হাল ফেরাতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক দিকে পুরনো ও পরিত্যক্ত বাস বিক্রি, অন্য দিকে নতুন বাস নামিয়ে সিএসটিসি -র আর্থিক রুগ্ণতা কাটাতে উদ্যোগী হল পরিবহণ দফতর। এ নিয়ে আজ, শুক্রবার পরিবহণ ভবনে আলোচনা হবে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও ভাড়া না বাড়ায় ফাঁপরে পড়েছে সিএসটিসি। তেল কিনতে মাসে নিগমের খরচ হচ্ছে সাড়ে তিন কোটি টাকা। ২০১১ -তে নয়া সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময়ে সংস্থার মাসিক গড় আয় ছিল সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার মতো। গত মাসে কমে হয়েছে ৪ কোটি ৬৮ লক্ষ। নিগমের ৭৫৫টি বাসের অর্ধেকও চলছে না। নিগমের এমডি প্রসন্নকুমার মণ্ডল বলেন, “২৫০ বাস নিলামে বিক্রির পরিকল্পনা হয়েছে। কেনা হবে প্রায় ৬০০ নতুন বাস।” সিএসটিসি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় একটি সংস্থাকে প্রথম পর্যায়ে ১৬০টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮৪টি বাস বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই তারা বিজ্ঞপ্তি দেবে। এতে অন্তত তিন কোটি টাকা আয় হবে।
|
বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল দু’টি যাত্রীবাহী লঞ্চ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্য ভূতল পরিবহণ সংস্থার একটি লঞ্চের সঙ্গে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির একটি লঞ্চের মাঝগঙ্গায় ধাক্কা লাগে। এর জেরে দু’টি লঞ্চের যাত্রীরা লঞ্চের ভিতরে ছিটকে পড়েন। কারওর আঘাত গুরুতর নয়। হাওড়ায় পৌঁছে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বেপরোয়া লঞ্চ চালানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান। হুগলি নদী জলপথ সমবায় সূত্রে খবর, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ আর্মেনিয়ান থেকে এমভি রায়মঙ্গল নামে লঞ্চটি হাওড়ার দিকে রওনা দেওয়ার কিছু পরেই ফেয়ারলির দিক থেকে আসা ভূতল পরিবহণের লঞ্চটি এসে ধাক্কা মারে।
|
ভ্যানো চালকদের জেলা সম্মেলন |
সারা বাংলা মোটর ভ্যান চালক ইউনিয়নের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অশোক দাস। সম্মেলন থেকে নারায়ণ অধিকারীকে সভাপতি এবং রবিশঙ্কর রাউলকে সম্পাদক করে ৩২ জনের জেলা কমিটি গঠন করা হয়। ইউনিয়নের বক্তব্য, যুগের প্রয়োজনে এক সময়কার ‘পা-ভ্যান’ বর্তমানে গ্রামীণ মিস্ত্রিদের উদ্ভাবনায় মোটর চালিত ‘ভ্যানো’য় রূপান্তরিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যে দূষণের অভিযোগ ওঠে, তা ঠিক নয়। ভ্যান চালকদের সরকারি লাইসেন্স দেওয়া-সহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
|
ইজ্জত নিয়ে খার্গের কাছে আর্জি তরুণের |
‘ইজ্জত’ টিকিট কাটার নিয়ম শিথিল করার দাবি নিয়ে রেলমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খার্গের কাছে দরবার করলেন এসইউসি সাংসদ তরুণ মণ্ডল। অপব্যবহার হচ্ছে এই অভিযোগে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা ব্যক্তিদের জন্য মাসিক ২৫ টাকা মূল্যের এই টিকিট কাটার নিয়ম সম্প্রতি বদল করছে রেল মন্ত্রক। এত দিন স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদের সুপারিশে ওই টিকিট কাটা যেত। কিন্তু এখন বিডিও বা জেলাশাসকের কাছ থেকে আয়ের শংসাপত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভও হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। তরুণবাবুর অভিযোগ, নতুন নিয়মে দুর্নীতি বেড়েছে। তাঁর কথায়, “বিডিও বা জেলাশাসক দফতরের নিচুতলার কর্মীরা ঘুষ না-পেলে শংসাপত্র দিতে চাইছেন না। দরিদ্র মানুষগুলোকে দিনের পর দিন ঘোরানো হচ্ছে।” তরুণবাবুর দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন খার্গে।
|
বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আপত্তি |
রাজ্য সরকারের আর্থিক সঙ্কটের বাজারে বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ নিয়ে আপত্তি উঠতে শুরু করল নানা দল থেকেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এর আগে বিধায়কদের বেতন ও ভাতা বাড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি বিধানসভার এনটাইটেলমেন্ট কমিটি বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করে। প্রবীণ প্রাক্তন বিধায়কদের মধ্যে যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের সহকারী দেওয়ার প্রস্তাবও এসেছে। সুপারিশ পাঠানো হয়েছে অর্থ দফতরের কাছে। কিন্তু সবুজ সঙ্কেত আসার আগেই সুপারিশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসইউসি বিধায়ক তরুণ নস্কর বিধানসভার স্পিকার এবং অর্থমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে জানান, সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে কর্মীদের বেতনও অনিয়মিত। বন্যার ত্রাণ সর্বত্র ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে না। এই অবস্থায় বিধায়কেরা নিজেরাই নিজেদের বেতন বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করছেন, এ ঘটনা দৃষ্টিকটু।
|
বিরোধী দলনেতা নিয়ে বাম-শুনানি |
একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা দাবি করেছে কংগ্রেস। তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে শুনানিতে ডেকে তাঁর বক্তব্য শুনলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বামেদের যুক্তি, কোনও দল নয়, বামফ্রন্ট হিসাবেই তারা নির্বাচনে লড়েছে। ফ্রন্ট হিসাবেই তাদের বিধায়কসংখ্যা অন্যান্য বিরোধী দলের চেয়ে বেশি। প্রাক্-নির্বাচনী সমঝোতায় কংগ্রেস লড়েছিল তৃণমূলের সঙ্গী হিসাবে। কিছু দিন তারা সরকারেও ছিল। এখন বিরোধী দলনেতা পদের জন্য তাদের দাবি যুক্তিযুক্ত নয়।
|
এক দিনে দুই শীর্ষ বন-কর্তা অবসর নিলেও কাউকেই তাঁদের স্থলাভিষিক্ত করা হল না। বৃহস্পতিবার রাজ্যের ‘হেড অব ফরেস্ট’ পদ থেকে অবসর নেন সীতাংশুবিকাশ মণ্ডল। আবার এ দিনই অবসর গ্রহণ করেন বন সচিব পি বি বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘হেড অব ফরেস্ট’ পদের দাবিদার রয়েছেন রাজ্যের তিন প্রধান মুখ্য বনপাল। সাধারণত প্রধান মুখ্য বনপালদের মধ্যে থেকেই এক জনকে ‘হেড অব ফরেস্ট’ করা হয়ে থাকে। এই রীতিই চলে আসছে। কিন্তু এ দিন ওই পদে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। |