|
|
|
|
থিমের কালীপুজোয় পিছিয়ে নেই পাণ্ডুয়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত বা ব্যারাকপুর যদি হয় কালীপুজোর প্রাণকেন্দ্র, তবে পিছিয়ে নেই হুগলির পাণ্ডুয়াও। এখানে থিমের পুজোর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে প্রাচীন বনেদি পুজোও। কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির অধীনে ওই এলাকায় ৪২টি পুজো হচ্ছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে আরও কিছু পুজো হচ্ছে এই এলাকায়।
হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে পাণ্ডুয়া স্টেশনে নামলেই চোখে পড়বে আলোর রোশনাই। স্টেশনের এক দিকে রয়েছে স্টেশন বাজারের পুজো, অন্য পাড়ে মাতৃসঙ্ঘের পুজো। সেই পুজো এ বার ৫০ বছরে পা দিল। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপ। আদি বাংলার দক্ষিণা-রক্ষাকালীর প্রতিমা থাকবে মণ্ডপে। স্টেশন থেকে শহরের দিকে এগোতেই চোখে পড়বে জয়পুর প্রভাত সঙ্ঘের পুজো। ধানের মরাইয়ের আদলে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপ। প্রতিমা তৈরির উপকরণ, ধান ও তুষ। বালিহাটা সঙ্ঘশ্রী ক্লাবের মণ্ডপ এ বার পা দিল ৬২ বছরে। সচিন তেণ্ডুলকরের টেস্ট ম্যাচ খেলাই এ বার তাদের থিম। শতদল ক্লাবের পুজোর আবার থিম ‘আশ্রয়’। ফেলে দেওয়া টুকিটাকি জিনিস দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করছেন তাঁরা। চৌমাথার ধারে চন্দন স্মৃতি সঙ্ঘের পুজোর থিম, ‘উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগ’। মধ্যমপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির পুজোর থিম, ‘নবজাগরণে বাংলা ও বাঙালি’। নবদ্বীপের ইস্কনের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছেন বিবেকানন্দ প্রগতি সঙ্ঘের পুজো কমিটি। দক্ষিণপাড়া পুজো কমিটির আবার থিম, ‘অক্ষরধাম’।
পাণ্ডুয়ার থিমের পুজোর সঙ্গে জুটি বেঁধেছে চন্দননগরের আলো। এক মাস ধরে চলেছে পুজোর প্রস্তুতি। শীতের হাওয়ায় বৃষ্টির আশঙ্কাও খানিকটা কম। সেই সঙ্গে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রস্তুত হচ্ছে প্রশাসনও। প্রতিমা, মণ্ডপ, আলোকসজ্জা ও শৃঙ্খলার প্রতিযোগিতা করা হচ্ছে পাণ্ডুয়া থানা ও পাণ্ডুয়া বইমেলা কমিটির উদ্যোগে। এলাকার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর। |
|
|
|
|
|