|
|
|
|
মোদীকে বিঁধতে আসরে কংগ্রেসের দ্বিতীয় সারি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সকাল-বিকেল শীলা দীক্ষিতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল! বলছেন, “দম থাকে তো প্রকাশ্যে তর্ক করুন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী! আমি প্রস্তুত। কিন্তু উনি কি রাজি!” কংগ্রেস নেতারা আজ সেই কৌশলেই চ্যালেঞ্জ ছুড়তে শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বল আজ বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর উদ্দেশে বলেন, “সাহস থাকে তো খোলা মঞ্চে আসুন। যে কোনও বিষয়ে আমরা তর্কের জন্য তৈরি।” এরই সঙ্গে মোদীর জনসভা আয়োজনে কালো টাকা খরচের অভিযোগ নিয়েও কটাক্ষ করেন সিব্বল।
এর প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেনি বিজেপি। অরুণ জেটলি বলেন, “এই সেই কপিল সিব্বল, যিনি বলেছিলেন টুজি-কাণ্ডে কোনও ক্ষতিই হয়নি সরকারের! উনি আগে আমার সঙ্গে তর্কে বসুন। তার পর না হয় মোদীর কথা ভাববেন।”
কপিলকে পাল্টা কটাক্ষ করে জেটলি এ-ও বলেন, মোদীর সঙ্গে তর্কের জন্য কংগ্রেস এখন দ্বিতীয় সারির নেতাদের এগিয়ে দিচ্ছে। কংগ্রেস নেতারাও এটা অস্বীকার করছেন না। দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, “ঠিক যে কারণে কেজরিওয়াল শীলা দীক্ষিতকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন, সেই একই কারণে।” কংগ্রেসের ওই নেতার ব্যাখ্যা, শীলা দীক্ষিত কোনও ভাবেই কেজরিওয়ালের সঙ্গে মুখোমুখি তর্কে যাবেন না। তা ছাড়া শীলার সরকারের অনেক সাফল্য থাকলেও কিছু ব্যর্থতাও রয়েছে। কেনই বা তা নিয়ে খোলা মঞ্চে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী? কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, দ্বিতীয় কারণটি হল, মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাহুল ছাড়া কংগ্রেসের কোনও নেতার স্বর শোনা যাচ্ছে না। তাই এখন দ্বিতীয় সারির নেতাদেরও সরব হতে বলা হয়েছে।
তাই মোদীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সিব্বল বলেন, “মোদী স্বচ্ছ রাজনীতির পক্ষে হন, তা হলে তাঁর এক-একটি সভার জন্য যে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে তা কোথা থেকে আসছে, তা জানান? তাঁর অভিযোগ, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক স্বচ্ছতার পক্ষে নন। গুজরাতে সাত বছর তিনি লোকায়ুক্ত নিয়োগ করতে দেননি। অথচ তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ও ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
সিব্বল আরও বলেন, “মোদীকে কখনও হাসতে দেখেছেন। উনি হাসতে জানেন না। সব সময় প্রতিহিংসাপরায়ণ মুখ নিয়ে ঘোরেন।” বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ অবশ্য এ সব শুনে হেসে বলেন, “ধুর্! সিব্বলকে কে পাত্তা দেয়।” |
|
|
|
|
|