একশো ওভারের ক্রিকেটে এখন প্রায়শই ছ’শোর বেশি রান উঠতে দেখার দিন এসে পড়েছে। অসাধারণ বোলিং বা প্রাণবন্ত পিচ না হলে ওয়ান ডে ক্রিকেটে এখন বোলাররা হল বিপদগ্রস্ত প্রজাতি!
অথচ সীমিত ওভারের ম্যাচে বোলারদেরও সুযোগ থাকা উচিত। ফিল্ডিংয়ে বাড়তি প্রতিরোধ, ইনিংসে একটাই বলের ব্যবহার। যার ফলে স্পিনাররা টার্ন আর পেসাররা রিভার্স সুইং পায়এগুলো ব্যাট-বলের লড়াই জমিয়ে দেয়। সেটা যদ্দিন না আবার হচ্ছে, ওয়ান ডে-তে প্রায়ই সাড়ে তিনশোর টার্গেট তাড়া করতে হবে। নাগপুরে বিরতিতে কিন্তু অনেকে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল যে, ভারত ৩৫০ তুলে দেবে! |
যদিও এ সবে কোহলির অসাধারণ কৃতিত্ব এতটুকু কমবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ধারাবাহিক ভাবে ৫০-৬০ বলে সেঞ্চুরি করে চলা কোহলিকে ক্রিজে আটকে রাখা খুব কঠিন। একই ধরনের ডেলিভারি ও একস্ট্রা কভারে উপর দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে পারে। আবার ইনসাইড-আউট হয়ে মিড-উইকেটে বড় শট মেরে দেবে। সমান দক্ষতায় মাটি ঘেঁষা ড্রাইভের পাশাপাশি সার্কেলের ভেতরে থাকা ফিল্ডারদের উপর দিয়ে উঁচু শট মারে। কাট আর পুল-ও অসাধারণ। নাগপুরে যে জ্যাব-এ সেঞ্চুরিতে পৌঁছল সেটায় স্পষ্ট যে, ওর ব্যাটিংয়ে সূক্ষ্ম টাচ-ও আছে।
বেশির ভাগ ব্যাটসম্যান কঠিন টার্গেটের সামনে দ্রুত রান তোলার উদ্দেশ্যে শাফল করে খেলে। রিভার্স সুইপ আর সুইচ হিট-এর চেষ্টায় থাকে। কিন্তু কোহলি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে বড় শট মারে। ওর অধিকাংশ বাউন্ডারি যে জন্য ‘ভি’ অঞ্চলে মারা। টেনিসের ফোরহ্যান্ড শটের মতো। কোহলির কিছু ওয়ান ডে ইনিংস একেবারে মাস্টারপিস! আরও তাৎপর্যের, অবিস্মরণীয় ইনিংসগুলো মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে খেলছে!
বেঙ্গালুরুতেও নাকি বৃষ্টি হতে পারে। তবে সম্ভবত পুরো ম্যাচই হেবে। সিরিজের উত্তেজনা হয়তো শেষ ওভার পর্যন্ত বজায় থাকবে। সুতরাং নিজের আসন খাপচে ধরে বসুন! |