অতীতে কী হয়েছে তিনি ভুলে যেতে চান। উপভোগ করতে চান বর্তমানটা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে একই সঙ্গে ম্যান অব দ্য ম্যাচ আর ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার নিয়ে বলছেন রোহিত শর্মা। একই সঙ্গে জানাচ্ছেন, ১৬টা ছয় মারার বিশ্বরেকর্ড যে তাঁর ব্যাট থেকে এ দিন বেরিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানা ছিল না তাঁর।
“দুশোর কথা ভেবে কখনই খেলছিলাম না,” বলছিলেন রোহিত, “আমার লক্ষ্য ছিল উইকেটে থাকা। পার্টনারশিপ গড়া এবং তারপর মারা। বেঙ্গালুরুর মাঠটা ছোট ছিল। আমার স্ট্র্যাটেজি কাজে লেগে যায়। ১৮০ হয়ে যাওয়ার পর ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাপারটা মাথায় আসে।”
মাঠ ছোট বলেই কি এ রকম ছয়ের ফুলঝুরি? রবি শাস্ত্রীর প্রশ্ন শুনে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বলছেন, “আসলে বেঙ্গালুরুর মাঠটা ব্যাটসম্যানদের খুব প্রিয়। ভাল উইকেট, শট নেওয়া যায়। আইপিএলে বিরাট, গেইলদের ব্যাটিং থেকেই যেটা স্পষ্ট। এই মাঠে বাউন্ডারির চেয়ে ওভারবাউন্ডারিটা বেশি হয়।” এ দিন যেমন এক দিনের ক্রিকেটে এক ম্যাচে সর্বাধিক ছয় মারার রেকর্ডও ভেঙে গেল। দু’ইনিংস মিলে ওভার বাউন্ডারির সংখ্যা ৩৮। দু’দলই মেরেছে ১৯টা করে ছয়। |
ধোনির সুখী পরিবার। বেঙ্গালুরুতে। ছবি: পিটিআই। |
কিন্তু ৩৮০-র উপর রানও তো এক সময় কম মনে হচ্ছিল? রোহিত বলছেন, “হ্যাঁ। একটা সময় আমরাও অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলাম। আসলে বৃত্তের মধ্যে ৫ জন ফিল্ডার রাখার নিয়মটা ব্যাটসম্যানদের সুবিধে করে দিচ্ছে। আমিও সে জন্য দ্রুত রান তুলতে পারলাম।” ভারতীয় বোলাররা এর জন্য কতটা দায়ী? ধোনি কিন্তু বোলারদের ঘাড়ে পুরোপুরি দোষ চাপাতে রাজি নন। বলছিলেন, “সবাই আমাদের বোলারদের দোষ দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং নিয়ে কেউ কোনও কথা বলছে না। কিন্তু এটাও মনে রাখবেন, আমরা কত বার ওদের বিরুদ্ধে তিনশো রান তুলেছি। দু’ বার তিনশো তাড়া করেও জিতেছি।”
তবে ধোনি মেনে নিচ্ছেন, ডেথ বোলিং নিয়ে সমস্যাটা এখনও থেকেই যাচ্ছে। “আমি কাউকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করছি না। তবে টিম পর্যায়ে আমাদের বোলিংটা ভাল করতে হবে। ডেথ বোলিংটা নিয়ে চিন্তা থাকছেই,” বলছেন ভারত অধিনায়ক।
ব্যাটিং নিয়ে ধোনির বক্তব্য, “টপ অর্ডার ভাল ফর্মে আছে। তবে মিডল অর্ডার আর একটু ভাল খেললে কোনও চিন্তা থাকত না। এ দিন যেমন একটা সময় দু’তিনটে উইকেট চলে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল, রানটা তিনশো পার হবে কি না। তবে ৩৮০টা হল রোহিতের ইনিংসটার জন্যই।”
|
আইসিসি পুরস্কারের দৌড়ে ধোনি-কোহলি
সংবাদ সংস্থা • দুবাই |
আইসিসি-র বর্ষসেরা পুরস্কার এর আগেও পেয়েছেন দু’জনই। ২০০৮-’০৯ দু’বার বর্ষসেরা ওয়ান ডে প্লেয়ারের পুরস্কার পেয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২০১২-তে এই পুরস্কার পান বিরাট কোহলি। এ বার দর্শকদের বিচারে আইসিসি-র বর্ষসেরা পুরস্কারের জন্য মনোনীত দুই তারকা ক্রিকেটার। প্রিয় তারকাকে আইসিসির এই ‘পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ জেতাতে ২৩ নভেম্বর মাঝরাত পর্যন্ত সমর্থকরা ভোট দিতে পারবেন www.lgiccawards.com বা টুইটারে #lgiccawards হ্যাশট্যাগ এর মাধ্যমে। বিরাট আর ধোনি ছাড়াও দৌড়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল ক্লার্ক, ইংল্যান্ডের অ্যালিস্টার কুক এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডেভিলিয়ার্স। আইসিসির-র এই অনুষ্ঠান এ বার দশ বছরে পড়ল। আগে যে অনুষ্ঠান হত সেটাও তাই বদলে যাচ্ছে একটি বিশেষ টিভি শো-এ। বছরের শেষ দিকে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। তাতে থাকবে এর আগে পুরস্কার জয়ীদের সাক্ষাৎকারও। দর্শকদের বিচারে সেরা ক্রিকেটারের তালিকায় কারা থাকবে সেটা ঠিক করতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একটি দল গড়া হয়েছিল। যার প্রধান আইসিসি-র ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলে। কুম্বলে ছাড়া প্যানেলে আছেন ইংল্যান্ডের অ্যালেক স্টুয়ার্ট, নিউজিল্যান্ডের ক্যাথরিন ক্যাম্পবেল, পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিস আর দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রেম পোলক। মনোনীত পাঁচ ক্রিকেটারকে বেছে নিয়েছে এই প্যানেলই। |