‘কিসলেভ’ মাসের ২৫ তারিখে হানুকার শুরু। আমাদের ক্যালেন্ডারে সেটা নভেম্বরের শেষ।

লয় ক্রাথোং
প্রতি বছর নভেম্বরে এই ছুটির দিনটি উদ্যাপন করা হয় তাইল্যান্ডে। ‘লয়’ কথাটির অর্থ, যা বয়ে চলে। ‘ক্রাথোং’ হল কলাগাছের খোল দিয়ে তৈরি এক ধরনের ভেলা। পদ্মের মতো দেখতে। ক্রাথোং-এ সাধারণত একটি মোমবাতি, কয়েকটি চিনা সুগন্ধিকাঠি, আর কিছু ফুল ও মুদ্রা থাকে। রাতে যখন আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যায়, তখন এই উৎসব শুরু হয়। বাসিন্দারা স্থানীয় নদী তীরে ক্রাথোং ভাসাতে যান। প্রার্থনা সেরে মোমবাতি, সুগন্ধিকাঠি জ্বালিয়ে তাঁরা ক্রাথোংটিকে ভাসিয়ে দেন। এই ভাবেই তাঁরা জলদেবতাকে ধন্যবাদ দেন। স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস ক্রাথোং জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতাকে দূরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আগামী বছরটা যাতে সকলের ভাল যায়, এই প্রার্থনাই জানান সবাই। বিভিন্ন বাড়ির ছাদে নানা আকারের রংবেরঙের আকাশবাতি জ্বালানো হয় এবং ওড়ানো হয় আলোর ফানুস।

সেন্ট লুসি’স ডে
১৩ ডিসেম্বর নাকি সুইডেনের দীর্ঘতম রাত। এ দিন, সেন্ট লুসিয়া বা লুসিকে অনেক মোমবাতি জ্বালিয়ে স্মরণ করা হয়। ইতালি, ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়াতেও উৎসবটা দারুণ প্রচলিত। কিন্তু সেন্ট লুসি কে? উত্তর অনেক। কেউ বলেন, লুসিয়া একটি প্রাচীন পৌরাণিক চরিত্র, তিনি সুইডেনের হাড়কাঁপানো শীতের আঁধারে আলোর বার্তা বয়ে আনেন। অন্য মতে লুসিয়া ও ডিভিলের সন্তানগুলি নাকি অশরীরী আত্মা ছিল। কাজেই ‘লুসিয়া’ নামটি আসতে পারে লাক্স বা আলো থেকে, কিংবা লুসিফার বা শয়তান থেকে। গোটা সুইডেন জুড়ে এই দিনটিতে উৎসব শুরু হয়ে যায় সূর্যোদয়ের আগে থেকে। ভোরে পরিবারের বড় মেয়ে একটি লম্বা সাদা গাউন ও পাতার মুকুট পরে। সেই মুকুট সাতটি জ্বলন্ত মোমবাতি দিয়ে সাজানো। এই ভাবে সেজে, ভাইবোনদের নিয়ে সে ঘুমন্ত বাবা-মায়ের কাছে আসে। আলো ও গানে ঘুম ভেঙে গেলে বাবা-মা মেয়ের দেওয়া বিশেষ প্রাতরাশ খান।

সেন্ট মার্টিন’স ডে
নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া প্রভৃতি ইউরোপের দেশে ১১ নভেম্বর তারিখটিকে সেন্ট মার্টিন’স ডে হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। এই দিনটিতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা গান গাইতে গাইতে লণ্ঠন হাতে বাড়ি বাড়ি যায়। লোকে তাদের নানা রকম মিষ্টি ও সুস্বাদু খাবার খাওয়ায়। শোনা যায়, সেন্ট মার্টিনের এক বার এক ভিক্ষুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল। ক্ষুধার্ত, শীতে কাতর এক মরণাপন্ন ভিক্ষুক। সেন্ট মার্টিন নিজের আলখাল্লাটিকে দু’ভাগ করে সেই মানুষটার প্রাণ বাঁচান। সেই তুষার ঝড়ের রাতে এ ভাবে এক জন অপরিচিতের প্রাণ বাঁচানোয় দয়ালু ও বড় মনের মানুষ হিসেবে মার্টিনের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে, চারিদিক আলোয় সাজিয়ে, এমন আনন্দ করে সেন্ট মার্টিন’স ডে উদ্যাপন করা হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.