তিন বছরের শিশুকন্যাকে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে খুনের অভিযোগ উঠল সম্পর্কিত দাদুর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ন’টা নাগাদ মালদহের নবাগঞ্জের পালপাড়ার এই ঘটনায় নিহত শিশু কন্যার নাম রত্না পাল (৩)। রাতেই মহানন্দা নদী থেকে ওই শিশুর বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার করেন গ্রামবাসী। পুলিশ অভিযুক্ত ভূপেন পালকে গ্রেফতার করেছে। খুনের ঘটনা জানাজানি হতে গ্রামবাসীরা ভূপেন পালকে মারধর শুরু করে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “কী কারণে ওই ব্যক্তি তিন বছরের শিশুকে খুন করেছে বোঝা যাচ্ছে না। মৃত শিশুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ভূপেন পালকে পুলিশ ধরেছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহের পালপাড়ায় স্ত্রী ভারতীদেবী ও ৩ বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে একটি ঝুপড়িতে বসবাস করতেন পেশায় ভ্যানচালক অনিল পাল। সাত দিন আগে বাংলাদেশ থেকে অনিল পালের মামা ভূপেন আসে। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ ভারতীদেবী শিশুকন্যাকে ঘুম পাড়িয়ে মামাশ্বশুর ভূপেন পালকে দেখতে বলে পাশের বাড়িতে ধূপকাঠি বানাতে গিয়েছিলেন। ভারতী দেবী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “ফিরে বারবার জিজ্ঞাসা করি মেয়ে কোথায় গেল। মামাশ্বশুর কোনও কথা বলছিলেন না। ঘরের মেঝেতে দেখি রক্ত। মামাশ্বশুরের হাতে রক্ত, ছাই দিয়ে মেখে রেখেছে।” ভারতীদেবীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে ভূপেন পালকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন।
|
মুম্বইয়ে বহুতল বাড়ি ধসে মৃত মালদহের যে ১১ শ্রমিকের পরিবারকে ২২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাঠিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। তবে তার কৃতিত্ব নিয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী ও রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর মধ্যে চাপান উতোর শুরু হয়েছে। আবু হাসেম খান চৌধুরী দাবি করেছেন, “আমি উদ্যোগী না হলে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে থেকে এই বিপুল পরিমাণে ক্ষতিপূরণের টাকা মৃত শ্রমিক পরিবারের লোকেরা পেত না। কেন্দ্র সরকার থেকে মহারাষ্ট্র সরকারকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। অথচ জেলা প্রশাসন আমাকে এখনও কিছুই জানায়নি।” রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “মুম্বই-এ যখন আমাদের জেলার ১১ জন শ্রমিক মারা গিয়েছিলেন, তখন ডালুবাবু কোথায় ছিলেন?” তিনি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে খবর দিয়েছিলাম। এর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে মুম্বই থেকে বিমানে ওই ১১ জন শ্রমিকের মৃতদেহ কলকাতা হয়ে মালদহে আনা হয়েছিল। সমস্ত খরচ রাজ্য সরকার বহন করেছিল। রাজ্যের সরকারের চাপেই মহারাষ্ট্র সরকার মালদহের ১১ জন মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ২২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হয়েছে।”
|
কোচবিহার জেলায় ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশনের কাজের হাল দেখে অসন্তুষ্ট প্রকল্প কর্তারা। শুক্রবার ওই প্রকল্পের ডিরেক্টর সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিদের একটি দল কোচবিহারে আসেন। প্রকল্পের অবস্থা খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্তাদের নিয়ে তারা জেলাশাসকের দফতরে একটি বৈঠক করেন। সেখানেই প্রকল্পের ব্লক ভিত্তিক বরাদ্দ খরচের হিসাব খতিয়ে দেখে ক্ষোভ উগরে দেন তারা। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই প্রকল্পে কোচবিহারে বরাদ্দ ১ কোটিরও বেশি টাকা খরচ হয়নি। কোচবিহারের সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া বলেন, “ওই প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হয়নি। বৈঠকে দ্রুত তা খরচের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে।” কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভাশিস সাহা জানান, নির্দেশ মেনে ওই খরচ করা হবে।
|
দুটি ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক ট্রাক চালকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক জন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইসলামপুর থানার মাদারিপুর এলাকাতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই যুবকের আনুমানিক বয়স ৩০ বছর। তবে তার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।
|
৪০ জন মানুষের জীবন্ত স্ট্যাচু হলদিবাড়ির পশ্চিমপাড়ার ডায়না ক্লাবের কালিপুজোয়। এবার এটাই হচ্ছে এবারের পুজোর থিম। তুফানগঞ্জের আমলাগুড়ি গ্রাম থেকে সহদেব দাসের নেতৃত্বে ৪০ জন শিল্পীর একটি দল শনিবার হলদিবাড়ি শহরে পৌঁছবেন। রবিবার সন্ধ্যা থেকে এরা জীবন্ত স্ট্যাচু হয়ে মন্ডপে থাকবেন। দলের নেতা সহদেব দাস বলেন, “স্ট্যাচুর মাধ্যমে আমরা দুদিন দুটি পৌরাণিক কাহিনি তুলে ধরব। তৃতীয় দিন বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে একটি থিম প্রদর্শন করা হবে।
|
সোনার অলঙ্কারে সাজানো বড় তারা দেবীর পুজোয় মাতছে কোচবিহার শহরের মদনমোহন বাড়ি। চত্বরের কাঠামিয়া মন্দিরে পুজোর আয়োজন সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। পুজোর আয়োজক দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়তারা দেবীর বিশালাকায় প্রতিমা গড়েছেন মৃৎশিল্পী পূর্ণেশ্বর চিত্রকর। রীতি মেনে পুজোর রাতে সোনার গয়নায় দেবীকে মুড়ে দেওয়া হয়। |