সঙ্গীত সমালোচনা ২...
মন চায় সেই গান
মধুসূদন মঞ্চে কসবা ‘সঞ্চারী’ আয়োজন করেছিল রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠান। শিবাজী চট্টোপাধ্যায় ও অরুন্ধতী হোমচৌধুরী যুগল নিবেদনে শ্রোতাদের শোনালেন ‘সেদিন দু’জনে’, ‘দাঁড়িয়ে আছ’ ‘প্রাণ চায়’ ইত্যাদি গানগুলি। শিল্পীদ্বয়ের অনবদ্য উপস্থাপনা মনে থাকবে বহু দিন। বনশ্রী সেনগুপ্ত এবং দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন এ দিনের এই অনুষ্ঠানে। তাঁরা শোনালেন ‘আমার মল্লিকাবনে’, ‘এ মণিহার আমায়’, ‘আজি মর্মরধ্বনি’, ‘তার হাতে ছিল’ এমনই কয়েকটি গান। দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে গান শোনা এখনও যেন অন্য অনুভূতি আনে। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে গান শোনালেন অর্জুন চক্রবর্তী, সুছন্দা ঘোষ এবং সুচরিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংযোজনায় ছিলেন অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

জীবন যখন কবিতায়
সম্প্রতি বিড়লা সভাঘরে শ্রোতাদের মাতিয়ে দিল সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থাপনায় ‘কবিতাস্কোপ’। ছোট ছোট কোলাজ কবিতারই হাত ধরে। কখনও শৈশব, কখনও যৌবনের রঙিন দিন। বার্ধক্যের একাকিত্বও বাদ যায়নি সুতপার এই উপস্থাপনায়। রবীন্দ্রনাথ থেকে এ সময়ের জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, শুভ দাশগুপ্ত সহ আরও অনেকেরই কবিতা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের গ্রন্থনায় কোলাজটি এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। দেবজ্যোতি মিশ্রের সঙ্গীত ও সৌমিলি বিশ্বাস ও অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৃত্য পরিপূর্ণ করেছে অনুষ্ঠানটিকে। সুতপার ভাবনায় যেটি ফুটে উঠেছে তা হল, কবিতাকে ধরা হয়েছে ক্যানভাস। সেখানে ভেসে ওঠে জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। হয়তো সকলের সঙ্গে তার মিল না-ও হতে পারে। কিন্তু কোথায় যেন একটা যোগসূত্র রয়ে যায়।

দুই আসর এক শিল্পী
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মোৎসব পালনের সঙ্গে ধীরেন্দ্রচন্দ্র মিত্রের শতবর্ষকেও স্মরণ করলেন সবর্ভারতীয় চারুকলা মন্দির। আশুতোষ জন্মশতবার্ষিকী হলে এই উপলক্ষে অলক রায়চৌধুরীর অনুভবী কণ্ঠে শোনা গেল ‘শাওন আসিল ফিরে’। এর পরে একে একে মুকুন্দদাস, শচীন দেব বর্মন, প্রণব রায়, দাশরথি রায় এবং নিধুবাবুর গানে বর্ষণসিক্ত সন্ধ্যায় শিল্পী আনলেন বিরল উষ্ণতা। এর আগে ভবানীপুর সঙ্গীত সম্মেলনীর সভাগৃহে অলক শোনালেন আলোচনাসহ রবীন্দ্রনাথের গান।

নটী যখন পূজারিনি
সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে পরিবেশিত হল ‘নটীর পূজা’। উগ্র ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রতিনিধি দেবদত্ত, রাজা বিম্বিসারকে সরিয়ে রাজকুমার অজাতশত্রুকে সিংহাসনে বসিয়ে নিজের ইচ্ছা চরিতার্থ করতে চায়। অনতিকাল পরেই অজাতশত্রুর বোধোদয় হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় বুদ্ধের বাণী ‘বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি’। শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সুন্দর মুখজ অভিনয়ের মাধ্যমে ও মণিপুরী নৃত্যের কোমল নৃত্যাঙ্গিকে শ্রীমতী চরিত্রের এই রূপান্তরটিকে ফুটিয়ে তোলেন। দেবদত্তের চরিত্রটিতে জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়। অজাতশত্রুর ভূমিকায় গুরু কলামণ্ডলম ভেঙ্কিট।

সঠিক গান নির্বাচন
সম্প্রতি রামমোহন মঞ্চে মালবিকা শূর ও বেলা সাধুখাঁ শোনালেন রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আধুনিক গান। শুরুতেই ৪টি রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনালেন মালবিকা। ‘এই করেছো ভাল’, ‘শ্যামল ছায়া নাই বা দিলে’, ‘এসো এসো আমার ঘরে এসো’ প্রভৃতি গানগুলি। সুন্দর গেয়েছেন শিল্পী। গান নির্বাচনের জন্য শিল্পী অবশ্যই প্রশংসা পাবেন। বেলা সাধুখাঁ তিনটি আধুনিক গাইলেন। ‘বধুঁয়া রিমিঝিমি এই শ্রাবণে’, ‘ঝা না না তা না না না’, ‘খুব চেনা চেনা লাগছে তোমাকে’ বহু দিন পরে শিল্পীর কণ্ঠে এই সব গান এক অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল সংস্থার শিল্পীদের সমবেত তিনটি রবীন্দ্রগান।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.