|
|
|
|
পাঁশকুড়ায় দ্রুত স্থায়ী বাঁধ মেরামত, ঘোষণা শুভেন্দুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কাঁসাইয়ের বাঁধ মেরামতের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। বেশিরভাগ এলাকা থেকে জলও নেমেছে। এ বার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠনের পালা। সেই লক্ষ্যে রাস্তা সংস্কার, স্থায়ী বাঁধ মেরামত-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে জানালেন, দুর্গতদের ত্রাণ বিলিও চলবে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্গঠন নিয়ে ১৫ নভেম্বর জেলাশাসকের দফতরে প্রশাসনিক বৈঠক হবে। তার আগে শনিবার ওই এলাকার দলীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়ে তমলুকে বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ। পরে নিমতৌড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “অতিবর্ষণ এবং গালুডি, ডিভিসি ব্যারাজ থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ায় কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে পাঁশকুড়া, তমলুক ও নন্দকুমার ব্লকে দু’শোর বেশি গ্রাম জলমগ্ন হয়েছিল। এখনও ১২৮টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আছেন।” সাংসদের ঘোষণা, “আরও অন্তত এক সপ্তাহ ত্রাণ শিবিরগুলিতে শুকনো ও রান্না করা খাবার দেওয়া হবে। দুর্গতরা বাড়িতে ফেরার পরেও এক মাস ধরে শুকনো খাবার, রান্নার সামগ্রী বিলির জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।” এ দিন নন্দকুমার ব্লকের বরগোদারগোদা এলাকায় ৭০০ জনের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন শুভেন্দু।
পাঁশকুড়ার রানিহাটিতে দফায় দফায় কাঁসাইয়ের বাঁধ ভেঙে সম্প্রতি বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়েছিল। বাঁধ মেরামতে সেনা পর্যন্ত নামাতে হয়। প্রাথমিক মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে। শুভেন্দু এ দিন বলেন, “ওই বাঁধ স্থায়ী ভাবে মেরামতের জন্য সেচ দফতরকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। নভেম্বর মাসের মধ্যেই স্থায়ী ভাবে বাঁধ মেরামত করার চেষ্টা করবে সেচ দফতর। আর তমলুকের শঙ্করআড়া, পায়রাটুঙি, প্রতাপখালি খাল সংস্কার করা হবে মার্চ মাসের মধ্যে।”
সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাঁধের কাজের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসুর বিশেজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁরা এলাকা পরিদর্শনও করেছেন। তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটিকে। তাঁদের পরামর্শ মতোই সেচ দফতর পরবর্তী পদক্ষেপ করবে। সেচমন্ত্রীর আশ্বাস, “যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করা হবে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “কাঁসাইয়ের ওই অংশে বাঁধের পূর্ণাঙ্গ কাঠামো বর্তমানে নেই। ফলে, নতুন করে বাঁধ তৈরি করা হবে। আর অস্থায়ী ভাবে যে কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সেটি রিং বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।” তমলুকের খালগুলিও মার্চের মধ্যে সংস্কার করা হবে বলে সেচমন্ত্রী জানিয়েছেন।
জলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির পুনর্নির্মাণ, ধান-পান-মাছ চাষিদের ক্ষতি সামলাতে সরকারি ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে এ দিন শুভেন্দু জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ঋণ দেওয়া হবে। যাঁরা এ বছর স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়েছিলেন, তাঁরা যাতে পরের বছর কিস্তিতে টাকা ফেরত দিতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করা হবে।” পড়ুয়াদের নিখরচায় বই ও পড়ার সরঞ্জাম বিলি, ‘কন্টাই সমবায় ব্যাঙ্ক’-এর উদ্যোগে দুর্গতদের শীতবস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “দুর্গতদের যে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা পূরণ করতে পারব না। তবু যতটা সম্ভব তাঁদের সাহায্যের চেষ্টা করব।” |
পুরনো খবর: ডুবে গ্রাম, আলোর উৎসব ফিকে তমলুকে |
|
|
|
|
|