|
|
|
|
মৃত্যু পটনায় জখম সেই মানববোমার |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পটনায় নরেন্দ্র মোদীর সভায় যে দু’জনের মানববোমা হয়ে ফেটে পড়ার কথা ছিল, বৃহস্পতিবার রাত ১টা ১০ মিনিটে মারা গেল তাদের এক জন। তারিক ওরফে এনুল। রবিবার পটনা স্টেশনে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়েছিল তারিক। বাঁচিয়ে রাখা গেলে হয়তো কিছু সূত্র মিলত। কিন্তু বাঁচার আশা কম, গোড়া থেকেই জানাচ্ছিলেন পটনার চিকিৎসকরা। তারিকের মৃত্যু হলেও দ্বিতীয় মানববোমা সঙ্গী ইমতিয়াজ আনসারিকে জেরা চলছে। সঙ্গে কলকাতায় জাল নোট-সহ ধৃত দুবাইয়ের ট্যাক্সিচালক মহম্মদ আলি ও পটনায় ধৃত যুবক সাদ্দামের সঙ্গে এই নাশকতার কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইমতিয়াজের সহযোগী সন্দেহে ৩০ অক্টোবর ধৃত, পূর্ব চম্পারণ জেলার বাসিন্দা তবিশ নিয়াজ ওরফে আরশাদ আনসারিকে বুধবার সাত দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তদন্তকারীদের দাবি, রবিবার সকালে পটনা স্টেশনের শৌচাগারে বোমাগুলি নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছিল তারিক ও ইমতিয়াজ। সেই সময়ে কাছেই একটি মোবাইল ফোন বাজায় তারা হকচকিয়ে যায়। ভয়ে সিস্টার্ন-এ বোমাটি ফেলে দেয় এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বোমার স্প্লিন্টার তারিকের মস্তিষ্কে ঢুকে যায়। রবিবার থেকে সে কোমায় ছিল। তার সঙ্গী ইমতিয়াজ থলে ভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে যায়।
পুলিশের বক্তব্য, শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে তারিকের থাকার কথা ছিল মোদীর সভামঞ্চের নীচে। আর ইমতিয়াজের উপর দায়িত্ব ছিল, শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক নিয়ে কোনও ভাবে মোদীর কাছে পৌঁছে যাওয়া।
ইমতিয়াজকে দফায় দফায় জেরার পাশাপাশি তদন্তকারীরা পটনা শহর থেকে সাদ্দাম নামে এক যুবককে আটক করেছেন। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ), কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি) ও বিহার পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পটনা বিস্ফোরণের তদন্ত চলছে কলকাতাতেও। কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে ৫০ হাজার টাকার জাল ভারতীয় নোট নিয়ে ধরা পড়ে বিহারের মুজফ্ফরপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আলি। বছর ত্রিশের ওই যুবক দুবাইয়ে ট্যাক্সি চালায়। বৃহস্পতিবার রাতেই তার ছবি ই-মেল করে পাঠানো হয়েছে পটনা-বিস্ফোরণের তদন্তকারীদের কাছে। ওই ছবি দেখিয়ে জেরা করা হচ্ছে ইমতিয়াজ ও সাদ্দামকে। বিস্ফোরণের আগের দিন, বিস্ফোরণের দিন ও তার পর দিন আলির মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন কী ছিল, সেটা বিহার পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছে এসটিএফ। লালবাজার সূত্রে খবর, আলির কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট ও দুবাইয়ের ট্যাক্সিচালকের লাইসেন্স মিলেছে।
এ দিকে, ওই কাণ্ডে চার সন্দেহভাজনের নাম, ছবি ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে পোস্টার তৈরি হয়েছে। তাদের নাম: হায়দার আলি ওরফে আবদুল্লা, তৌফিক, নুমান আলম ও তেহসিন আখতার। |
পুরনো খবর: মুজাহিদিনকে সন্দেহ, সময়ই প্রশ্ন নীতীশের |
|
|
|
|
|