ভরদুপুরে ধানখেতে ঢুকে ঢুকে পড়া ২টি চিতাবাঘের হানায় ২ জন জখম হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিড়কাধুরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এ দিন দুটি চিতাবাঘ ঢুকে একটি ছাগল খেয়ে ফেলে। স্থানীয় কৃষক মলিন রায় ও বিজয় রায় তা দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। একটি চিতাবাঘ পালিয়ে যায়। অন্য চিতাবাঘটি পাল্টা হামলা করে। চিতাবাঘের গায়ে এলোপাথাড়ি ঘুষি চালিয়ে প্রাণে বাঁচলেও মলিন রায় ও বিজয় রায়ের হাতে পায়ে আঘাত লাগে। এর পরে চিতাবাঘটি ধানখেত টপকে পটলখেতের পাশে একটি সুপুরি গাছের ঝোপে ঢুকে পড়ে। গ্রামে চিতাবাঘ আসার খবরে এর পর গ্রামবাসীরা চলে আসেন। তাঁরা চিতাবাঘটিকে ঘিরে ফেলেন। ইতিমধ্যেই মালবাজার থেকে বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের বনকর্মীরা চলে আসেন। |
ঘুমপাড়ানি গুলি করার পরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চিতাবাঘটিকে। —নিজস্ব চিত্র। |
এ সময় বাঘটিকে লক্ষ করে ঢিলও ছোড়ে উত্তেজিত জনতা ঝোপের মধ্যেই চিতাবাঘটি প্রায় ১ ঘণ্টা বসে থাকে। মালবাজার স্কোয়াডের থেকে খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি থেকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে বিশেষজ্ঞ বনকর্মীরা চলে যান। এ দিকে ততক্ষণে চিতাবাঘ দেখতে পাঁচশোরও বেশি মানুষ ভিড় জমান। ঘুমপাড়ানির প্রথম গুলিতেই বাঘটি কাবু হয়ে যাওয়ার পরে বনকর্মীদের ঠেলে সরিয়ে চিতাবাঘকে টেনে বের করেন। গ্রামবাসীরাই মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে থাকেন। চিতাবাঘটিকে নিয়ে টানাটানিও শুরু হয়। কোনও রকমে বাসিন্দাদের কবলমুক্ত করে বাঘটিকে গাড়িতে তুলে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যান বনকর্মীরা। বন্যপ্রাণী ২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক জানান, এটি একটি ৪ বছরের পুরুষ চিতাবাঘ। সেটির গরুমারায় চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। অন্য দিকে চিতাবাঘের হামলায় জখম দুইজনকে মালবাজার মহকুমা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। |