পরিবারের সব মুশকিল আসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এক ফকির। বলেছিল, এই কাজে সোনার গয়না আর টাকা দরকার। বিশ্বাস করে তার হাতে কয়েক লক্ষ টাকার গয়না তুলেও দিয়েছিলেন বরাহনগরের এক মহিলা। তার পরেই ফকির উধাও। টাকা-গয়নাও লোপাট। পুলিশ খোঁজ পায়নি ফকিরের।
মাস দেড়েক আগে একই কায়দায় গড়িয়াহাটের এক দম্পতির প্রচুর গয়না ও টাকা নিয়ে পালায় মিয়াঁ মুসাজি নামে যাদবপুর রামগড়ের এক ফকির। তারও খোঁজ নেই।
পুলিশ জানায়, বরাহনগরের বাসিন্দা রেশমা চট্টোপাধ্যায় কসবা থানায় অভিযোগ করেন, ২৬ অক্টোবর সংবাদপত্রে এক বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, আলম শাহ নামে এক ফকির পারিবারিক সব সমস্যার সমাধান করে দেবে। কসবার রাজডাঙা মেন রোডে ওই ফকিরের অফিসে গেলে রেশমাদেবীকে লক্ষ্মী পুজো করতে বলা হয়। সমস্যা মেটাতে ফকির ওই মহিলার কাছ থেকে প্রচুর গয়না ও টাকা নেয়।
পুলিশ জানায়, ৩০ তারিখে রেশমাদেবী ফকিরের অফিসে গেলে একটি ঘটে সব গয়না রাখতে বলা হয়। পরে তাঁর হাতে একটি ঘট দিয়ে বলা হয়, বাড়ি গিয়ে সেটি খুললেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ওই মহিলা পুলিশকে জানান, বাড়ি ফিরে ঘট খুলে তিনি দেখেন, ভিতরে গয়না নেই। রাজডাঙায় ফকিরকে খুঁজতে গিয়ে তিনি দেখেন, অফিসও বন্ধ। ফকির পলাতক। রেশমাদেবী শুক্রবার বলেন, “ফকির এ দিন আমাকে ফোন করে ভিন্ রাজ্যের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয় এবং সেখানে বাকি টাকা জমা দিতে বলে।” পুলিশ ওই ফোন নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত করছে। তারা জেনেছে, অভিযুক্ত ফকির গাজিয়াবাদের বাসিন্দা। মাস দুয়েক আগে রাজডাঙায় বাড়ি ভাড়া নেয় সে। কসবা ও যাদবপুরের দুই ফকির একই কায়দায় প্রতারণা করেছে এবং দু’জনের মুখের মিলও রয়েছে। |