পাইকারি ও খুচরো বাজারে আলুর দর নিয়ন্ত্রণে আনতে রামপুরহাটের হাটতলার সব্জি বাজারে বিশেষ অভিযান চালাল প্রশাসন। ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার এ ব্যাপারে দাম নির্ধারিত করে দিলেও কার্যত কেউই তা মানছেন না। শুক্রবার সকালে শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ওই বাজারে পুলিশের সঙ্গে পরিদর্শনে পৌঁছন মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায়। সঙ্গে ছিলেন দুই ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, মহকুমা কৃষি আধিকারিক, এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং দফতরের এক আধিকারিক এবং খাদ্য সরবরাহ দফতরের একজন আধিকারিক। রত্নেশ্বরবাবু বলেন, “সরকার নির্ধারিত দরেই ব্যবসায়ীদের আলু বিক্রি করতে হবে। তা মেনে চলা হচ্ছে কিনা দেখতেই অভিযান করেছি। বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশের বাইরে কেউ বাড়তি দাম চাইলে প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে।” আগামী দিনেও অভিযান জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন রামপুরহাটের মহকুমাশাসক।
ক্রেতাদের অভিযোগ যে ভুল নয়, তা স্বীকার করে নিয়েছেন রামপুরহাট মহকুমা কৃষি আধিকারিক দিবানাথ মজুমদার। তিনি বলেন, “এ দিন বাজার ঘুরে আলুর পাইকারি বাজার দরে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। কেউ কেউ প্রতি ৫০ কেজি বস্তা ৫৪০ টাকা নিচ্ছেন, কেউ বা ৫৭০ টাকা।” অভিযোগের কথা মেনে নিয়ে সহকারী এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং অফিসার নৃপেন্দ্রকুমার দত্তের আশ্বাস, “পাইকারি দর যাতে কিলো প্রতি ১১ টাকা থাকে এবং খুচরো দর যাতে কিলো প্রতি ১৩ টাকা থাকে তার জন্য আমরা ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছি। এ ছাড়াও সব্জির দরও যাতে অস্বাভাবিক হারে না নেওয়া হয়, তা নিয়েও ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।” এ দিকে রামপুরহাট হাটতলার আলুর আড়তদার গঙ্গাপ্রসাদ জয়শোয়ালের দাবি, “আমরা ৫০ কেজি আলুর বস্তা ৫৪০ টাকা করে বিক্রি করছি। বাকিরা কি দরে বিক্রি করছে আমার জানা নেই।” তবে ক্রেতাদের দাবি, এ দিনও জেলার বিভিন্ন বাজারে চন্দ্রমুখী আলু ১৬-১৮ টাকা প্রতি কেজি এবং জ্যোতি আলু ১৩-১৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এক ক্রেতা বলেন, “সরকার তো এক রকম করে দাম ঠিক করে দিচ্ছে। কিন্তু কোনও ব্যবসায়ীই সেই দামে আলু বিক্রি করছেন না।” নিয়মিত আকারে বাজারের অভিযান চালালে এ ব্যাপারে সমাধান মেলা সম্ভব বলে তাঁদের অভিমত। প্রশাসন থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, সরকার নির্ধারিত দরের বাইরে কেউ দাম নিলে সরাসরি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। |