এল পুলিশ, আড়াল থেকে ডাক মিয়াঁও
ল ফোন কল, ধরা পড়ল বিড়াল !
ভিতরে একটা চাপা ফ্যাস ফ্যাস আওয়াজ। দরজায় কান পাততেই শুনতে পেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু ঠাহর করতে পারছিল না, ভিতরে হচ্ছেটা কী?
একটু আগেই এই ঠিকানা থেকে বিপদবার্তা পেয়ে ছুটে এসেছিল পুলিশ। বিপদবার্তা বলতে একটা ফোন এসেছিল ব্রিটেনের আপৎকালীন নম্বর ৯৯৯ -এ। পাশ থেকে অবশ্য কোনও কথা শুনতে পায়নি তারা। তবে এমনটা হতেই পারে। বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি হয়তো কথা বলার অবস্থায় নেই। কিন্তু বাড়ির দরজায় বারবার টোকা দিয়েও ভিতর থেকে সাড়া মেলেনি। পড়শি মহিলাকে জিজ্ঞাসা করে পুলিশ জানতে পারে, বাড়ির মালিক জেমস ককসেজ তাঁর বান্ধবী মনিকা ডে লা ক্রুজ দু’জনেই অফিসে। ভিতরে কারও থাকার কথা নয়। সুতরাং ভিতরের চাপা আওয়াজের উৎস বিপজ্জনক হতে পারে, আতঙ্কিত হন উর্দিধারীরা। শেষমেশ দরজা ভাঙাই স্থির হয়।

এই সেই ব্রুস। তখনও ল্যান্ডফোনের পাশে। ছবি ডেইলি মেলের সৌজন্যে।
যেমন ভাবা, তেমনি কাজ। পুলিশ কর্তাদের উদ্যোগে দরজা ভেঙে চৌচির। আলো -আঁধারি পেরিয়ে ভিতরে ঢুকেই আততায়ীর উদ্দেশে পুলিশের সতর্কবার্তা, ‘হাত তুলে দাঁড়াও’। কয়েক জোড়া চোখ নিমেষে স্ক্যান করে ফেলল ভিতরটা। কিন্তু কই, কেউ তো নেই ! আরও ভাল করে সব ক’টা ঘর আতিপাতি করে খুঁজেও অপরাধীর দেখা নেই। শেষে পুলিশ যখন সন্দিহান, আলমারির পিছন থেকে ভেসে এল ‘মিয়াঁও’। বেরিয়ে এলেন বাড়ির তৃতীয় বাসিন্দা। প্রতিবেশী মহিলা যার কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলেন, ফোনের পারে যিনি ছিলেন সেই ব্রুস।
জেমস মনিকার পোষ্য মার্জার।
ছবিটা আরও জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেল জেমসের আবির্ভাবে। পুলিশের সন্দেহে সিলমোহর দিলেন তিনি। জানালেন, বাড়িতে ফিরে দেখেন সামনেই দাঁড়িয়ে পুলিশের গাড়ি। অপেক্ষা করছেন এক অফিসার। বাড়ির মালিককে দেখেই তাঁর সহাস্য মন্তব্য, “ভয় নেই, আপনার বিড়াল ভালই আছে।” জেমসের কথায়, “তখনই বুঝে গিয়েছিলাম, কিছু একটা কাণ্ড বাধিয়েছে ও।” জানালেন, যবে থেকে বাড়িতে ল্যান্ড ফোন এসেছে, ব্রুসের নজর সে দিকে। ফোন বাজলেই ছুটে চলে যায় ফোন ধরতে। বিশেষ করে ফোনের ছোট ছোট বোতামগুলোর প্রতি ভীষণ উৎসাহ। থাবা দিয়ে বোতাম টিপতে অদম্য ইচ্ছা। তেমন কিছুই হয়তো করেছিল, সন্দেহ জেমসের। পড়শি মহিলাও জানালেন, বাড়ির ভিতরের যে সন্দেহজনক আওয়াজটা শুনতে পেয়েছিল পুলিশ, সেটা হয়তো তাঁর পুষ্যি বিড়াল অড্রের সঙ্গে বাগ্যুদ্ধ চলছিল।
কিন্তু এই ভ্রান্তিবিলাসে মাথায় হাত জেমসের। ব্রুসের সৌজন্যে তাঁর হাতে এখন একটা লম্বা -চওড়া বিল। বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙেচুরে খান খান। বললেন, “পুলিশ ওদের কাজ করেছে। কী করা যাবে। আপাতত আমার কয়েকশো পাউন্ড খসছেই।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.