এক মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বসিরহাটের দেগঙ্গা, স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়ার বহু এলাকার মানুষ জলমগ্ন। পুজোর আগে থেকেই এ হেন অবস্থায় শুধু দুর্গাপুজোই নয়, লক্ষ্মীপুজোও ভাল কাটেনি বাসিন্দাদের। এই অবস্থায় কালীপুজোও নিরানন্দেই কাটতে চলেছে। দুর্গতদের অভিযোগ, এক মাস ধরে এমন অবস্থা চললেও জল সরাতে প্রশাসনের কোনও গা নেই। উল্টে তাঁরা স্বাস্থ্যশিবির করছেন। জলমগ্ন এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই নানা রোগ দেখা দিয়েছে। বসিরহাটের মহকুমাশাসক শেখর সেন জানিয়েছেন, দু’এক দিনের মধ্যেই গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির খোলা হবে।” গ্রামবাসীদের বক্তব্য, জল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য ঠিক মতো স্লুইস গেট না বসানোতেই জল নামানো যাচ্ছে না। |
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিবর্ষণে দেগঙ্গার পদ্মার খাল ছাপিয়ে জল ঢুকেছে চাকলা ও কলসুর পঞ্চায়েতের নিকারাহাটি, চাণ্ডালআটি, বেলিয়াখালি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে। ফসলের ক্ষতি তো হয়েইছে, ভেঙে পড়েছে মাটির বাড়িও। জল না নামায় রোগ তো হচ্ছেই, স্কুলে যেতে অসুবিধা হচ্ছে শিশুদের। শেখরবাবু বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৭২৫ কুইন্টাল চাল ও ২১১০ পলিথিন বিলি করা হয়েছে। দ্রুত জল নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য শিবিরের জন্য মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বলা হয়েছে।” |