নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল আয়কর দফতরের আবেদন বিভাগ। গত ২২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক থেকে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। নির্দেশের প্রতিলিপি এসে পৌঁছনোর পর থেকেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে শিলিগুড়ির আইনজীবী ও ব্যবসায়ী মহল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে। নির্দেশ পেয়েই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডেকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন আয়কর নিয়ে কাজ করা আইনজীবীদের সংগঠন। ৬ নভেম্বর শিলিগুড়ির হার্ডওয়ার মার্চেন্ট সভাকক্ষে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, আয়কর জমা সংক্রান্ত কোনও জটিলতা তৈরি হলে ওই বিভাগে আবেদন করা যেত। আবেদন পেয়ে আয়কর দফতর শুনানির পরে পদক্ষেপ করতেন। এখন থেকে ওই আবেদন শিলিগুড়িতে জমা দেওয়া যাবে না। আয়কর দফতর সূত্রের খবর, ওই আবেদন বিভাগ জলপাইগুড়ির আঞ্চলিক অফিসে রয়েছে। সেখানে তা জমা দিতে হবে।
আয়করের শিলিগুড়ির কমিশনার (সিআইটি) সুব্রত সরকার দফতর সরে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “নির্দেশটি হাতে পেয়েছি। এখন থেকে শিলিগুড়ি দফতরে আবেদনের কোনও কাজ করা যাবে না।” আয়কর আইনজীবীদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব চক্রবর্তী বলেন, “আমি আয়করের আবেদন বিভাগ শিলিগুড়ি থেকে সরে যাচ্ছে বলে জেনেছি। এতে সমস্যা হবে সবারই। কোনও রকম মামলা করতে হলে তাঁকে জলপাইগুড়ি ছুটতে হবে। এতে খরচ ও হয়রানি দুই-ই বাড়বে। তাছাড়া শিলিগুড়ির প্রশাসনিক গুরুত্ব ব্যাহত হবে।” ফোসিন সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “এটা ঠিক নয়। অসংখ্য মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই বিভাগ যাতে শিলিগুড়িতেই থাকে সে জন্য আন্দোলনে নামব।” আবেদন বিভাগ সরিয়ে নেওয়ার নিন্দা করেছেন শিলিগুড়ি হার্ডওয়ার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুরেন্দ্র বনসলও। তিনি বলেন, “এতে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই ধরণের মামলার একদিনে সুরাহা হয় না। মামলা লড়তে হলে একাধিক দিনই কর্মবিরতি পালন করতে হবে। এটা ঠিক হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আয়কর কর্মী জানিয়েছেন, শিলিগুড়িতে জলপাইগুড়ির কয়েকগুণ বেশি আয়কর জমা ও মামলার আবেদন করা হয়। তা সত্ত্বেও কেন শিলিগুড়ি থেকে আবেদন বিভাগ সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না তিনি।
|
অনশনে অসুস্থ বিনয় তামাঙ্গ |
জেল-বন্দি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সমর্থকদের মুক্তির দাবিতে অনশন শুরু করা বিনয় তামাঙ্গকে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বুধবার সকাল থেকে অনশন শুরু করা বিনয়বাবুর রক্তচাপজনিত সমস্যা শুরু হয়েছে। মোর্চা নেতৃত্ব জিটিএ-র এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য তথা দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা বিনয়বাবুর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বুধবার মোর্চার সহকারী সম্পাদক জ্যোতিকুমার রাই বলেছিলেন, “এই অনশন বিনয়বাবুর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটা দলীয় বিষয় নয়।” তবে এ দিন তাঁর মন্তব্য, “বিনয় তামাঙ্গ আগেই অনশনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। তার পরেও সরকার জেলবন্দি মোর্চা কর্মী-সমর্থকদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে উদ্যোগী হয়নি। তাতে আমরাও দুঃখিত।” |