বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরুলিয়ার ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গভূক্তি স্মরণ করা হল। শুক্রবার পুরুলিয়ার শিল্পাশ্রম থেকে লোকসেবক সঙ্ঘের শতাধিক কর্মী মিছিল করে নিবারণ পার্কে আসেন। ছিলেন মানবাজারের শ্যামপুর গ্রামের দিবাকর মাহাতো, বান্দোয়ানের খগেন মাহাতো, কেন্দার গানু মর্দানার মতো ভাষা আন্দোলনের সেনানিরাও। রঘুনাথপুর ২ ব্লকের সগড়কা গ্রামে মানভূম লোক সংস্কৃতি কেন্দ্র এই উপলক্ষে অনুষ্ঠান করে। সংস্কৃতি কেন্দ্রর কর্মকর্তা লোকগবেষক সুভাষ রায় জানান, দিনটিকে স্মরণ করে আলোচনাসভা, মানভূমের ভাষায় কবিতা পাঠ হয়।
লোকসেবক সঙ্ঘের সচিব সুশীল মাহাতো জানান, বিহারের মানভূম জেলার বাসিন্দারা বাংলাভাষী ছিলেন। তাই মাতৃভাষা রক্ষার দাবিতে লোকসবক সঙ্ঘের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়। পরে ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর ওই এলাকা আলাদা ভাবে পুরুলিয়া জেলা তৈরি হয়ে তা পশ্চিমবঙ্গে অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল। তবে সরকারি ভাবে এই আন্দোলনের স্মরণে কোনও অনুষ্ঠান না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ সঙ্ঘের সদস্যেরা। সুশীলবাবু বলেন, “আমাদের জেলার জন্মদিনটি এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছে উপেক্ষিত হয়ে আছে। এই আন্দোলনকে মর্যাদা দিতে সরকারি ভাবে স্মরণ অনুষ্ঠান হওয়া উচিত।”
তবে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতোর আশ্বাস, “১ নভেম্বর জেলার একটি গৌরবজনক দিন। আগামী দিনে ভাষা আন্দোলন মর্যাদার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করব।” |