নির্বাচনের আগে অর্ন্তবর্তী সরকার গঠন নিয়ে ঐকমত্যের আশা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনা প্রস্তাবে সাড়া না-দিয়ে সোমবার থেকে দ্বিতীয় দফার লাগাতার ৬০ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামাতে ইসলামি জোট।
এর আগে গত সপ্তাহেই এই জোট ৬০ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছিল। সেই হরতালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ ও নাশকতায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন শ’দেড়েক মানুষ। বিএনপি-জামাত কর্মীরা রেল লাইন উপড়ে, ট্রেনে আগুন দিয়ে জনজীবন অস্তব্যস্ত করে দেয়। পরিকল্পিত ভাবে হামলার নিশানা করা হয়েছে সংবাদমাধ্যম, বিচারপতি ও আইনজীবীদের। আগুন লাগানো হয়েছে বহু গাড়ি ও সরকারি অফিসে। এ বারে হরতালের মধ্যেই পড়েছে অষ্টম শ্রেণির স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা।
ফলে বিপাকে পড়েছে প্রায় ২১ লক্ষ পরীক্ষার্থী। বিষয়টি বিএনপি নেতৃত্বের নজরে আনা হলে দলের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম শুধু বলেন, পরীক্ষা হরতালের আওতায় পড়বে না। কিন্তু গোটা দেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে গেলে ছাত্রছাত্রীরা কী ভাবে পরীক্ষা দিতে আসবে, ফখরুল ইসলাম তার কোনও জবাব দেননি।
আগের হরতালেই ব্রিটিশ কারিকুলামের ‘এ’ এবং ‘ও’ লেভেলের প্রায় হাজার দশেক পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে না-পারায় তাদের এক বছর করে নষ্ট হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বছরের শেষে বাংলাদেশে প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী নানা পরীক্ষায় বসছে। তাদের স্বার্থে হরতাল থেকে সরে আসার জন্য বিরোধীদের প্রতি আর্জি জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। রাজবাড়িতে একটি জনসভায় হাসিনা আজ বলেন, আলোচনার প্রস্তাব দেওয়াই রয়েছে। মানুষের স্বার্থে বিরোধীরা হরতাল ছেড়ে আলোচনা শুরু করুক।
|