সম্পাদক সমীপেষু...
কেন বিশেষ ট্রেন চালানো হবে না
শিয়ালদহ-লালগোলা লাইনে গত কুড়ি বছরে ট্রেন হয়তো বেড়েছে গোটা তিনেক। কিন্তু লোক বেড়েছে তিন গুণেরও অনেক বেশি। এমনিতেই সারা বছর ভিড়ে ঠাসা থাকে সব এই দিককার সব ট্রেন। তার মধ্যে বিভীষিকা নেমে আসে দুই উৎসব ইদ-উল-ফিতর ও ইদ-উজ্-জোহার আগে আগে। মুর্শিদাবাদ-নদিয়ার হাজার হাজার যুবক, রাজমিস্ত্রি বা নির্মাণ শিল্পের শ্রমিক হিসেবে রাজ্যের বাইরে বিশেষত সমগ্র দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে কাজে যান। উৎসবের প্রাক্কালে তাঁরা দলে দলে ঘরে ফিরে আসেন। প্রিয়জনদের জন্য উপহার, জামাকাপড় কিনে ভারী ব্যাগসমেত শিয়ালদহ স্টেশনের ভিড়ে শামিল হন। ভাগীরথী কিংবা লালগোলা প্যাসেঞ্জার— ধাক্কাধাক্কি ঠেলাঠেলি ঠাসাঠাসি ভিড়। অন্যান্য সাধারণ যাত্রী, মহিলা, শিশু বা বয়স্কদের পক্ষে ট্রেনে উঠতে পারাটাই প্রাণান্তকর। যদি বা উঠতে পারেন, সারা রাস্তা নিদারুণ অভিজ্ঞতায় ভিতরে ভিতরে ক্ষোভ, বিরক্তি আর ক্রোধ জমে উঠতে থাকে। ক্রমশ এই ক্ষোভ সশব্দে বা নিঃশব্দে বর্ষিত হতে থাকে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উপর।
ঘর-ফিরতি এ রকম বহু মানুষ ট্রেনের ঝামেলা এড়িয়ে হাওড়া বা ধর্মতলা থেকে ম্যাটাডর বা লরি ভাড়া করে রওনা দেয় ডোমকল, জলঙ্গি বা আখেরিগঞ্জের পথে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, প্রতি বছর ইদ-উল-ফিতর-এর দিন সাতেক আগে থেকে কাগজে খবর হতে থাকে ‘ম্যাটাডর উল্টে মৃত্যু, ইদের উৎসবে শোকের...’। সঙ্গে থাকে ভগবানগোলা বা রানিনগরে শিশুর হাত ধরে বিধবার কান্নার ছবি।
কিন্তু কেন? পুজোর সময় কত স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা হয়। আজমেঢ় শরিফে উরস উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন ঘোষণা হয়। মেদিনীপুরে পিরের মেলা, তারকেশ্বরে ভোলেবাবা এমনকী ডাহাপাড়া ধামের মেলার কথাও রেল দফতর ভাবে। আর লক্ষাধিক মানুষের উৎসবকালীন দুর্দশার কথা রেল দফতর ভাবে না কেন? সংখ্যালঘুর নাম করে দরকারি-অদরকারি কত কিছু তো সরকার করে থাকে। না কি বাহির-ফেরতা এই সব মুসলমান শ্রমিকরা ততটা কুলীন নয়? দরিদ্র, অশিক্ষিত গাঁ-গেরামের চাষাভুষো? তাই এই অবহেলা? কলকাতার অবাঙালি অবস্থাপন্ন মুসলিমরা সংখ্যালঘু, তাঁদের জন্য এই বাংলায় আলাদা উর্দু খবর প্রচার হয়। আর এরা সংখ্যালঘু নয়?
এ বিষয়ে লেখালিখি হইচই অনেক কাল থেকে হয়ে আসছে। বছর দুই আগে ইদ-উল-ফিতর-এর মাত্র দু’দিন আগে শিয়ালদহ-লালগোলা বিশেষ ট্রেন দেওয়া হয়েছিল। তাও প্রায় নিঃশব্দে। এ বছর, কী আশ্চর্য— ইদ-উল-ফিতর ও কোরবানি দুটোই চলে গেল। কোনও উদ্যোগ বা ঘোষণা চোখে পড়ল না।
ক্রীড়া অভিধান
সরকার প্রাক্তন খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করেছে। ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে আবেদন, এ বার একটা ক্রীড়া অভিধান তৈরির উদ্যোগ নিন। বাংলায় এ ধরনের কোনও বই আছে বলে আমার জানা নেই। সেই সঙ্গে চাই একটি স্পোর্টস মিউজিয়ম। অনেক পদক হারিয়ে যাচ্ছে, শিল্ড ও কাপ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পুরনো ছবি দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে। সংরক্ষণ জরুরি।
তবু অতিথি
অতিথি শব্দের ব্যুৎপত্তি: যে তিথি মেনে আসে না। সেই হিসেবে সব নবজাতকই অতিথি। বিজ্ঞানের এত আবিষ্কার সত্ত্বেও এদের আগমনের ঠিক সময় তো জানা যায় না।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.