আর্থিক সাহায্য চেয়ে চিদম্বরমের কাছে মুকুল
দু’সপ্তাহে দু’বার। রাজ্যের জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্য চেয়ে আজ ফের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করেন দলের নেতা মুকুল রায়।
লক্ষ্মীপুজোর পরপরই চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করেছিল তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল। সে সময়ে প্রতিনিধি দলের তরফে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। যাতে রাজ্যের উপর এককালীন সুদ মুকুব ছাড়াও ঋণের পুনর্বিন্যাস করার দাবি জানিয়েছিল দল। আজ চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করার পরে মুকুলবাবু দাবি করেন, “আমাদের দাবির বিষয়ে কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আজ তা দিতেই আমি চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করি।” তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে রাজ্যের জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে একাধিক বার কেন্দ্রকে বলা হয়েছে। এ বার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেই একই দাবি জানাতে আগামিকাল চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাম সরকারের দেনার বোঝা কমাতে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন চতুর্দশ অর্থ কমিশনকে প্রণব মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দেন পশ্চিমবঙ্গ-সহ তিনটি সর্বাধিক ঋণগ্রস্ত রাজ্যের সমস্যা মেটানো কী ভাবে মেটানো যায়, তা দেখতে। সেই কাজ এখনও চলেছে। কিন্তু তারই মধ্যে রঘুরাম রাজনের নেতৃত্বে একটি কমিটি রাজ্যগুলির উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সাহায্যের সুপারিশ করে একটি তালিকা তৈরি করে। সেই তালিকায় সবথেকে পিছিয়ে পড়া রাজ্য হিসেবে দেখানো হয় বিহার, ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিকে। তৃণমূলের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক সুবিধা পেতেই ওই রাজ্যগুলিকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, মাথায় দু’লক্ষ কোটি টাকার উপর দেনা থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের স্থান হয়েছে গুজরাতের সঙ্গে একই সারিতে। মুকুলবাবুদের অভিযোগ, নতুন সুপারিশ অনুযায়ী কমে যাবে বার্ষিক অনুদান। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি দলীয় সাংসদের নির্দেশ দেন রাজ্যবাসীর অসন্তোষের কথা চিদম্বরমকে জানাতে।
আজকের বৈঠকের পরেও অবশ্য খুব একটা আশার আলো দেখছে না তৃণমূল। দল মনে করছে, নির্বাচন এগিয়ে আসায় কেন্দ্রের পক্ষে নতুন করে কোনও রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য করা সম্ভব নয়। কিন্তু রাজ্যের দাবির প্রশ্নে কেন্দ্রের উপর চাপ বজায় রাখার পথ থেকেও তৃণমূল যে সরবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুকুলবাবু।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.