|
|
|
|
পঞ্চবটী বাঁচাতে সাহায্যের হাত বটানিক্যালের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বটানিক্যাল গার্ডেনের শতাব্দীপ্রাচীন বটগাছটির মতো একই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হবে দক্ষিণেশ্বরের পঞ্চবটী উদ্যানের মূল বটগাছটিরও। শনিবার দক্ষিণেশ্বরে এ কথা জানিয়েছেন বটানিক্যাল গার্ডেনের অধিকর্তা হিমাদ্রিশেখর দেবনাথ। দু’মাস বন্ধ থাকার পরে এ দিন সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় পঞ্চবটী উদ্যান।
দক্ষিণেশ্বর মন্দির সূত্রে খবর, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গত ২২ অগস্ট পঞ্চবটী উদ্যানের মূল বট -অশ্বত্থ গাছের শাখা -প্রশাখার একাংশ ভেঙে পড়ে। তখন মন্দির -কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঘুণ ধরে ক্ষয়ে যাওয়ায় ওই অংশটি ভেঙে পড়েছে। তবে ওই ঘটনার পরেই প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক ওই গাছগুলিকে আরও উন্নত ধরনের প্রযুক্তিতে সংরক্ষণের চিন্তাভাবনা শুরু করেন মন্দির -কর্তৃপক্ষ। |
নতুন রূপে পঞ্চবটী। শনিবার।—নিজস্ব চিত্র। |
দক্ষিণেশ্বর মন্দির -কর্তৃপক্ষের তরফে কুশল চৌধুরী বলেন, “পঞ্চবটী উদ্যানের সংরক্ষণে বটানিক্যাল গার্ডেন -কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। তাঁরা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। দু’মাস বন্ধ রেখে কথামৃতের বর্ণনা মতো পঞ্চবটী উদ্যান পুনরায় সাজানো হয়েছে।” জানা যায়, শ্রীরামকৃষ্ণ গঙ্গার তীরে নিজের হাতে বট, অশ্বত্থ, আমলকি, বেল ও বকুল গাছ লাগিয়ে এই উদ্যান তৈরি করেছিলেন। মাঝে বেহাল অবস্থার জন্য বছরখানেক বন্ধ ছিল উদ্যানটি। পরে ২০০৮ -এ তা নতুন ভাবে সাজিয়ে দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। হিমাদ্রিশেখরাবু বলেন, “শুধু ওই পাঁচটি গাছ সংরক্ষণই নয়, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আরও ৩৮ রকমের গাছ লাগানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|